1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন করে শুরু করতে চায় ওএসসিই

২ ডিসেম্বর ২০১০

মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানের রাজধানী আসটানায় বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ওএসসিই অর্থাৎ ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা’র শীর্ষ সম্মেলন৷ আজই শেষ হয়ে যাবে এই সম্মেলন৷

https://p.dw.com/p/QNhc
ওএসসিই সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও কাজাখ প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভছবি: AP

সদস্য সংখ্যা বিবেচনায় নিরাপত্তা বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংস্থা এই ওএসসিই, যার জন্ম কোল্ড ওয়ার অর্থাৎ শীতল যুদ্ধের সময়৷ ওএসসিই'র বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৬৷ সংস্থাটির নামে শুধু ইউরোপের নাম থাকলেও উত্তর অ্যামেরিকা, মধ্য এশিয়া ও ককেশাস অঞ্চলের কয়েকটি দেশও এই সংস্থার সদস্য৷

পূর্ব ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে থাকা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছিল ওএসসিইকে৷ শুধুমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই এটা করতে চেয়েছিলেন সবাই৷ কিন্তু বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যেই বিভিন্ন কোন্দল থাকার কারণে আস্তে আস্তে এর কার্যক্রম অনেকটা গুটিয়ে যায়৷ যেমন এবার মাত্র সপ্তমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে সম্মেলনটি৷ অথচ প্রথম সম্মেলনটি হয়েছিল সেই ১৯৭৫ সালে৷ আর শেষটি ১৯৯৯ সালে৷

সম্মেলনের শেষ দিন

OSZE Gipfeltreffen in Astana Kasachstan NO FLASH
আসটানার সম্মেলনস্থলছবি: DW/M. Bushuev

আজ একটি ঘোষণা পত্র তুলে ধরা হবে৷ সেখানে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা বাড়াতে কী করা উচিত তার একটা রূপরেখা থাকবে৷ এছাড়া সম্মেলনে অংশ নেয়া শীর্ষনেতারা সংস্থাটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন৷ এসব নেতার মধ্যে রয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন ও আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷ এর মধ্যে জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল আয়োজক দেশ কাজাখস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে অত্র অঞ্চলে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সবাইকে পরামর্শ দেন৷ আর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লিন্টন বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলো যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে তাহলেই কেবল আবার সংস্থাটিকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা যেতে পারে৷

কেন কাজাখস্তান?

সংস্থা'র বর্তমান সভাপতি দেশ কাজাখস্তান৷ তাই এত বড় একটা সম্মেলন আয়োজনের সুযোগ পেয়ে গেছে সচরাচর প্রচারে না থাকা এই দেশটি৷ সম্মেলন উপলক্ষ্যে দু'দিনের সরকারি ছুটি কাটাচ্ছে দেশটির সবাই৷ আর নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি থাকায় অনেকে শহর ছেড়ে বাইরে ঘুরতে গেছেন৷ তবে কাজাখস্তানে সম্মেলন আয়োজন নিয়ে কিছুটা সমালোচনা হয়েছে৷ কারণ দেশটির প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভ তাঁর শাসনামলে এমন কিছু আইনে স্বাক্ষর করেছেন যেগুলো গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই