1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দন্তহীন স্পেন, শ্বাপদ ব্রাজিল

১ জুলাই ২০১৩

কনফেড কাপের ফাইনালে স্পেনকে দাঁড়াতে দিল না এক নতুন – এবং পুরনো ব্রাজিল৷ সামনে তাদের নেইমার ও ফ্রেড নামের এক জুটি, যারা কামড়াতে জানে৷ স্পেনের টিকি-টাকার সঙ্গে গোল করার ক্ষমতা যুক্ত হলে যা হয়৷

https://p.dw.com/p/18yx2
From L to R) Brazil's Fred celebrates with teammates Neymar, Paulinho and Oscar after scoring against Spain during their Confederations Cup final soccer match at the Estadio Maracana in Rio de Janeiro June 30, 2013. REUTERS/Jorge Silva (BRAZIL - Tags: SPORT SOCCER TPX IMAGES OF THE DAY) / Eingestellt von wa
ছবি: Reuters

মনে রাখতে হবে, ফ্রেডের বয়স ২৯, নেইমারের ২১৷ ফ্রেড যতই গোল করুক না কেন, তাঁকে ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ' করা হয়নি এবং গোটা টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ‘গোল্ডেন বল'-র জন্য শর্টলিস্টেও তাঁর নাম ছিল না৷ সঙ্গত কারণেই৷ ফ্রেড যতই মূল্যবান হোক না কেন, খেটে খাওয়া প্লেয়ার, জিনিয়াস নয়৷ নেইমারের সহজাত প্রতিভা৷ তাঁকে আগামীর পেলে বলার কোনো মানে হয় না৷ পেলে যাবৎ ফুটবল অনেক বদলেছে৷ নেইমার হলো আজকের, এই প্রজন্মের নেইমার এবং ভবিষ্যতের আরেক কিংবদন্তি৷ সেই কিংবদন্তির জন্মই আমরা দেখলাম এই কনফেডারেশন্স কাপে৷

Brazil's Neymar celebrates after scoring a goal against Spain during their Confederations Cup final soccer match at the Estadio Maracana in Rio de Janeiro June 30, 2013. REUTERS/Marcos Brindicci (BRAZIL - Tags: SPORT SOCCER) / Eingestellt von wa
নেইমার হলো আজকের, এই প্রজন্মের নেইমার এবং ভবিষ্যতের আরেক কিংবদন্তিছবি: Reuters

খেলা হল অবসান

ফুটবল বদলেছে৷ চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন কি ডর্টমুন্ডের সঙ্গে বার্সেলোনা কি রেয়ালের খেলা দেখেই সেটা বোঝা গিয়েছিল৷ এবার ফনফেড কাপের ফাইনালে স্পেনের ভরাডুবি সেই বেদনাদায়ক উপলব্ধিকে আতঙ্কের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে৷ কেননা স্পষ্টতই স্পেনের টিকি-টাকা ফুটবলের দিন শেষ হয়েছে৷ অপরদিকে রবিবার ব্রাজিলের – বা ইটালির, অথবা উরুগুয়ের খেলা দেখে যাদের চিন্তায় পড়তে হবে, তারা হলো জার্মানরা স্বয়ং৷ জার্মান কাঠিন্যের সঙ্গে মোকাবিলায় ব্রাজিলিয়ানরা ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে টিকি-টাকার সহজপাঠ থেকে শুরু করে অপ্রত্যাশিতরকম দৃঢ় ব্যাকলাইন ও মিডফিল্ড, এবং শেষমেষ নেইমার-ফ্রেডের মতো জুড়ির চকিত আক্রমণ আনতে পারে ও হানতে পারে৷ এছাড়া তাদের জুলিও সেজারের মতো গোলকিপার হাতে রয়েছে৷ রয়েছে ফেলিপাও, অর্থাৎ লুইজ ফেলিপে স্কোলারির মতো প্রবীণ, অভিজ্ঞ কোচ৷

বিশ্বকাপে একেবারে ওপরের দিকে যে দলগুলি খেলবে, তাদের মধ্যে জার্মানি ও ব্রাজিল তো থাকবে নিশ্চয়; উরুগুয়ে কি আর্জেন্টিনার কথা এক্ষুণি বলা যাচ্ছে না; তবে ইটালিকে হিসেবের মধ্যে থেকে বাদ দেওয়া কোনোমতেই উচিত হবে না৷ স্পেনও থাকবে, ধরে নেওয়া যাক সেমিফাইনাল অবধি৷ কিন্তু বিশ্বকাপের যেখানে পুরো বারো মাসও বাকি নেই, সেখানে ওটুকু সময়ের মধ্যে তারা তাদের আন্ডার টোয়েন্টিওয়ান ঝেড়েঝুড়ে কোনো আধা কি সিকি নেইমার বার করে আনতে পারবে বলে মনে হয় না৷

দেল বস্কের ‘আশাবাদিতা'

স্পেনের কোচ ভিসেন্তে দেল বস্কে কনফেড কাপের ফাইনালের পর যে ধরনের রক্ষণশীল কথাবার্তা বলেছেন, তা-তে স্পেনীয় দলে বড় রকমের কোনো পরিবর্তন আশা করা বৃথা৷ দেল বস্কে বলেছেন, ‘‘আমাদের অতীতে যা খেলেছি, সেটাই আমাদের আশাবাদীতার কারণ৷... আমাদের ভালো ভালো প্লেয়ার আছে, একটা বিশেষ খেলার ধরন আছে৷ একটা খেলা হেরেই সে সব বদলে দেওয়া উচিত নয়৷'' বিপদটা হয়তো সেখানেই৷ স্পেনেরও যে বাকি বিশ্বের কাছ থেকে কিছু শেখার দরকার থাকতে পারে – জার্মানির কাছ থেকে তো বটেই, সেই সঙ্গে ব্রাজিল, এমনকি ইটালির কাছ থেকে – দেল বস্কের মুখে এ কথাটা শুনতে পেলেই বোধহয় আর একটু আশ্বস্ত বোধ করা যেতো৷

Brazil's Neymar (C) celebrates scoring a goal past Spain's goalkeeper Iker Casillas (L) and Alvaro Arbeloa (R) during the Confederations Cup final soccer match at the Estadio Maracana in Rio de Janeiro, June 30, 2013. REUTERS/Paulo Whitaker (BRAZIL - Tags: SPORT SOCCER) / Eingestellt von wa
ফা্ইনালে স্পেনের গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসের মত এভাবেই ভেঙ্গে পড়েছে তাঁর দলছবি: Reuters

সাবধানি স্কোলারি

ব্রাজিলের কোচ লুইজ ফেলিপে স্কোলারি কিন্তু বলে চলেছেন, তাঁর দল হলো যাকে বলে কিনা ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেস, মানে কাজ চলেছে৷ ‘‘আমার এখনও একটা সম্পূর্ণ দল নই,'' বলেছেন স্কোলারি, ‘‘কিন্তু আজ আমরা ২০১৪'র পথে পা ফেলেছি৷'' দলের সঙ্গে ফ্যানদের যে নতুন করে সম্পর্ক, নতুন করে আস্থা গড়ে উঠেছে, তার কথাও বলেছেন স্কোলারি৷ তবে স্কোলারি যে কথাটি বলেননি – এবং যে কথাটা বলার প্রয়োজন পড়ে না – সেটা হলো: নেইমারের মতো খোলা তরোয়াল হাতে দ্বন্দ্বযুদ্ধে নেমেও সুখ৷ ভোঁতা টরেসকে দিয়ে যে কাজ হতে পারে না৷

টরেসের দলীয় সতীর্থ জেরা পিকে – যিনি পপ গায়িকা শাকিরার দয়িত – তিনি নেইমারকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন৷ কিন্তু এই বিভীষিকাময় ম্যাচ সম্পর্কে পিকে'র মন্তব্য: এই সন্ধ্যেটা থেকে ভালো একটা কিছুও পাওয়া গিয়েছে৷ ‘‘নেইমার একজন অসাধারণ প্লেয়ার৷ ও যে আমাদের (অর্থাৎ বার্সেলানোর) হয়ে আগামী মরশুমে খেলবে, সেটা আনন্দের কথা৷''

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য