1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কে নির্বাচন: আস্থা এবং সংশয়

১১ জুন ২০১১

প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি৷ তবে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের আশঙ্কা, জনসমর্থনের জোরে সংবিধানের ওপর না হাত দেন প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তাইপ এর্দোয়ান৷

https://p.dw.com/p/11Yk4
ইস্তানবুলে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের প্রতিবাদ (ফাইল ছবি)ছবি: AP

তুরস্কের বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷ ২০০২ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে এর্দোয়ানের নেতৃ্ত্বাধীন একে পার্টি৷ বিগত নির্বাচনে দলটি ৪৭ শতাংশ ভোট পায়৷ এবারের নির্বাচনেও মনে করা হচ্ছে তারা ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট পাবে৷ জনমত সমীক্ষাগুলো থেকে দেখা যাচ্ছে, দলটি সংসদের ৫৫০টি আসনের মধ্যে ৩৩০টি আসনে বিজয়ী হতে যাচ্ছে৷ যদি তাই হয়, তাহলে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব তারা সংসদে তুলতে পারবে এবং সেজন্য গণভোটের সুযোগ থাকছে৷ অন্যদিকে দুই তৃতীয়াংশ আসন অর্থাৎ ৩৬৭টি আসন তারা লাভ করলে গণভোট ছাড়াই সংবিধান সংশোধন করতে পারবে৷ আগামীকাল নির্বাচনেই দেখা যাবে আসলে কতটুকু জনসমর্থন এই দলের পক্ষে রয়েছে৷

তবে বামপন্থী সিএইচপি পার্টিসহ বিরোধী দলগুলোর আশঙ্কা যে, একে পার্টির এই বিপুল জনসমর্থন দেশটির বহুদিনের ধর্মনিরপেক্ষ সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷ বিগত কয়েক বছর ধরে বিরোধী দলগুলো এই সংবিধান, সংবিধান করেই সময় পার করেছে৷ তবে শেষ পর্যন্ত তারা বুঝতে পেরেছে যে এতে আর যাই হোক জনসমর্থন তাদের পক্ষে আসবে না৷ তাই কেমাল কিলিচদারেগলুর নেতৃত্বাধীন সিএইচপি পার্টি আপাতত তাদের কৌশল বদলেছে৷ একে পার্টির গায়ে ইসলামিক দলের লেবেল লাগানোর পরিবর্তে তারা এখন টার্গেট করেছে প্রধানমন্ত্রী এর্দোয়ানকে৷ অসহিষ্ণু ও গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী হিসেবে তারা প্রধানমন্ত্রী এর্দোয়ানকে দোষারোপ করে চলেছে৷ বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, সংবাদমাধ্যম ও বিরোধী দলের প্রতি এর্দোয়ানের কঠোর মনোভাব গণতান্ত্রিক পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলছে৷

Die Neue Türkische Lire
২০০৪ সাল যাবৎ নতুন তুর্কি লিরা৷ছবি: AP

বিরোধীপক্ষের এই প্রচারণা কতটুকু হালে পানি পাবে সেটা বোঝা যাবে কালকের নির্বাচনে৷ তবে গত কয়েক বছরে তুরস্কের অর্থনীতির ব্যাপক প্রসারণ এবং আঞ্চলিক পরিমণ্ডলে শক্তি হিসেবে আবির্ভাব অস্বীকার করা যায় না৷ বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার এই সময়টিতেও গত বছর তুরস্কের অভ্যন্তরীণ সামগ্রিক উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল ৮.৯ শতাংশ৷ একে পার্টির শাসনামলের নয় বছরে তুরস্কের মাথাপিছু জিডিপি দ্বিগুণ হয়েছে৷ এবারের নির্বাচনে এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এর্দোয়ানের পক্ষে সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে কাজ করছে৷ আগামী এক যুগের মধ্যে তুরস্ককে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ১০টি অর্থনীতির একটিতে পরিণত করার যে লক্ষ্য নিয়েছে তার দল, তাতে তুর্কি জনগণের প্রায় সকলেই সমর্থন দিচ্ছে এখন পর্যন্ত৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী