1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনীতিতে সক্রিয় নারীরা

২৯ জুন ২০০৯

রাজনীতিতে মহিলাদের নির্বাচনের কোটা সম্পর্কিত আইনের প্রচলন রয়েছে বিশ্বের ৫০টিরও বেশী দেশে৷ কোটা থাকার কারণে রাষ্ট্রের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর সম্পৃক্ততা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/IdEY
ছবি: AP

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত, ভারত, বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনীতিতেও নারীরা আজ যথেষ্ট সক্রিয়৷ ভারতের পার্লামেন্ট সহ আইন পরিষদে নারীর অন্তর্ভুক্তি শতকরা তিন ভাগের একভাগ৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনেও নারীর জন্যে আসন নির্ধারণের বিষয়টি সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে৷ তা সত্ত্বেও রাজনীতিতে সম্মুখসারিতে নারীর অবস্থান এখনও অনেক কম৷ যেমন কংগ্রেস পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন মহিলা, তারপরও কংগ্রেস পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে মাত্র শতকরা ১০ ভাগ নারী৷ রাজনৈতিক দল বিজেপি-তে নারী প্রার্থীর সংখ্যা আরো কম৷ মাত্র শতকরা ৭ ভাগ৷ এমনকি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতেও একই অবস্থা৷ তাদেরও মহিলা প্রার্থী শতকরা মাত্র ৭ ভাগ৷

আর যে ব্যাপারটি রয়েছে, ভারতের বেশীরভাগ রাজনৈতিক দলের মহিলা সদস্যরা দলের অন্যান্য ক্ষেত্রে সক্রিয় থাকলেও ডিসিশন মেকিং বডি বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদেরকে দেখা যায়না৷ তাদের অন্তর্ভুক্তি থাকে রাজনৈতিক দলের মহিলা শাখার মধ্যে৷ এই একই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রেও দেখা যায়৷ দক্ষিণ এশিয়ার মহিলা রাজনীতিবিদরা সাধারণত তাদের মনোযোগ নিবদ্ধ করেন, যৌতুক, ধর্ষণ সম্পর্কিত বিষয় এবং সাধারণ মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কিত বিষয়গুলোর দিকে৷ যেগুলো বিশেষভাবে গৃহবধুদের প্রভাবিত করে থাকে৷

প্রশ্ন হচ্ছে রাজনীতিতে মহিলাদের কোটা থাকলেও, কেন তারা ডিসিশন মেকিং বডিতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন না? বাস্তব বিষয়টি হচ্ছে রাজনীতিতে মহিলা নেত্রীরা পুরুষদের চেয়ে ভালোও করতে পারছেন না, আবার খারাপও না৷ তবে এই ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে ভারতের রাজনীতিতে ইন্দিরা গান্ধীর মতো নেত্রীর কথা সম্পূর্ণই আলাদা৷

প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার