1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কে পেট্রিয়ট

আন্দ্রেয়াস গর্জেভস্কি / এসি২১ জানুয়ারি ২০১৩

পেট্রিয়ট রকেট প্রতিরক্ষা প্রণালীটির কাজ হল, সিরিয়া থেকে সম্ভাব্য আক্রমণের ক্ষেত্রে ন্যাটো-সদস্য তুরস্ককে রক্ষা করা৷ কিন্তু গোটা এলাকাটি সম্ভবত বর্তমান প্রণালীটির পক্ষে কিছু বড়৷

https://p.dw.com/p/17NrT
ছবি: Deutsche Bundeswehr/Getty Images

আগামী মাসের সূচনাতেই তুর্কি-সিরীয় সীমান্তে পেট্রিয়ট রকেটগুলির আকাশমুখী হয়ে দাঁড়ানোর কথা৷ সিরিয়া থেকে তুরস্কের দিকে যদি কোনো রকেট এসে পড়ে, তবে তা ধ্বংস করাই হবে এই পেট্রিয়ট রকেটগুলির কাজ৷ জার্মানরা তাদের পেট্রিয়ট প্রণালী নিয়ে থাকছে কারামানমারাস শহরে, ওলন্দাজরা ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী আদানা'য়, এছাড়া মার্কিনিরা গাজিয়ান্টেপ'এ৷ দিয়ারবাকির কিংবা বাতমান'এর মতো বড় শহর এই সুরক্ষিত এলাকার বাইরে পড়ছে৷ ছ'টি পেট্রিয়ট মিসাইল দিয়ে সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের ৯০০ কিলোমিটার সীমান্ত কার্যকরিভাবে রক্ষা করা সম্ভব নয়৷

পেট্রিয়ট মিসাইলগুলির পাল্লা ৬৮ কিলোমিটার, এবং তারা দেশের দক্ষিণে স্বল্প কয়েকটি শহর রক্ষা করতে সমর্থ৷ কাজেই এই মিসাইল প্রতিরক্ষাকে প্রধানত প্রতীকী বলে গণ্য করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা৷ বড় জনবহুল এলাকাগুলি এই সুরক্ষিত এলাকার মধ্যে পড়ে না, পড়লেও তাদের রক্ষা করা এই রকেট প্রতিরক্ষা প্রণালীর সাধ্যে কুলতো না৷

তুরস্কে ইতিপূর্বেও ন্যাটোর মিসাইল স্থাপন করা হয়েছে, যেমন ১৯৯১ কিংবা ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধের সময়৷ গতবছরের অক্টোবর মাসে সীমান্তের অপর পার থেকে গ্রেনেড এসে পড়ে তুরস্কে পাঁচজন মানুষ প্রাণ হারান৷ অতঃপর আংকারা সরকার আবার ন্যাটোর সাহায্য চান৷ তুর্কি মিডিয়ার খবর অনুযায়ী সূচনায় আংকারা সরকার তাদের দক্ষিণ সীমান্ত বরাবর ২০টি পেট্রিয়ট প্রণালী পাবার আশা করছিলেন৷ কিন্তু তার অর্থ হতো, বর্তমানে যে ক'টি পেট্রিয়ট প্রণালী আছে, তাদের একটা বড় অংশ তুরস্কে নিয়োগ করতে হতো৷ কাজেই শেষমেষ জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডস প্রত্যেকে দু'টি করে পেট্রিয়ট প্রণালী স্থাপন করতে রাজি হয়৷

Bundeswehr Patriot Einsatz Türkei Raketenabwehrstaffeln Abflug
পেট্রিয়টের জার্মান সৈন্যরা বিমানযোগে তুরস্ক যাত্রা করছেছবি: picture-alliance/dpa

গোটা অভিযানটির প্রতিরক্ষামূলক প্রকৃতিও কোথায় রকেটগুলো স্থাপন করা হবে, সেই সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছে৷ ন্যাটোর অধিকাংশ সদস্যদেশই শঙ্কিত যে, পেট্রিয়ট রকেটগুলি দিয়ে সিরিয়ার বায়ু অঞ্চলে উড়ন্ত বিমানগুলিকে লক্ষ্য করা হতে পারে৷ কাজেই ডিসেম্বরের গোড়াতেই জার্মান সরকার পরিষ্কার করে দেন যে, তুরস্কে পেট্রিয়ট পাঠানোর উদ্দেশ্য এই নয় যে, সিরিয়ার বায়ু অঞ্চলে একটি নো-ফ্লাই বা উড়াল-নিষেধ এলাকা সৃষ্টি করা হবে এবং পেট্রিয়ট রকেটগুলি তার উপর নজর রাখবে৷

ন্যাটোও অভিযানের প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করে৷ বলতে কি, কারামানমারাস কিংবা আদানা, দু'টি স্থানই সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে৷ কাজেই পেট্রিয়ট রকেটগুলি সিরিয়া অবধি পৌঁছতেই পারবে না৷ আবার গাজিয়ান্টেপ থেকে কোনো মার্কিন পেট্রিয়ট রকেট ছোঁড়া হলেও তা দক্ষিণে সিরিয়া অবধি পৌঁছবে না৷

কিন্তু এই প্রতিরক্ষামূলক রকেটগুলি তুরস্কের বায়ু প্রতিরক্ষা প্রণালীকে সাধারণভাবে আরো জোরদার করতে পারবে৷ অর্থাৎ সিরিয়া যদি বিমান কিংবা মাঝারি পাল্লার রকেট দিয়ে তুরস্ক আক্রমণ করে - যা ঘটার আশঙ্কা খুব কম - সেক্ষেত্রে তুরস্কের বায়ু প্রতিরক্ষার তা ঠেকানোর ক্ষমতা থাকবে না৷ বিশেষ করে মাঝারি পাল্লার রকেটগুলিকে নিয়েই তুরস্কর ভয়৷ সিরীয় সেনাবাহিনির কাছে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও রাসায়নিক অস্ত্র, দুই'ই আছে৷ সিরিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলির শঙ্কা হল, দামেস্ক সরকার পরাজয়ের মুখে পড়লে মরণকামড় হিসেবে সেগুলিকে ব্যবহার করতে পারেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য