1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঢাকায় না এলে একুশের বিশালতা উপলব্ধি করা হতো না : পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা প্রতিনিধি দল

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১

যুদ্ধাপরাধের বিচার আর সর্বস্তরে বাংলাভাষা প্রচনলের দাবি নিয়ে জাতি আজ স্মরণ করছে ভাষার জন্য জীবন দেয়া বীর শহীদদের৷ আর দাবি উঠেছে বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে সম্মানের আসনে বসানোর৷

https://p.dw.com/p/10LHa
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্যছবি: picture-alliance/dpa

বাহান্ন'র ভাষা আন্দোলনের হাত ধরেই বাঙালীর স্বাধীকার আন্দোলন৷ আজ স্বাধীন বাংলাদেশ৷ অথচ স্বাধীন বাংলাদেশ যে স্বপ্ন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত, তা আজও পূরণ হয়নি৷ তবে হতাশা যেমন আছে, আমাদের প্রাপ্তিও কিন্তু কম নয়৷ আর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের এই মূহূর্তের দাবি, সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার৷ তাঁরা বলেন, শুধু শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচার নয়, যারাই মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে - তাদের সকলকেই বিচারের আওয়তায় আনতে হবে৷

বাংলা আজ রাষ্ট্রভাষা হলেও, এখনও পর্যন্ত সর্বস্তরে বাংলা চালু হয়নি৷ শিশুরাও জানেনা সঠিক ইতিহাস৷ তারা জানেনা ২১শে ফেব্রয়ারি কি ঘটেছিল৷ তারা শুধু জানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানী সেনাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়ছিল৷

Bonn International Mother Language Day Flash-Galerie
ডয়চে ভেলের বন কার্যালয়ে শহীদ মিনারের প্রতিকৃতি, তৈরি করেছেন মারুফ আহমেদছবি: DW

শিক্ষাবিদ জাফর ইকবাল আর ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.আরেফিন সিদ্দিক সবক্ষেত্রে বাংলাভাষা প্রচলনের দাবি জানিয়েছেন৷ তাঁরা বলেন, শিক্ষার মাধ্যম হতে হবে বাংলা৷ আর ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলে থাকতে হবে বাংলার সঠিক চর্চ্চা৷ জানাতে হবে প্রকৃত হতিহাস৷ এর অভাবেই যে শিশুরা কিছুই জানছেনা৷ আর প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন, ‘‘শুধু বিচারের রায় নয়, বিচারের পুরো কাজই বাংলা ভাষায় করতে হবে৷'' অবশ্য শহীদ মিনারে শুধু বড়'রাই না, শিশুরাও আসে বাবা-মায়ের হাত ধরে৷ তারাও শ্রদ্ধা জানায় শহীদদের৷ বড়দের মুখে শোনে আত্মত্যাগের ইতিহাস৷

আজ ২১শে ফেব্রুয়রি, সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৷ ঢাকায় বসবাসরত বিদেশিরাও তাই শহীদ মিনারে যান শ্রদ্ধার্ঘ্য হাতে৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৭২ জনের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছেন৷ হাজির হয়েছেন শহীদ মিনারে৷ জানিয়েছেন শ্রদ্ধা৷ তাঁরা বলেন, ঢাকায় না এলে একুশের বিশালতা উপলব্ধি করতে পারতেন না৷ জানতেন না এর মধ্যে কি আবেগ জড়িয়ে আছে একটি জাতির৷ তাঁরা বলেন, ‘‘বাংলা ভাষার জয় হোক''৷

উল্লেখ্য, মধ্যরাত থেকেই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের দীর্ঘ লাইন শুরু হয়৷ যা অব্যাহত থাকে সারাদিন৷ আর বিকেল থেকে রাজধানী জুড়ে শুরু হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, বর্নমালা উৎসব, আরো কতো কিছু !

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ