1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ল্যাটিন অ্যামেরিকার সাফল্য

আস্ট্রিড প্রাংগে/আরবি৫ অক্টোবর ২০১৪

দারিদ্র্য বিমোচনে ল্যাটিন অ্যামেরিকার স্থান আজ সর্বাগ্রে৷ বিশাল আশাবাদীরাও ভাবতে পারেননি যে, দক্ষিণ অ্যামেরিকা এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল ফলাফল করা অঞ্চলের মধ্যে পড়বে৷

https://p.dw.com/p/1DPWE
Brasilien vor der Fußball Weltmeisterschaft 2014
ছবি: picture alliance/Sandra Gätke

দারিদ্র্য বিমোচন সম্পর্কিত বিশ্বব্যাংকের এক রিপোর্টে বলা হয় এই কথা৷ প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী ১৯৯০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশগুলিতে চরম দারিদ্র্য অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে৷ ৭০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যকে পেছনে ফেলে এসেছেন৷ ২০০৩ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন মানুষ নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উন্নীত হয়েছেন৷ এরফলে এই প্রথমবার এই অঞ্চলে মধ্যবিত্তের সংখ্যা গরিবদের চেয়ে বেশি হলো৷

Soja Plantage in Brasilien
দারিদ্র্য বিমোচনে ল্যাটিন অ্যামেরিকার স্থান আজ সর্বাগ্রেছবি: Getty Images

কয়েকটি দেশ অগ্রগামী

বিশেষ করে বাজিল, বলিভিয়া ও পেরু এই ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে৷ ১৯৯০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ব্রাজিলে দারিদ্র্যের হার ৪৭ শতাংশ থেকে ১৮.৮ শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে৷ বলিভিয়ায় দারিদ্র্যের হার ২,০০০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৬৩.৭ থেকে কমে ৩৬.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷

পেরুতে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ২০০৩ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ৫,৫০০ ডলার থেকে দ্বিগুণ হয়ে ১০,০০০ ডলার হয়েছে৷ দারিদ্র্যের হার রেকর্ড গতিতে হ্রাস পেয়েছে৷

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, টেকসই বর্ধন, সুষ্ঠু সামাজিক বণ্টন ও মজবুত অর্থনীতি ল্যাটিন অ্যামেরিকাকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে

অন্যান্য দেশও প্রণোদিত হচ্ছে

অনেক দেশই দক্ষিণ অ্যামেরিকার এই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত হয়েছে৷ যেমন লাওস, রুয়ান্ডা, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা৷ তবে এইসব কর্মসূচি দারিদ্র্য মোচনের কৌশলে একটি উপাদান মাত্র৷

‘‘আমি এমন কোনো দেশ সম্পর্কে জানিনা, যেটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছাড়া দারিদ্র্য লাঘব করতে পেরেছে,'' বলেন হামবুর্গের ল্যাটিন অ্যামেরিকা বিশেষজ্ঞ ইয়ান লে৷

তবে মহাদেশটির সাফল্যের মডেলেও দুর্বলতা দেখা দিতে শুরু করেছে৷ প্রশ্ন জাগছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ঘাটতি দেখা দিলেও কি ব্যাপক আকারের সামাজিক কর্মসূচি চালানো সম্ভব হবে কিনা? বিভিন্ন কাঁচামাল, যেমন লৌহ আকরিক, তামা, সয়াবিন ও অন্যান্য শস্যের মূল্য বিশ্ব বাজারে পড়ে গেলে কী ভাবে উন্নয়নকে ধরে রাখবে মহাদেশটি?

সতর্কবাণীও শোনা যায়

জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপি এব্যাপারে সতর্ক করে বলে এই অগ্রগতিকে একান্তই স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া ঠিক হবে না৷ এখনই উন্নয়নের গতি ধীর লয়ে চলছে৷ খাদ্যদ্রব্যের উঁচু মূল্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ বিগ্রহ ও অর্থনৈতিক সংকট উন্নয়নকে পেছনে টানবে কিনা সেটাও এক প্রশ্ন৷

বিশ্বব্যাংকও স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলে, উন্নয়ন সত্ত্বেও ল্যাটিন অ্যামেরিকার ৮২ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছেন৷ শুধু শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেই নয়, দেশের অবকাঠামোরও উন্নয়ন করতে হবে৷ ‘‘যেমন কস্টারিকা থেকে পার্শ্ববর্তী নিকারাগুয়ায় টমেটো রপ্তানি করতে ক্যালিফোর্নিয়ার চেয়ে দশগুণ বেশি খরচ হয়৷ এই বিষয়টির দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে'' বলে বিশ্বব্যাংকের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে৷