1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অর্থনীতির উন্নতি

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২

অর্থনীতি আর সংখ্যাতত্ব৷ এ দুটো একে অপরের হাত ধরেই চলে৷ যেমন, দেশের ভিতরের অবস্থা যাই হোক না কেন, পরিসংখ্যান বলছে, জার্মানিতে বেকারের সংখ্যা কমেছে৷ অর্থনীতির নাকি দারুণ উন্নতি হয়েছে!

https://p.dw.com/p/149by
ছবি: picture-alliance/dpa

প্রথমে কিছু হিসেবপত্র বলে নেওয়া যাক৷ ২০১১ সালটা জার্মানির জন্য অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীতে যাকে বলে ধুমধাড়াক্বা বছর৷ অর্থনীতিতে দৈত্যের মত বাড়বাড়ন্ত আর কর্মহীন বা বেকারদের তালিকাটা একেবারে নীচের দিকে নেমে গেছে এখন৷ ফলে  ঘাটতি কমাতে দারুণ সফল জার্মানি৷ এই তো আজকেই সেই পরিসংখ্যান পাওয়া গেল৷

প্রথমে একটু বুঝিয়ে বলা যাক, কাকে বলে ঘাটতি বাজেট৷ সরকারের ঘরে আয় আর ব্যয়ের মধ্যে অসাম্যকেই বাজেটে ঘাটতি বলা হয়ে থাকে৷ মানে ব্যয় বেশি আর আয় কম হলেই এমনটা হয়৷ আর যেকোন দেশেই এই বাজেট ঘাটতি বা আয়-ব্যয়ের অসাম্য একটা বড় সমস্যার বিষয়৷

এবারে দেখা যাক, জার্মানির সেই বাজেট ঘাটতির উন্নতিটা কতটা আর কেমনভাবে হয়েছে৷ ২০১১ সালে জার্মানির বাজেট ঘাটতির পরিমাণটি হল, ২৫.৩ বিলিয়ন ইউরো বা ৩৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ গড় জাতীয় উৎপাদনের পরিমাপে মাত্র ১.০ শতাংশ৷ জার্মানি, যে কিনা ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ, সেই অনুপাতে এ একটা প্রশংসনীয় বিষয়৷ কারণ একবার যদি ২০১০ সালের হিসাবটার দিকে চোখ রাখি, তাহলেই পুরো বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ ২০১০ সালে জার্মানির বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১০৫.৯ বিলিয়ন ইউরো যা গড় জাতীয় আয়ের প্রায় ৪.৩ শতাংশ৷ মাত্র এক বছরের মধ্যে এই যে বিশাল উন্নতি, এতে তো পরিসংখ্যানবিদ সহ অর্থনীতিবিদরা উল্লসিত হবেনই৷ কারণ, ইউরোর সংকট আর সেইসঙ্গে ইউরোপের একাধিক দেশের ঋণের চাপে যখন নাভিশ্বাস উঠছে অন্যত্র, তখন ইউরোপীয় অর্থনীতির বড় ভাই জার্মানির এই উন্নতি অন্যকেও প্রভাবিত করবে যে, খানিকটা যে মনোবল বাড়াবে তাতে আর সন্দেহ কোথায়?

Symbolbild Europa Bonität Ratingagenturen
ছবি: picture-alliance/dpa

সন্দেহ কিন্তু অন্যত্রও কম নয়৷ ইউরোজোনের দেশগুলির নিয়ম হচ্ছে, গড় জাতীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৩ শতাংশের বেশি ঘাটতি কোনভাবেই করা যাবেনা৷ সেই হিসেবে বেশ কয়েকটি দেশের মাথার ওপরে খাঁড়া ঝুলছে ইউরোপে৷ কারণ তাদের ঘাটতির পরিমাণ যথেষ্ট৷ সেদিক থেকে জার্মানির এই পরিসংখ্যান বেশ কাজের কথা যে তা তো স্বীকার করতেই হবে! 

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য