ধর্ষণ একটি রাজনৈতিক ইস্যু
২৭ জুন ২০১১ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশ৷ আরেক হিসেবে দেশের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া রাজ্যগুলির মধ্যে একটি৷ তিনদিনে ১০টি ধর্ষণের ঘটনা৷ দু'টি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মহিলাকে গণধর্ষণ করার পর জীবন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ করা হয়েছে৷ এক মহিলা তার আগ্রাসনকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার চোখ উপড়ে ফেলা হয়৷ বিরোধীপক্ষ বলছে, এ'সব মহিলাদের রক্ষা করার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর৷ মায়াবতী বলছেন, দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিরোধীপক্ষ বিষয়টি থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে৷
মায়াবতীর নিজের দল হল বহুজন সমাজ পার্টি, একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল৷ কেন্দ্রীয় শাসকজোটে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস দলের বক্তব্য হল, মায়াবতী প্রদেশ শাসন করার নৈতিক কর্তৃত্ব হারিয়ে ফেলেছেন৷ উচ্চপদস্থ কংগ্রেস নেতারা বলছেন, মায়াবতী মহিলাদের দুর্দশা উপেক্ষা করছেন, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাদের বাস, সেই সব মহিলাদের দুর্দশা৷ রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান রীতা বহুগুণা বলেছেন, মায়াবতী ক্ষমতা গ্রহণ করার সময় থেকেই উত্তর প্রদেশে মহিলাদের পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে শুরু করেছে, বিশেষ করে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে৷
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১০টি ধর্ষণের ঘটনা৷ কমবয়সী মেয়েরাই অধিকাংশ তার শিকার হয়েছে৷ সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যেও এ'টা অবিশ্বাস্য, অভূতপূর্ব এবং পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য৷ সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, উত্তর প্রদেশে সব ধরনের অপরাধীরা যেন অবাধে তাদের কার্যকলাপ চালাবার সুযোগ পেয়েছে, যেন সরকার ও প্রশাসন বস্তুত ব্যর্থ হয়েছে৷ মায়াবতী স্বয়ং একদিকে মহিলা, অন্যদিকে সমাজের বঞ্চিত অংশের প্রতিনিধি৷ এছাড়া তাঁর কড়া প্রশাসনের জন্য নাম আছে৷ অথচ দেখা যাচ্ছে, সেই মায়াবতীই যেন ব্যর্থ হতে চলেছেন৷
প্রতিবেদন: মুরলী কৃষ্ণণ/অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন