1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুই কোরিয়ার যোগসূত্র

৪ জুলাই ২০১৩

উত্তর কোরিয়ার তিন গুপ্তচরের কাণ্ডকারখানা নিয়ে তৈরি একটি চলচ্চিত্র দক্ষিণ কোরিয়ায় বিপুল সাফল্যের পর দেশের সীমানার বাইরে মুক্তি পাচ্ছে৷ বিভক্ত দেশের দুই সমাজের মধ্যে মিল দর্শকদের মন ছুঁয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1920B
ছবি: Jung Yeon-Je/AFP/Getty Images

মস্কো বিমানবন্দরে আটকে পড়া মার্কিন ‘হইসেলব্লোয়ার' এডওয়ার্ড স্নোডেনকে নিয়ে যা চলছে, তা হলিউডের স্পাই-থ্রিলারকেও হার মানায়৷ বিশেষ করে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট এবো মরালেসকে যেভাবে মস্কো থেকে দেশে ফেরার পথে ভিয়েনায় অবতরণ করতে হলো, তেমন ঘটনা হলিউড চিত্রনাট্যেও সহজে দেখা যায় না৷

এমনই এক বাস্তব ঘটনার প্রেক্ষাপটে থ্রিলার ছবি তৈরি হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়৷ ইংরিজি নাম ‘সিক্রেটলি গ্রেটলি'৷ মূল চরিত্র উত্তর কোরিয়ার তিনজন গুপ্তচর৷ তবে তারা ঠিক জেমস বন্ডের মতো পারদর্শী নয়, বরং প্রায়ই গোলমাল করে বসেন৷ অনেকটা ‘মিস্টার বিন'-এর মতো৷ ফলে থ্রিলার-এর মধ্যে কমেডি-র অংশই বেশি৷ ছবির বাণিজ্যিক সাফল্য অভাবনীয়৷ মুক্তি পাওয়ার মাত্র ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এত মানুষ ছবিটি দেখেছেন, যে বক্স অফিসের আগের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে৷ এবার হলিউডের দেশ অ্যামেরিকায়ও ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে৷

Nordkorea Fernsehen Kim Jong Un Seoul Südkorea
উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে দক্ষিণে আগ্রহের শেষ নেইছবি: picture-alliance/AP

এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে কোরীয় উপদ্বীপের বিভাজনের মর্মান্তিক কাহিনিও৷ প্রায় ছয় দশক ধরে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণের মানুষের নাগালের বাইরে৷ তবে উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে কৌতূহল কমার বদলে বেড়ে গেছে৷ ‘সিক্রেটলি গ্রেটলি' ছবির পরিচালক জাং চেওল সু বলেছেন, দেশের বর্তমান নেতৃবৃন্দ সহ সবার ছবিটি দেখা উচিত৷ তাহলে তাঁরা বুঝবেন, কীভাবে তরুণ প্রজন্ম এই বিভাজনের ফলে প্রভাবিত হচ্ছে৷

ছবির কাহিনি বেশ মজার৷ মূল চরিত্র গুপ্তচর ওন নরিউন হোয়ান৷ তিনি পাঁচটি ভাষায় পারদর্শী৷ গুলি চালানোয় প্রায় অব্যর্থ – সাফল্যের মাত্রা ৯৮.৭ শতাংশ৷ গল্ফ কোর্সে জাদু দেখাতে পারেন৷ অর্থাৎ উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত নেতা কিং জং ইল সম্পর্কে যে সব গুণগান করা হতো, গুপ্তচর ওন-এরও অবিকল সেই সব গুণ রয়েছে৷ যাই হোক, তাকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছে, সেখানে বোকা সেজে থাকতে বলা হয়েছে৷ দক্ষিণে পৌঁছে দুই কমরেডের সঙ্গে দেখা৷ তাঁদের একজন গিটার বাজাতে না পেরেও নিজেকে রকস্টার হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে চলেছেন৷ আরেকজন হাই স্কুলের নিষ্পাপ এক ছাত্র সেজে রয়েছেন৷ তবে দক্ষিণের জীবনযাত্রা তাদের তেমন পছন্দ হয় নি৷ বরং কিছু একটা করে দেখিয়ে নিজেদের দেশে কিংবদন্তি হয়ে ওঠার চেষ্টায় মন দিলেন এই তিন গুপ্তচর৷

এই তিন মূর্তির কাণ্ডকারখানা দর্শকদের হাসির খোরাক যুগিয়েছে৷ কিন্তু বিভক্ত দুই সমাজের একটা চিত্র তাদের ভাবিয়েছে৷ রাজনৈতিক বিভাজন সত্ত্বেও মানুষের মধ্যে সম্পর্ক যে সম্ভব, এই ছবি সেই পথ দেখানোর চেষ্টা করেছে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য