থাইল্যান্ড পেতে যাচ্ছে প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী
৪ জুলাই ২০১১নির্বাচনের সর্বশেষ
নির্বাচন কমিশন বলছে ভোট গণনা শেষ৷ মোট ৫০০ আসনের মধ্যে ইঙ্গলাকের দল পেয়েছে ২৬৫ আসন৷ অর্থাৎ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে দলটি৷ আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অভিসিৎ ভেজ্জাজিভার দল পেয়েছে ১৫৯ আসন৷ ইঙ্গলাক বলছেন, যদিও তাঁর দল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে তবুও তিনি জোট সরকার গঠন করবেন৷ বিশ্লেষকরা বলছেন সেনাবাহিনী যেন কোনো ছুতোয় অভ্যুত্থান করতে না পারে সেজন্য কয়েকটি দল নিয়ে সরকার গঠন করা হতে পারে৷ উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে প্রায়ই অভ্যুত্থান হয়ে থাকে৷ এখন পর্যন্ত যতবার নির্বাচন হয়েছে, অভ্যুত্থানও হয়েছে প্রায় সমান সংখ্যক৷
দেশে ফিরবেন থাকসিন?
সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন এখন দুবাইতে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে রয়েছেন৷ দুর্নীতির দায়ে তাঁর যে সাজা হয়েছে সেটা এড়াতেই তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন৷ এখন তাঁর বোন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন৷ তবে এখনই দেশে ফিরে কোনো সমস্যার সৃষ্টি করতে চান না থাকসিন৷ তবে ডিসেম্বরে মেয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে দেশে যেতে চান তিনি৷ উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন থাকসিন দেশে ফিরলে সেনাবাহিনী আবার তাঁর পেছনে লাগতে পারে৷ এছাড়া ধণিক শ্রেণির লোকজনও থাকসিনকে পছন্দ করেনা৷ ফলে ‘হলুদ জামাধারীরা' আন্দোলন শুরু করতে পারে৷
ইঙ্গলাক সিনাওয়াত্রা
তিনি রাজনীতিতে নতুন৷ ছিলেন মূলত ব্যবসায়ী৷ রাজনীতিতে তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন৷ থাকসিন তাঁর বোনকে নিজের ‘ক্লোন' বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ নির্বাচনী প্রচারণার সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভালভাবে মিশে গিয়েছিলেন ইঙ্গলাক৷ যেটা তাঁর জন্য সুফল বয়ে এনেছে৷ স্নাতক পড়েছেন নিজ দেশে৷ তবে স্নাতকোত্তর করেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে৷
বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে৷ নির্বাচনে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়ায় তার প্রশংসা করেছে দেশটি৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুলান্ড বলেছেন, কে থাইল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেবে সেটা নির্বাচিতরাই ঠিক করবে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম