1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিউনিসের আততায়ীদের পরিচয় জানা গেছে

১৯ মার্চ ২০১৫

জাতীয় বার্দো সংগ্রহশালার হত্যাকারীদের মধ্যে দু'জনের নাম ঘোষণা করেছেন টিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাবিব এসিদ৷ তারা ‘‘সম্ভবত'' টিউনিশীয় এবং তাদের দু-তিনজন সহযোগী এখনও ফেরার৷

https://p.dw.com/p/1Et6r
Tunesien Tunis Angriff auf das Nationalmuseum in Bardo
ছবি: picture-alliance/AP/H. Dridi

আততায়ীরা বুধবার সামরিক উর্দি পরে, কালাশনিকভ হাতে নিয়ে বিদেশি টুরিস্টদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে – বিশেষ করে দু'টি ক্রুজ শিপ-এর যাত্রীরা ছিলেন সেই দলে, পর্যটকরা যখন বাস থেকে নেমে মিউজিয়ামে ঢুকছিলেন৷

পরে মিউজিয়ামের ভিতরে আটকা পড়া প্রায় ১০০ দর্শক আরো গুলি চালানোর আওয়াজ শোনেন৷ এরপর সরকারি ‘‘সন্ত্রাসবাদ বিরোধী গোষ্ঠী'' মিউজিয়ামে ঢোকে এবং সব মিলিয়ে ঘণ্টা চারেক পরে ঘোষণা করা হয় যে, ‘‘অভিযান সম্পূর্ণ''৷

আক্রমণে নিহত হয়েছেন ১৭ জন বিদেশি পর্যটক এবং সেই সঙ্গে ইয়াসিন আবিদি ও হাতেম খাচনাউয়ি নামধারী দু'জন টিউনিশীয়৷ তাঁদের মধ্যে একজন নাকি গুপ্তচর বিভাগের কাছে আগে থেকেই পরিচিত, যদিও কোনো বিশেষ সন্ত্রাস গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর সংযোগের কোনো প্রমাণ নেই বা ছিল না৷ অপরদিকে কোনো সন্ত্রাস গোষ্ঠী এই আক্রমণের জন্য নিজেদের দায়ী বলে ঘোষণা করেনি৷

Angriff Tunis Google Luftbild Englisch
ছবি: Google Maps

টিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী টেলিভিশনে ঘোষণা করছেন যে, নিহতদের মধ্যে পাঁচজন জাপানি (জাপান সরকার যা পরে সংশোধন করে তিনজন করেন), চারজন ইটালীয়, দু'জন কলম্বিয়ান, এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, পোল্যান্ড ও স্পেন থেকে একজন করে পর্যটক৷ পোলিশ সরকার পরে দু'জন পোলিশ নাগরিকের নিহত হওয়ার কথা বলেছেন৷ বার্দো সংগ্রহশালার আক্রমণে দৃশ্যত একজন টিউনিশীয় বাসচালক ও একজন পুলিশকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন৷ আহতদের সংখ্যা ৪০-এর বেশি৷

নিহত বিদেশি পর্যটকদের একাংশ এসেছিলেন টিউনিস বন্দরে নোঙর ফেলা দু'টি ক্রুইজ শিপ থেকে৷ ‘স্প্লেনডিডা' জাহাজটির ন'জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন, ১২ জন আহত হয়েছেন এবং ছ'জনের এখনও পর্যন্ত কোনো খবর নেই; ‘কোস্টা ফ্যাসিনোজা' জাহাজটির ১৩ জন যাত্রী রাত্রে জাহাজে ফেরেননি৷ দু'টি প্রমোদতরীই টিউনিস বন্দর পরিত্যাগ করেছে৷ টিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি সাইদ এসিবসি ‘‘কোনোরকম ক্ষমা বা মমতা ছাড়া'' সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷

এই সর্বাধুনিক সন্ত্রাস অবশ্যই দেশের পর্যটন শিল্পকে প্রভাবিত করবে৷ ২০০২ সালে টিউনিশিয়ার জেরবা দ্বীপে একটি ইহুদি প্রার্থনামন্দিরে আল-কায়েদার বোমাবাজিতে ২১ জন মানুষ প্রাণ হারান, তাঁদের মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েকজন বিদেশি পর্যটক৷ বুধবার যারা রাজধানী টিউনিসের পথে সমবেত হয়ে জাতীয় সংগীত গেয়েছেন এবং ‘‘সন্ত্রাসবাদীদের'' বিরুদ্ধে ধ্বনি দিয়েছেন, তাঁদের কেউই জেরবার বিভীষিকা ও দেশের অর্থনীতির পক্ষে তার অশুভ ফলশ্রুতির কথা ভুলে যাননি৷

এসি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান