1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুঁতো সামলাচ্ছে ফিফা

২১ জুন ২০১৪

দীর্ঘ জাতীয় সংগীত গেয়ে সময় নষ্ট না করে চটজলদি ম্যাচ শুরু করাই ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ফিফার উদ্দেশ্য৷ কিন্তু গ্যালারিতে দর্শকরা বাজনা তামার পরেও গান গেয়েই চলেছেন৷ ফলে বিশ্বকাপে ঠিক সময়ে ম্যাচ শুরু করা যাচ্ছে না৷

https://p.dw.com/p/1CN9V
WM 2014 Gruppe D 1. Spieltag England Italien
ছবি: Reuters

৯০ সেকেন্ডের মধ্যে জাতীয় সংগীত শেষ করতে হবে – এটাই স্থির করে দিয়েছে ফিফা৷ কিন্তু সমস্যা হলো সব দেশের জাতীয় সংগীত তো সমান নয়! দেশ অনুযায়ী দেশাত্মবোধেরও তফাত রয়েছে৷ যেমন দক্ষিণ অ্যামেরিকার মানুষ নিজেদের দেশে বিশ্বকাপ নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন৷ তাই তারা স্টেডিয়ামে এসে বেশ আবেগের সঙ্গে নিজেদের জাতীয় সংগীত গেয়ে চলেছেন৷ তাঁদের মধ্যে অনেকের কাছে ৯০ সেকেন্ড যথেষ্ট নয়৷ তাই মাঠে বাজনা থেমে গেলেও তারা দিব্যি গেয়ে চলেছেন৷ খেলোয়াড়রাও তখন আর ঘড়ি দেখে আবেগ চেপে রাখতে পারেন না৷ খোদ ব্রাজিলের ক্যাপ্টেন টিয়াগো সিলভা বলেছেন, দর্শকদের সমবেত গান শুনলে বেশ প্রেরণা পাওয়া যায়৷ খেলার উপরেও তার প্রভাব পড়ে৷

আসলে এই প্রবণতা নতুন নয়৷ ব্রাজিলের সমর্থকরা গত বছরই জাতীয় সংগীত গাওয়ার লাগামছাড়া প্রবণতা চালু করেছিলেন৷ তাঁদের দেখাদেখি চিলি ও কলম্বিয়ার সমর্থকরাও গানে গলা মেলাচ্ছেন৷ সত্যি বলতে কি, কোনো বাজনা ছাড়াই হাজার হাজার মানুষের কণ্ঠে গান শুনলে কার না রোম খাড়া হয়! প্রতিপক্ষ টিম ও তার সমর্থকরাও তখন কিছুটা চুপসে যায়৷ এবারের বিশ্বকাপে চিলির সমর্থকরা দু'টি ম্যাচে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন৷ কলম্বিয়ার সমর্থকরাও গ্রিসের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাজনা থামার প্রায় ৩০ সেকেন্ড পরেও গান চালিয়ে গেছেন৷ কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন ব্রাজিলের সমর্থকরা৷ তাঁদের প্রায় ৪ মিনিটের জাতীয় সংগীতকে ৯০ সেকেন্ডে কমানো কঠিন৷ অনেক কাটছাঁট করেও শেষ পর্যন্ত বাজনা থামার ১ মিনিট পর্যন্ত গান চলছে৷

ফিফা এই প্রবণতা লক্ষ্য করছে বটে, কিন্তু এখনই নিয়ম বদলানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই৷ তাছাড়া এই নিয়ে মাঠেও কোনোরকম গোলযোগ দেখা যায়নি৷ প্রতিপক্ষ টিম, কর্মকর্তা বা সমর্থকরা বিষয়টি লক্ষ্য করেও যথেষ্ট শ্রদ্ধা দেখাচ্ছেন৷

এসবি/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য