1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধর্ষণকাণ্ডের বিচার

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৩ জানুয়ারি ২০১৩

দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ চার্জশিট পেশ করার পর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া৷ চার্জশিট প্রথমে জমা দেয়া হয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে৷ পরে তা যাবে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে৷

https://p.dw.com/p/17CvW
ছবি: Reuters

দিল্লি পুলিশের কর্তাব্যক্তি জানান, অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয় আদালতে৷ ষষ্ঠ ব্যক্তি নিজেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে দাবি করায়, তার অস্থিমজ্জা পরীক্ষা করা হবে বয়েস নির্ণয়ে৷ যদি সত্যিই সে প্রাপ্তবয়স্ক না হয়, তাহলে তার মামলা উঠবে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে৷

চার্জশিট পেশ করা হয় ইলেক্ট্রনিক ফরম্যাটে, অর্থাৎ পেনড্রাইভ ও হার্ড কপির মাধ্যমে৷ চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন, অপহরণ, ডাকাতি এবং তরুণীকে বাসের চাকায় পিষে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ দোষী সাব্যস্ত হলে পুলিশ আসামিদের ফাঁসি চাইবে৷ শুনানি চলবে প্রতিদিন৷ তবে দিল্লির এক আইনজীবী বলেন, সমস্যা হচ্ছে কোনো আইনজীবী আসামিদের পক্ষে দাঁড়াতে চাইছেন না৷ যদি কেউ না দাঁড়ায়, তাহলে বিচার থেমে যাবে৷ নিষ্পত্তি হতে হবে দেরি৷

Protest Neu Delhi Indien Vergewaltigung
ছবি: picture alliance/abaca

১৬ই ডিসেম্বরের ঘটনা নিয়ে এই মামলায় সাক্ষী হিসেবে থাকবেন ৩৫ জন৷ মূল সাক্ষী মৃতা তরুণীর ছেলেবন্ধু, যিনি ঐ সময় তরুণীর সঙ্গে ছিলেন৷ আর থাকবেন সিঙ্গাপুর হাসপাতালের যে ডাক্তার মৃত তরুণীর পোস্টমর্টেম করেছিলেন তিনি এবং পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট ভারতীয় দূতাবাসের যে কর্মকর্তার হাতে দেয়া হয়েছিল তিনি৷

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর মনে করেন, মৃতা তরুণীর নাম প্রকাশ করে ধর্ষণ-বিরোধী আইন তাঁরই নামানুসারে রাখা হোক, অবশ্যই যদি তাঁর পরিবারের আপত্তি না থাকে৷ এতে মৃতের প্রতি সম্মান জানানো হবে৷ জানা গেছে, ‘আমানত'-এর পরিবার তাতে সম্মতি দিয়েছে৷ কিন্তু এরপরও নাম প্রকাশে আপত্তি জানিয়েছে সরকার৷

এদিকে, মহিলাদের নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবারও দিল্লিতে প্রতিবাদ, ধর্ণা চলে৷ পালন করা হয় কালো দিবস৷ কিন্তু এরই মধ্যে আসামের একজন কংগ্রেস নেতা গভীর রাতে এক মহিলার ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ জনসাধারণ তা জানতে পেরে তাঁকে মারধোর করে এবং পুলিশের হাতে তুলে দেয়৷ নারীবাদীরা এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মহিলাদের প্রতি ন্যায়বিচারের দাবিতে সারা দেশ যখন উত্তাল, তখন সোনিয়া গান্ধীর কংগ্রেস পার্টির এক সদস্যের এই দুষ্কর্ম পুরো বিষয়টাকে একটা প্রহসনে পরিণত করেছে৷ তাই ঐ ব্যক্তিকে অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কার করা এবং শাস্তি দেয়া উচিত৷

ঐ অভিশপ্ত বাসের মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাসের নিয়মবিধি ভঙ্গের জন্য৷ উল্লেখ্য, বাসটি কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ হওয়ায় যাত্রি পরিবহন ছিল নিষিদ্ধ৷ স্রেফ স্কুলের কাজেই তা ব্যবহার করার অনুমতি ছিল৷ কিন্তু সেদিন বাসটিকে ভাড়া খাটানো হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য