1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ডর্টমুন্ড, শালকের জয়

২৫ অক্টোবর ২০১২

বুন্ডেসলিগার টালমাটাল সামলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ডর্টমুন্ডের পারফর্মেন্স এবার দেখবার মতো: বুধবার নিজেদের মাঠে রেয়াল মাদ্রিদকে হারাল ২-১ গোলে৷ ওদিকে শালকে লন্ডন গিয়ে আর্সেনালকে কুপোকাত করল ২-০ গোলে৷

https://p.dw.com/p/16WAz
বুধবারের খেলা ছিল ডর্টমুন্ডের নিজেদের মাঠে৷ ৩৬ মিনিটের মাথায় রবার্ট লেভানডোভস্কি যখন ডর্টমুন্ডের হয়ে প্রথম গোলটি করেন, তখন তা'তে অস্বাভাবিক কিছু ছিল না৷
ছবি: picture-alliance/dpa

কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ'এর দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তারা ‘পাড়ার মস্তান', বুন্ডেসলিগাতেই তাদের যতো কেরামতি৷ ইউরোপীয় পর্যায়ে গেলেই তাদের আসল দুর্বলতাগুলো বেরিয়ে পড়ে৷ বুন্ডেসলিগায় তাদের আক্রমণাত্মক ফুটবল কার্যকর হতে পারে, কিন্তু ঘাঘু ইউরোপীয় প্রতিপক্ষদের পাল্লায় পড়লে ডর্টমুন্ডের সেই আক্রমণাত্মক খেলাই তাদের কাল হয়ে দাঁড়ায়৷

বুধবারের খেলা ছিল ডর্টমুন্ডের নিজেদের মাঠে৷ ৩৬ মিনিটের মাথায় রবার্ট লেভানডোভস্কি যখন ডর্টমুন্ডের হয়ে প্রথম গোলটি করেন, তখন তা'তে অস্বাভাবিক কিছু ছিল না৷ হাজার হোক, এই লেভানডোভস্কি হলেন শেষ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে পোল্যান্ডের স্টার - এবং সে'যাবৎ ইউরোপের অন্যান্য নামী-দামী ক্লাব ও খেলোয়াড়দের সম্পর্কে তাঁর ভয়-ভীতি সম্ভবত কিছুটা কম৷

Arsenal - FC Schalke 04 Champions League Gruppe B
কোনো অ-ইংরেজ টিম বিগত ন'বছরে আর্সেনালে গিয়ে জিতে আসতে পারেনি৷ এবার সেই অসাধ্য সাধন করল শালকেছবি: picture-alliance/dpa

লেভানডোভস্কির গোলের ঠিক দু'মিনিট পরে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো পেনাল্টি এরিয়ার ভিতর থেকে একটি চমৎকার লব করে গোল পরিশোধ করেন৷ তখনও কিন্তু খেলার ভাগ্য সম্পূর্ণভাবে অনির্ধারিত৷ দ্বিতীয়ার্ধে ৬৪ মিনিটের মাথায় মার্সেল স্মেলৎসার ডর্টমুন্ডের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন৷ খেলার পর রেয়ালের কোচ জোসে মুরিনহো ডর্টমুন্ডের সুসংগঠিত এবং নিবিড় প্রতিরক্ষার প্রশংসা করেন৷

তবে মুরিনহো এ'ও বলেছেন যে, খেলাটা কিছুটা অদ্ভুত রকমের ছিল৷ কোনো পক্ষই নাকি খেলাটা নিজেদের আয়ত্তে আনতে পারেনি৷ তাই মুরিনহো'র মনে হয়েছিল, বিরতির পর যে দল প্রথম গোল করবে, তারাই জিতবে৷ বস্তুত ঘটেছেও তাই৷

শালকে'র নিশান

জার্মানির শালকে শূন্য-চার আর্সেনাল লন্ডনে গিয়ে গানার'দের ২-০ গোলে হারিয়ে আসবে, শালকের ওলন্দাজ কোচ হুব স্টিভেন্স সেটা ভাবতে পেরেছিলেন কিনা সন্দেহ৷ কোনো অ-ইংরেজ টিম বিগত ন'বছরে আর্সেনালে গিয়ে জিতে আসতে পারেনি৷ এবার সেই অসাধ্য সাধন করল শালকে, হুন্টেলার এবং আফেলাই'এর দুটি বিলম্বিত গোলের কল্যাণে৷

অবশ্য হুব স্টিভেন্স এবং রেয়ালের কোচ মুরিনহো উভয়েই বলেছেন, আর্সেনালকে এখনই খরচের খাতায় ফেলাটা ভুল হবে৷ অপরদিকে এই বুধবার যে জার্মান ক্লাব ফুটবলের পক্ষে একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে, সেটাও অনস্বীকার্য৷ আসলে জার্মান ফুটবলের গুণাগুণের কোনোদিনই বিশেষ পরিবর্তন ঘটে না৷ পরিবর্তন ঘটে তাদের মনোবৃত্তির৷ জার্মানরা বোধহয় এতোদিনে বুঝতে শিখছে যে, কোনো প্রতিযোগিতার আগে মাত্রাধিক হাইপ কিংবা প্রত্যাশা, অপরদিকে বিপক্ষের শঙ্কা কিংবা ভীতি, লাভের চেয়ে বেশি ক্ষতিই এনে দেয় তাদের৷

এসি / জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য