1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ সুদান: স্বাধীনতা, স্বীকৃতি, সংঘাত?

১০ জুলাই ২০১১

বিশ্বনেতারা এককণ্ঠে আফ্রিকা এবং বিশ্বের নবীনতম রাষ্ট্র হিসেবে দক্ষিণ সুদানের জন্মকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ কিন্তু যুগপৎ উত্তরের সাথে সংঘাতের সম্ভাবনার ব্যাপারেও তারা পুরোপুরি ওয়াকিবহাল৷

https://p.dw.com/p/11sOo
দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির দেখাচ্ছেন দেশের নতুন সংবিধানছবি: dapd

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তো দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতাকে বলেছেন ‘সুযোগ, গণতন্ত্র, ন্যায়ের পথে আফ্রিকার সুদীর্ঘ যাত্রাপথে আরেকটি পদক্ষেপ'৷

অন্যরা কে কী বলছে

অভিনন্দন বার্তা এসেছে ব্রাজিল, ক্যানাডা, মিশর, ইথিওপিয়া, জর্ডান, কেনিয়া, লিবিয়া, সুইজারল্যান্ড এবং তুরস্ক থেকে৷ এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হের্মান ফ্যান রমপয় একটি টুইটার বার্তায় বলেছেন, ‘আফ্রিকায় একটি নতুন দেশ জন্ম নিয়েছে'৷ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জেকব জুমা বলেছেন, কেপ থেকে কায়রো অবধি আফ্রিকার মানুষেরা দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতায় গর্বিত৷ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নতুন প্রেসিডেন্ট সালভা কির'কে প্রেরিত একটি বার্তায় বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, দক্ষিণ সুদান উত্তর সুদানের সঙ্গে যাবতীয় সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷

তেল নিয়ে ভাগাভাগি..

সুদানের মোট তেল উৎপাদনের শতকরা ৭৫ ভাগ এখন দক্ষিণ সুদানে, অথচ দেশের একমাত্র পাইপলাইনটি যাচ্ছে উত্তর সুদান হয়ে৷ কাজেই ভারত কি চীনের মতো সুদানের তেলে আগ্রহী উঠতি অর্থনীতিগুলি স্বভাবতই ঐ সমঝোতার উপর বিশেষভাবে জোর দেবে৷

চীন আর রাশিয়াও আগ্রহী

চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও'এর প্রতিনিধিও দক্ষিণ সুদানের ‘‘তরুণ প্রজাতন্ত্রের'' প্রতি ‘‘ঊষ্ণতম অভিনন্দন'' জানানোর পর উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে চলমান আলাপ-আলোচনার কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি৷ রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ তাঁর প্রেরিত টেলিগ্রামে দক্ষিণ সুদানের বিপুল তেল সম্পদে রুশ সংস্থাগুলির আগ্রহের কথা বলেছেন৷

Südsudan Unabhängigkeitserklärung NO FLASH
জুবায় শনিবার ভাষণ দিচ্ছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনছবি: dapd

সমস্যার সাতকাহন

তেলের কথা পরে৷ কিন্তু দরিদ্র দক্ষিণ সুদানের তো এখন উত্তর থেকে আগত মানুষদের পুনর্বাসন থেকে শুরু করে বহু সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সেরকম সাহায্যেরই প্রস্তাব দিয়েছেন৷ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত জুবা পৌঁছেছেন তাঁর কাজ শুরু করার জন্য৷

আগ্রহী ইউরোপ

উত্তর মুসলিম প্রধান, দক্ষিণে বিদ্রোহীরা প্রধানত খ্রিষ্টান৷ সেটাও দক্ষিণ সুদানের প্রতি ইউরোপের প্রত্যাশিত সাহায্যের একটা কারণ হতে পারে৷ তেলের কারণেই হোক, আর যে কারণেই হোক, অঞ্চলটায় সর্বাগ্রে প্রয়োজন স্থিতির৷ এবং তার পথে প্রধান বাধা হল উত্তর আর দক্ষিণের মধ্যে সীমান্ত নির্ধারণ থেকে শুরু করে, দারফুরের বিদ্রোহ থেকে শুরু করে দু'পক্ষের ‘প্রবাসীদের' ভাষা ইত্যাদি নিয়ে বিভিন্ন বিরোধ৷ সেগুলোর আগে সমাধান হওয়া দরকার৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়