1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দারিদ্র্যই সবচেয়ে মারাত্মক

সংবাদভাষ্য: গ্রেহেম লুকাস/এসি২০ জানুয়ারি ২০১৫

ব্রিটিশ ত্রাণ সংগঠন অক্সফ্যামের হিসেব অনুযায়ী বিশ্বের ৫০ শতাংশ সম্পদ শীঘ্রই তার এক শতাংশ বাসিন্দাদের হাতে থাকবে৷ এই অনুপাত ছ'বছর আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে, ডয়চে ভেলে-র গ্রেহেম লুকাস যা নিয়ে চিন্তিত৷

https://p.dw.com/p/1ENKD
Dharavi Slum in Bombay
ছবি: Getty Images

বিশ্বনেতারা যখন সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে তাদের বাৎসরিক আলাপচারিতার জন্য মিলিত হচ্ছেন, তখন অক্সফ্যামের জরিপটা একটা সময়ানুগ স্মারকপত্র বলে গণ্য হতে পারে৷ এক মাস আগেই ওইসিডি সাবধান করে দিয়েছিল যে, ধনী-দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান আজ যতোটা, বিগত ৩০ বছরে ততোটা কখনো ছিল না৷ এর ফলে ক্রমেই আরো বেশি মানুষ মানবজাতির সৃষ্ট সম্পদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এক শতাংশ মানুষ বিশ্বসম্পদের ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করবে, ওদিকে সেই সম্পদে বিশ্বের দরিদ্রতর অংশের ভাগ ক্রমেই কমে আসছে৷ অর্থাৎ যারা ‘‘ট্রিকল ডাউন'', বা সমৃদ্ধি ধনীদের থেকে চুঁইয়ে নীচের মানুষদের কাছে পৌঁছনোতে বিশ্বাস করেন – তাদের বিশ্বাস ভুল প্রমাণিত হচ্ছে৷ বরং ঠিক তার উলটো: অক্সফ্যাম স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, ২০০৮ সালের ব্যাংক সংকটের পর সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষরাই তাদের প্রদত্ত করের মাধ্যমে বিশ্বের আর্থিক ব্যবস্থাকে বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়েছেন৷

Christine Lagarde kritisch
ক্রিস্টিন লাগার্দের মতো চিন্তিত অনেকেইছবি: Getty Images/G. Demczuk

কিন্তু বিশ্বনেতারা এই সাবধানবাণী শুনবেন কি? ডাভোসে কি দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে আলোচনা হবে, যার ফলে দরিদ্র এবং অসন্তুষ্ট জনতা সন্ত্রাসবাদের পথ ধরবে না? না, তার সম্ভাবনা কম৷ ডাভোসে বিশ্বনেতারা বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ব্যাংকারদের সঙ্গে মিলিত হয়ে ঠিক তাই করবেন, যা তাঁরা চিরকাল করে এসেছেন: তাঁরা মিডিয়ার জন্য গম্ভীর মুখ করে বিবৃতি দেবেন, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান কীভাবে মানবজাতির পক্ষে একটা আন্তরিক সমস্যা হয়ে উঠছে; কিন্তু তাঁরা কোনো অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নেবেন না৷ আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন আইএলও-র মহাপরিচালক গাই রাইডার একে বলেছেন ‘‘ডিসকনেক্ট'' – অসংযোগ – বা ‘‘কগনিটিভ ডিসফাংশন'' – ‘বোঝার সমস্যা'৷

Gedenken an die Terroranschläge in Paris 11.01.2015
ডাভোসেও সকলের মন জুড়ে থাকবে শার্লি এব্দোছবি: AFP/Getty Images/J. Guez

রাজনৈতিক নেতারা যে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে বিশেষ আগ্রহী নন, সেটা বোধগম্য৷ তাদের অধিকাংশ এসেছেন পশ্চিমি দেশ থেকে, যেখানে দারিদ্র্য দৃষ্টিগোচর হলেও, অপেক্ষাকৃত কম৷ এছাড়া আগামী বিশ-ত্রিশ বছরের মধ্যে সারা বিশ্বকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে পারার সম্ভাবনা বিশেষ উজ্জ্বল নয়, এবং সরকার বা শিল্পবাণিজ্যের পক্ষে স্বল্প মেয়াদে কোনো বড় দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচির ভার নেওয়াও সম্ভব নয়৷ সে রকম উদ্যোগ যে রাজনীতিকদের পুনর্নির্বাচনে সহায়তা করবে, এমনও নয়৷ দারিদ্র্য দূরীকরণে কোনোরকম লক্ষণীয় প্রগতি ঘটার আগেই তারা মঞ্চ থেকে বিদায় নেবেন৷ কাজেই আমরা এ বছর ডাভোসে যে বিষয়টি নিয়ে সর্বাধিক শুনব, তা হবে শার্লি এব্দো৷ বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, গুপ্তচর ও নিরাপত্তা বিভাগগুলির বাজেট বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি নিয়ে গালভরা ঘোষণা দেওয়া হবে৷ অথচ সন্ত্রাসবাদের মূলই কিন্তু দারিদ্র্যে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য