দরিদ্র দেশ, বিলাসবহুল গাড়ি
দরিদ্র দেশের প্রায় সব ট্যাক্সি চালকেরই রয়েছে জার্মানির বিলাসবহুল মার্সিডিজ গাড়ি, যেগুলো ৮০ দশকের তৈরি এবং ডিজেলে চলে৷
গিনি বিসাউ-এর সব ট্যাক্সিই মার্সিডিজ
গিনি বিসাউ আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলির একটি৷ এটি বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলিরও অন্যতম৷ এখানে সকল ট্যাক্সি চালকেরই রয়েছে মার্সিডিজ বেনৎস-এর গাড়ি৷ বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ হলেও তাঁরা চালান জার্মানির ডাইমলার বেনৎস কোম্পানির বিলাসবহুল মার্সিডিজ গাড়ি৷
দীর্ঘদিন চলে ডিজেল মডেলের মার্সিডিজ
মালিক এবং চালকদের কাছে মার্সিডিজের এই পুরনো মডেলের গাড়ি খুবই পছন্দের, যেগুলোতে আজকের দিনের অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা নেই এবং সহজে মেরামত করা যায়৷ বলা যায় বিসাউ-এর চার লক্ষ জনসংখ্যার যানবাহন বাস এবং ট্যাক্সি – প্রায় সবই মার্সিডিজ কোম্পানির গাড়ি৷
আমাদু ১৯৯৯ সাল থেকে এই মার্সিডিজটিই চালাচ্ছে
জার্মান প্রবাসী এক ব্যক্তি ১৯৯৭ সালে এই মার্সিডিজটি পাঠিয়েছিলেন তাঁর পরিবারকে সাহায্য করার জন্য পূর্বের শহর বাফাটাতে৷ ‘‘১৯৯৯ সালে গাড়িটি বিসাউ এ আনা হয়েছে , তারপর থেকেই আমি চালাই৷ আমি এটা চালিয়ে যা পাই তা দিয়ে আমার পরিবারের দু’বেলার খাওয়া-দাওয়া চলে যায়৷’’
যৌথ বিনিয়োগ
মার্সিডিজ ট্যাক্সির মালিক মোট ৭ জন৷ ৪২-১১-সিডি ট্যাক্সির এই নম্বরটি শহরের সবাই এক কথায় চেনে৷ গাড়ি চালানোর ব্যবসা ভালো চললে মাসে ৭৫ ইউরো রোজগার হয়, যা বিসাউবাসীদের জন্য অনেক টাকা৷ কারণ গড়ে তাঁদের আয় মাসে ৫০ ইউরোর কম৷
নির্দিষ্ট রুটের জন্য মার্সিডিজ ট্রাক
ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের ট্যাক্সিগুলো বিভিন্ন রাস্তায় চলে৷ মার্সিডিজ ট্রাকগুলো ট্রাকের নির্দিষ্ট রুটে চলে৷ তাছাড়া ‘টোকা-টোকা’ নামের এই হলুদ, নীল মিনিবাসগুলোও চলে৷ ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির ব্রেমেনে ২১০ ডি মডেলের ৯৭০.০০০ গাড়ি তৈরি করা হয়েছিল৷ বর্তমানে ভারতের কারখানায় এই গাড়ি তৈরি হচ্ছে৷
সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি আমদানি
মিনিবাস বা ট্যাক্সি যাই হোক না কেন, সব সময়ই সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি আমদানি করা হয়৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গাড়িগুলো প্রতিবেশী দেশ জাম্বিয়ার বন্দর হয়ে ইউরোপ থেকে আফ্রিকায় আনা হয়৷ আফ্রিকায় আসার পর সেনেগাল হয়ে বিসাউ এ আসে৷ এবং সেখানেই আফ্রিকান নাগরিকদের পছন্দমতো গাড়ির রং বদলানো হয়৷