1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডায়াবেটিস-এ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশই

১৪ নভেম্বর ২০১১

১৪ই নভেম্বর ছিল ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস'৷ আর ঐ দিনই একটি ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করলো ‘আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন'৷ জানালো, আগামী দুই দশকের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ৫২২ মিলিয়ন মানুষ নাকি ডায়াবেটিস-এ আক্রান্ত হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/13ANR
ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ায় মিষ্টি অত্যন্ত জনপ্রিয়ছবি: AP

২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি দশজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের একজনের, ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র-রোগ হওয়ার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হলো ‘আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডেরেশন'-এর ঐ সমীক্ষায়৷ জানা গেল, ডায়াবেটিস-এর এই ঊর্ধমুখী প্রবণতা কোনোভাবে প্রতিরোধ করা না গেলে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে বহুমূত্র-রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হবে৷ স্বাভাবিকভাবেই, এ রকম একটা পরিসংখ্যান সত্যিই ভয়ের কারণ৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৪৬ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিস-এ আক্রান্ত৷ আর তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষের বসবাস উন্নয়নশীল দেশগুলিতে৷ তাহলে দক্ষিণ এশিয়ায় ডায়াবেটিস প্রকট হওয়ার কারণ কি আমাদের খাওয়া-দাওয়ার ওপর নির্ভরশীল? ড. সৌভিক অধিকারির কথায়, ‘‘খাদ্যের থেকেও বেশি যে ব্যাপারটা, সেটা হলো ‘কনশাসনেস'৷ বিদেশের সঙ্গে এখানেই আমাদের পার্থক্য৷ আসলে আমরা ডায়াবেটিস-কে তেমন গুরুত্ব দেই না৷ তারপর আমাদের ‘ফিজিকাল অ্যাকটিভিটি' অনেক কম এবং আমরা ভাত তো বটেই, তেল-ভাজা-মশলাও বেশি খাই৷ এজন্যই আমাদের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস-টা বেশি হয়৷''

Diabetes in China
চীনেও ডায়াবেটিস বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছেছবি: picture-alliance/ANN/China Dai

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডায়াবেটিস-বিভাগের প্রধান গয়কা রগলিচ অবশ্য ‘আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডেরেশন'-এর এই সমীক্ষার ফলাফল নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিৎ নন৷ তাঁর মতে, ‘‘এটা অসম্ভব নয়৷ তবে এমনটা যে হবেই – তা হলফ করে বলা যায় না৷'' রগলিচ জানান, ‘‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা ‘টাইপ-টু' ডায়াবেটিস-এর আধিক্য লক্ষ্য করে থাকি৷ যা সাধারণত, মধ্যবয়সে হয়ে থাকে৷ এছাড়া, মোটের ওপর ডায়াবেটিস-এ আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ বয়েস, স্থূলতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন৷ যেমন ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম কম করা ইত্যাদি৷ তাই এ ব্যাপারগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে অনেকটাই৷

অন্যদিকে, ড. সৌভিক অধিকারি ‘টাইপ ওয়ান' ডায়াবেটিস-এর কথাও তুলে ধরেন৷ বলেন, ‘‘এ ধরনের ডায়াবেটিস-কে একমাত্র নিয়ন্ত্রণ করা যায় ‘ইনসুলিন' দিয়ে৷ এ রোগে শরীর ‘ইনসুলিন'-এর উত্পাদন ক্ষমতা হারায়৷ তাই অতিরিক্ত ‘ইনসুলিন' প্রয়োজন হয় শরীরের কার্বোহাইড্রেটকে পুষ্টিতে রুপান্তরিত করার জন্য৷ তাই, ‘ইনসুলিন' ছাড়া ‘টাইপ ওয়ান' ডায়াবেটিস রোগীদের, যা মূলত শিশুদের মধ্যে হয়ে থাকে, বাঁচানো সম্ভব নয়৷''

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান