1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্কের ইইউ সদস্যপদ প্রশ্নে গণভোটের দাবি

২৪ অক্টোবর ২০১০

২০০৫ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদের জন্য লড়ছে তুরস্ক৷ কিন্তু সাফল্য এখন পর্যন্ত খুব কম৷ মোটের ওপর ইউরোপের কট্টর-ডানপন্থী দলগুলো বলছে, তুরস্কের যোগদান ইইউ’র পরিচয়কেই হুমকির মধ্যে ফেলবে৷

https://p.dw.com/p/PmC8
তুরস্কের পূর্ণাঙ্গ ইইউ সদস্যপদ নিয়ে বিতর্ক চলছে (ফাইল ফটো)ছবি: picture-alliance/dpa

কট্টর-ডানপন্থীদের বৈঠক

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইউরোপের বেশকিছু কট্টর-ডানপন্থী রাজনৈতিক দল বৈঠকে বসে৷ মূলত ইইউতে তুরস্কের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে৷ কট্টরপন্থীরা চাইছে, এই বিষয়ে ইউরোপের সাধারণ মানুষের মতামত নিতে৷ যাকে বলে গণভোট৷ দু'দিনের বৈঠক শেষে অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টির প্রধান হাইন্স ক্রিস্টিয়ান স্ট্রাশে জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি ইউরোপের বাইরের দেশকে সদস্য করে, তাহলে ইউরোপ ভুল পথে চালিত হবে৷

তিনি বলেন, তুরস্কের যোগদানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমাপ্তি ঘটবে এবং ইউরো-এশিয়ান-আফ্রিকান ইউনিয়নের সূচনা হবে৷ যা ইউরোপের শান্তির পরিপন্থী এবং এটা কোনভাবেই অনুমোদন দেয়া যায়না৷

গণভোট

লিসবন চুক্তি যা ২০০৯ সালের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর, সেই চুক্তি অনুযায়ী এধরণের গণভোট আয়োজন সম্ভব৷ কিন্তু এজন্য ইইউ'র বেশকিছু সদস্য রাষ্ট্রের কমপক্ষে দশ লাখ জনসাধারণের সম্মতির প্রয়োজন হবে৷ তবে, এধরণের গণভোট আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি এখনো আইনে রূপ নেয়নি৷ তাছাড়া বেশকিছু রাষ্ট্র বলতে ঠিক কতটি দেশ বোঝায় তাও পরিষ্কার নয়৷

তুরস্কের সাংবিধানিক সংস্কার

কট্টর-ডানপন্থীদের বৈঠক নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা তুরস্কের কোন মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি৷ তবে, তুরস্কের সাংবিধানিক সংস্কারের দিকে আপাতত নজর দিচ্ছে ইইউ৷ এরকম এক খবর প্রকাশ করেছে তুর্কি বার্তাসংস্থা অ্যানাটোলিয়া৷ ইইউ'র সম্প্রসারণ বিষয়ক প্রধান স্টেফান ফুলির বরাত দিয়ে সংস্থাটি জানাচ্ছে, তুরস্কের সংবিধানে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গিতপূর্ণ হতে হবে৷ শুধু তাই নয়, তুরস্ককে সাংবিধানিকভাবে বাক স্বাধীনতারও স্বীকৃতি দিতে হবে৷ বিশেষ করে গণমাধ্যমের ওপর কোন চাপ রাখা যাবেনা৷ শনিবার ইস্তানবুলে এক বৈঠকে একথা বলেছেন ফুলি৷

এখানে বলা প্রয়োজন, সাইপ্রাসের সঙ্গে তুরস্কের বিরোধ ইইউ'র জন্য এক বড় ইস্যু৷ এই বিরোধ মীমাংসা না করলে তুরস্কের পক্ষে ইইউতে যোগদান দুরূহ হবে৷ তাছাড়া জার্মানি এবং ফ্রান্সও সেদেশকে পূর্ণ সদস্যপদ দেবার বিরোধী৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই