1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তথ্য জানার অধিকার

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৫ জুন ২০১৩

সম্প্রতি ভারতে রাজনৈতিক দলগুলিকে তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় আনার ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন৷ রাজনৈতিক সিস্টেমে স্বচ্ছতা আনতে এই রায় বড় পদক্ষেপ৷ কিন্ত সেই লক্ষ্য কতদূর অর্জিত হবে, তাই নিয়ে রয়ে গেছে সংশয়৷

https://p.dw.com/p/18jqC
** ADVANCE FOR FRIDAY, FEB. 23. ** An employee of Convergys Corp., a global leader in call-center outsourcing, uses a computer as she handles a client, in Gurgaon, a suburb of New Delhi, India, Tuesday, Feb. 6, 2007. Convergys Corp., a Cincinnati-based company which has some 74,000 employees in 33 countries, has made effort to reduce turnover in its call centers, a particular problem in the highly competitive India market, by using what they call an "early warning system" to head off departures. (ddp images/AP Photo/Gurinder Osan)
ছবি: dapd

রাজনৈতিক দলগুলিকে তথ্য জানার অধিকার আইনের (আরটিএ) আওতায় এনে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন (সিআইসি) সম্প্রতি যে রায় দিয়েছে, তাতে রাজনৈতিক দলগুলির কপালে ভাঁজ৷ বেড়েছে তাদের অস্বস্তি বিশেষ করে বড় বড় দলগুলির৷ বর্তমানে দুর্নীতি ইস্যুতে গোটা দেশ যেভাবে উত্তপ্ত তাতে রাজনৈতিক দলগুলি এই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি বিষোদগার করতে ভয় পাচ্ছে৷ তবে দলের অন্দরে আইনের ফাঁক-ফোকর নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়ে গেছে৷

ভারতের রাজনৈতিক সিস্টেমের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি যেভাবে বাসা বেধেঁছে, এই রায় কী সেটার মোকাবিলা করতে পারবে? এই প্রশ্নে পর্যবেক্ষক মহলে রয়ে গেছে সংশয়৷ রাজনৈতিক দলগুলি যেন তেন প্রকারেণ এই রায়কে পাশ কাটাতে উঠে পড়ে লাগবে৷ রাজনৈতিক অর্থ সাহায্য বা চাঁদা দেয়া একটা অন্ধকার জায়গা৷ সেখানে একটা গ্রহণযোগ্য স্বচ্ছতা আনতে রায়ে বলা হয়েছে, কোন দল কত চাঁদা পায়, কাদের কাছ থেকে পায়, কত দেয়, যারা দেয় তাদের নামধাম জানাতে হবে৷

রাজনৈতিক দলগুলি মনে করে আজকের দিনে নির্বাচনী ব্যের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয় সাংবিধানিক সংস্থা নির্বাচন কমিশন৷ তারপর দলের আয়ব্যয়ের হিসেব পরীক্ষার কোনো যুক্তি নেই৷ তথ্য কমিশন রায় হলো, বড় বড় ছয়টি রাজনৈতিক দল সরকারি অর্থসাহায্যপুষ্ট সংগঠন৷ এছাড়াও সরকার থেকে তারা পায় নামিদামি জমি ও বাড়িঘর এবং আয়করের সুবিধা৷ পায় রেড়িও টিভিতে নিখরচায় নির্বাচনী প্রচারের সুযোগ৷ কাজেই রাজনৈতিক দলগুলি যেহেতু সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, সেহেতু জনসাধারণের প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য তারা৷ জনসাধারণের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা থেকে যায়, যেহেতু জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজই করে থাকে দলগুলি৷

উল্লেখ্য, জনলোকপাল বিলে এই বিষয়টির ওপর জোর দেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির স্বার্থ যেহেতু অভিন্ন, সেহেতু রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের পিঠ চুলকে এই রাজনৈতিক সংস্কার কার্যকর হতে দেয়নি৷ রাজনৈতিক দলগুলি যেভাবে অলিখিতভাবে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করে থাকে বড় বড় করেপোরেট সেক্টর থেকে সেখানেও স্বচ্ছতা আনার কথা বলা হয়েছে রায়ে৷ কর্পোরেট সেক্টর বিনা কারণে রাজনৈতিক দলগুলিকে টাকা দেয়না৷ ক্ষমতায় এলে বাণিজ্যক সংস্থাগুলি তা সুদে আসলে যে উশুল করে নেয়, সেটাও কারো অজানা নয়৷ আর্থিক কেলেঙ্কারি শুরু হয় সেখান থেকেই যা নিয়ে গোটা দেশ আজ জেরবার৷ এখানেই থেমে নেই, এই হিসেব বহির্ভূত অর্থ শেষে কালো টাকা হয়ে বাজারে আসে যার প্রভাব পড়ে দেশের অর্থ ব্যবস্থার ওপর৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য