1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিক্ষোভ অব্যাহত

৩০ জানুয়ারি ২০১৪

একের পর এক দাবি মেনে নিচ্ছে ইউক্রেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট৷ কিন্তু তারপরও অটল বিরোধীরা৷ বিরোধী দলের আটক সদস্যের মুক্তি দেয়ার বিল পাসের পরও, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে দেশটিতে৷

https://p.dw.com/p/1AzNT
ছবি: Reuters

ইউক্রেন সরকার গত দু'দিনে বিক্ষোভকারীদের তিনটি বড় দাবি মেনে নিয়েছে৷ বুধবার রাতে পার্লামেন্টে ব্যাপক বিতর্কের পর কারাগারে আটক বিরোধী নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেয়ার প্রস্তাব পাস হয়৷ বিলের পক্ষে ২৩২টি ভোট এবং বিপক্ষে ১১টি ভোট পড়ে৷ ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন ১৭৩ জন পার্লামেন্ট সদস্য৷ কিন্তু এরপরও বিক্ষোভকারীরা তাদের অবস্থান ধর্মঘট থেকে সরেনি৷ প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের পদত্যাগের দাবিতে অটল তারা৷ কিয়েভ সিটি সেন্টার এবং কিয়েভের সিটিহলসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ভবন এখনও বিরোধীদের দখলে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি অথবা রাশিয়ার নেতৃত্বে শুল্ক ইউনিয়ন – এই দুই বিকল্পের মধ্যে রাশিয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে সংকটে পড়েছিল ইউক্রেন সরকার৷ সরকারের এ সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধীরা৷

মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন৷ সেইসঙ্গে পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশন ডেকে বিক্ষোভ নিষিদ্ধকরণ আইনটিও বাতিল করা হয়৷ ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ফলে মন্ত্রিসভারই আর কার্যকারিতা থাকে না৷ ফলে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করার প্রয়োজন দেখা দেয়৷ প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ-পত্র গ্রহণ করলেও বর্তমান মন্ত্রিসভাকে আরো ৬০ দিন দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানিয়েছেন৷

Ukraine Demonstration und Proteste in Kiew Opfer
তিনটি বড় দাবি মেনে নেযার পরও ইউক্রেনে বিক্ষোভ চলছেছবি: Reuters

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন বলেছেন, এই সংকটে বাইরের কোনো দেশের মাথা গলানো তারা মেনে নেবে না৷ আর ম্যার্কেল গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন৷

ইউক্রেন গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে বলে বুধবার মন্তব্য করেন দেশটির স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ক্রাভচুক৷ ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকারী এ রাজনীতিবিদ বলেন, চলমান সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রত্যেককে ‘সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতা'-র সঙ্গে কাজ করতে হবে৷

প্রায় দু'মাস ধরে রাজধানী কিয়েভের একটি গুরুত্বপূর্ণ চত্বরে অবস্থান ধর্মঘট করছেন বিরোধী নেতা-কর্মীরা৷ তারা ঘোষণা দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে৷ বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে বেশ কয়েকজন বিরোধীদলের সদস্যকে আটক করা হয়েছে৷ গত সপ্তাহে কিয়েভে বিক্ষোভের সময় তিন বিক্ষোভকারী নিহত হন৷

এপিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য