নারায়ণগঞ্জে সাত হত্যা
১০ মে ২০১৪কমিটি সাধারণ মানুষের কথাও শুনবে৷ এজন্য সাধারণ মানুষকে সাক্ষ্য দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে৷
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়৷ চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত৷ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন সরকারসহ নিহত সাতজনের পরিবারের সদস্যরা তদন্ত কমিটির কাছে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন৷
এর আগে গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি কাজ শুরুর প্রথমদিনে নারায়ণগঞ্জে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে৷ কমিটির প্রধান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লা জানান, তদন্তের স্বার্থে যার সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন, তার সঙ্গে কথা বলবে কমিটি৷ হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করবেন৷ তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দেয়ার পর নিহত কাউন্সিলর নজরুলের শ্বশুর শহিদুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘তদন্ত কমিটির কাছে আমি আরেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনের সঙ্গে নজরুলের দ্বন্দ্বের কারণ তুলে ধরেছি৷ নজরুলকে এর আগে হত্যার হুমকি এবং তা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে৷ অপরহরণের দিন ২৭ এপ্রিল থেকে লাশ উদ্ধারের দিন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছি৷ এসময় র্যাব এবং পুলিশের ভূমিকা জানিয়েছে৷'' শহিদুল ইসলাম জানান, ‘‘র্যাবের তিন কর্মকর্তা ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে যে নজরুলসহ ৭ জনকে অপহরণ এবং হত্যা করেছে সে ব্যাপারে তিনি তথ্য প্রমাণসহ কমিটির কাছে বক্তব্য দিয়েছেন৷''
গণশুনানি
নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে হত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি আগামী ১২ ও ১৫ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণশুনানি করবে৷ সকাল ১০টায় ঐ গণশুনানি শুরু হবে৷ শুনানিতে অংশ নিয়ে সাক্ষ্য দিতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসতে অনুরোধ জানিয়েছে তদন্ত কমিটি৷ কমিটির সদস্য সচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, তাঁরা তাঁদের কার্যপরিধির মধ্যে থেকে তথ্য সংগ্রহের সব উপায় ব্যবহার করবেন৷
কমিটির কার্যপরিধি
তদন্তের মাধ্যমে কমিটি সাতজন অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে প্রশাসনের কোনো সদস্য বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা ও সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা উদঘাটন করবে৷ এছাড়া অপহরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অপহৃত ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত গাফিলতি ছিল কি না, তা নির্ণয় করবে কমিটি৷ কাজ শুরুর সাত দিনের মধ্যে তদন্ত কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করবে কমিটি৷ কমিটির প্রধান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান আলী মোল্লা৷ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দুই উপসচিব মো. আবদুল কাইয়ুম সরকার ও আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই উপসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ও মিজানুর রহমান খান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই উপসচিব শফিকুর রহমান ও সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার৷