1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারায়ণগঞ্জে সাত হত্যা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১০ মে ২০১৪

নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি শনিবার নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সাক্ষ্য নিয়েছে৷ তাঁরা নারায়ণগঞ্জে গিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই সাক্ষ্য নেন৷

https://p.dw.com/p/1BxX8
ছবি: Fotolia

কমিটি সাধারণ মানুষের কথাও শুনবে৷ এজন্য সাধারণ মানুষকে সাক্ষ্য দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে৷

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়৷ চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত৷ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন সরকারসহ নিহত সাতজনের পরিবারের সদস্যরা তদন্ত কমিটির কাছে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন৷

এর আগে গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি কাজ শুরুর প্রথমদিনে নারায়ণগঞ্জে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে৷ কমিটির প্রধান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লা জানান, তদন্তের স্বার্থে যার সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন, তার সঙ্গে কথা বলবে কমিটি৷ হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করবেন৷ তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দেয়ার পর নিহত কাউন্সিলর নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘তদন্ত কমিটির কাছে আমি আরেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনের সঙ্গে নজরুলের দ্বন্দ্বের কারণ তুলে ধরেছি৷ নজরুলকে এর আগে হত্যার হুমকি এবং তা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে৷ অপরহরণের দিন ২৭ এপ্রিল থেকে লাশ উদ্ধারের দিন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছি৷ এসময় র‌্যাব এবং পুলিশের ভূমিকা জানিয়েছে৷'' শহিদুল ইসলাম জানান, ‘‘র‌্যাবের তিন কর্মকর্তা ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে যে নজরুলসহ ৭ জনকে অপহরণ এবং হত্যা করেছে সে ব্যাপারে তিনি তথ্য প্রমাণসহ কমিটির কাছে বক্তব্য দিয়েছেন৷''

Bangladesch - Landesweiter Streik
তিন ব়্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছেছবি: Getty Images

গণশুনানি

নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি আগামী ১২ ও ১৫ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানি করবে৷ সকাল ১০টায় ঐ গণশুনানি শুরু হবে৷ শুনানিতে অংশ নিয়ে সাক্ষ্য দিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসতে অনুরোধ জানিয়েছে তদন্ত কমিটি৷ কমিটির সদস্য সচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, তাঁরা তাঁদের কার্যপরিধির মধ্যে থেকে তথ্য সংগ্রহের সব উপায় ব্যবহার করবেন৷

কমিটির কার্যপরিধি

তদন্তের মাধ্যমে কমিটি সাতজন অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে প্রশাসনের কোনো সদস্য বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা ও সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা উদঘাটন করবে৷ এছাড়া অপহরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অপহৃত ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত গাফিলতি ছিল কি না, তা নির্ণয় করবে কমিটি৷ কাজ শুরুর সাত দিনের মধ্যে তদন্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করবে কমিটি৷ কমিটির প্রধান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লা৷ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দুই উপসচিব মো. আবদুল কাইয়ুম সরকার ও আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই উপসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ও মিজানুর রহমান খান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই উপসচিব শফিকুর রহমান ও সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার৷