1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২১ জানুয়ারি ২০১৫

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় বাংলাদেশের দৈনিক ‘প্রথম আলোর' সম্পাদক মতিউর রহমান ও এক ফটোসাংবাদিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে জেলা শহর ঝালকাঠির আদালত৷

https://p.dw.com/p/1ENiL
Symbolbild Meinungsfreiheit
ছবি: Fotolia/Radovanov


ঝালকাঠির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুজ্জামান ইসলাম বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন৷ এই সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত৷

ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট বনি আমিন বাদী হয়ে গত বছরের ৯ই অক্টোবর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টির অভিযোগে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও ফটোসাংবাদিক মজিদ আলীর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন৷ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ওই বছরের ১৬ই নভেম্বর আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করেন৷

১৬ই নভেম্বর হাজির না হওয়ায় পরে দুই দফায় ১১ই ডিসেম্বর ও ১৮ই জানুয়ারি হাজির হতে বললেও আসামিরা তখনও গরহাজির থাকেন৷

তিন দফা তলবেও আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিচারক বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন বলে ডয়চে ভেলেকে জানান মামলার আইনজীবী এপিপি এম আলম খান কামাল৷

তিনি জানান, ‘‘২০০৭ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর আলপিনে মহানবীকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ, ২০১৩ সালের ১১ই মার্চ বর্তমান সরকারকে আল্লাহর সঙ্গে তুলনা করা ও সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারী ভোটারদের ছবিতে ফটোশপের মাধ্যমে সিঁদুর পরিয়ে প্রকাশ করে প্রথম আলো৷ এ অভিযোগে গত বছরের ৯ই অক্টোবর এ মামলাটি দায়ের করা হয়৷''

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট বনি আমিন বলেন, ‘‘প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদ, কার্টুন ও ছবি কেবল ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতই করেনি; বরং এতে ধর্মীয় উন্মাদনাও সৃষ্টি হয়েছে৷ তাই একজন মুসলমান হিসেবে আমি এ মামলাটি দায়ের করেছি৷'''

তিনি বলেন, ‘‘আদালত তিন দফা সমন দেয়ার পরও আসামিরা আদালতে হাজির না হয়ে আদালতকে অবজ্ঞা করেছেন৷ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশে আমি সন্তুষ্ট৷''

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট স. ম রেজাউল করিম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কোনো মামলায় সমন জারি করা হলে তা আসামিকে জানাতে হবে৷ আসামি যদি আদালতের আদেশ যথাযথভাবে পান তাহলে তো পেলেনই৷ আর যদি সংবাদ মাধ্যমের সহায়তায় জানতে পারেন তাহলেও ধরে নেয়া হবে তিনি সমন পেয়েছেন৷ আর তখন আসামির দায়িত্ব হল নিজ উদ্যোগে আদালতে যোগাযোগ করে পরবর্তী আদেশ বা পদক্ষেপের ব্যাপারে জানা এবং তা অনুসরণ করা৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘আদালতের সমনের পরও কোন আসামি যদি আদালতে হাজির না হন তাহলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন৷ আর এটাই আইন৷ আদালতের নির্দেশ না মানা হল, আদালতকে অবজ্ঞা বা অবমাননা করা৷ এটা কেউ করলে আদালত ব্যবস্থা নেয়৷ আর এই আইনি ব্যবস্থা সবার জন্যই প্রযোজ্য৷''

মামলার বাদি অ্যাডভোকেট বনি আমিন জানান, মামলা এবং সমনের খবর তখন প্রথম আলোসহ একাধিক দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে৷

প্রসঙ্গত, দণ্ডবিধির ২৯৫ ও ২৯৮ ধারায় দায়ের হওয়া এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ দুই বছর সাজার বিধান রয়েছে৷ তবে মামলাটি জামিনযোগ্য ধারার৷

এ নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোন বক্তব্য জানা যায়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য