তারেক ও সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
৯ জানুয়ারি ২০১৫
বিপ্লব সরকার জানান, মামলায় তারেক রহমান এবং আবদুস সালাম ছাড়াও অন্যান্য ষড়যন্ত্রকারীদের কথা বলা হয়েছে৷ তবে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি৷ প্রসঙ্গত, একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান আবদুস সালাম আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে৷ অন্যদিকে তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন৷
বিপ্লব সরকারের কথায়, মামলার এজাহারে তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া এবং প্রচারমাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এছাড়া দেশের স্বাধীন বিচার বিভাগকে হুমকি, স্বাধীনতা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে৷
তিনি জানান, ‘‘৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের বছরপূর্তির আগের রাতে লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তারেক রহমান৷ ৫০ মিনিটের ঐ বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করে একুশে টেলিভিশন৷ বক্তব্যে তারেক রহমান বিচার বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ নানা বিষয়ে উসকানিমূল কথা বলেছিলেন৷ তাছাড়া নেতা-কর্মীদের বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি৷ তাঁর সেই বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহমূলক৷ আর একুশে টেলিভিশন এই বক্তব্য সরাসরি ( লাইভ) প্রচার করে একই অপরাধ করেছে৷''
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের আগের দিন, অর্থাৎ বুধবার, রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়৷ ডায়েরিটি করেন তেজগাঁও থানার এসআই বোরহান আহমেদ৷
এই সাধারণ ডায়েরিতে তারেক রহমান এবং আবদুস সালামের অপরাধের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চাওয়া হয়৷ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণায় অনুমতি দেয়ার পর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়৷
এদিকে রবিবার রাতে ইটিভি-তে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে পরেদিন, মানে সোমবার, দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে একুশে টেলিভিশনের নীচ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আবদুস সালামকে৷ আটকের পর তাঁকে আগে দায়ের করা পর্নোগ্রাফি আইনের আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়, যদিও তিনি ঐ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন৷ বৃহস্পতিবার অবদুস সালামকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড এবং জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালত উভয় আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন৷ তাঁকে আগামী পাঁচ কর্মদিবস জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে পুলিশ৷
এদিকে ইটিভি-র চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে আটক এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের সংবাদ কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে৷ দর্শকরা দেশের অধিকাংশ এলাকাতেই এখন আর একুশে টেলিভিশন দেখতে পারছেন না৷ উল্লেখ্য, সোমবার রাত থেকেই একুশে টেলিভিশনের সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটে৷