1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ সহজ করছে বাংলাদেশ

১৫ ডিসেম্বর ২০০৯

বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য আইন এবং লাইসেন্স প্রদান সহজ করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার৷

https://p.dw.com/p/L3IS
ফাইল ফটো

মঙ্গলবার লন্ডনে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বিষয়ক দুই দিন ব্যাপী রোডশো'র প্রথম দিনে এই ঘোষণা দেয়া হয়৷ এতে মূল বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম৷

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. সাইদুর রহমান খান ডয়চে ভেলেকে এই রোড শো বিষয়ে বলেন, ইউরোপের অন্তত ৫৫টি প্রতিষ্ঠান এই রোড শোতে অংশ নেয়৷ সেখানে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা বিশেষ করে জ্বালানি খাতের কোন কোন বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ আশা করে তা জানানো হয়েছে৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই মুহূর্তে চায় এ দেশে নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে৷ এখানেই জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ এখাতে কাজ করতে আসা বিদেশি কোম্পানিগুলোকে বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেবে৷ বিশেষ করে বিনিয়োগ সুরক্ষা এবং লাভজনক করতে আইন এবং লাইসেন্স গ্রহণ সহজতর করা হবে৷

আগামী মাসে সিঙ্গাপুর ও নিউইয়র্কেও একই ধরণের অনুষ্ঠান করা হবে৷ এই তিনটি রোড শোর উদ্দেশ্য, অন্তত ৩৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আনা৷ হাইকমিশনার ড. সাইদুর রহমান খান আরও জানান, লন্ডনের সম্মেলনে অভিবাসী বাঙ্গালীরাও অংশ নিচ্ছেন এই রোডশোতে৷ তারাও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান৷

মঙ্গলবার সকালে প্রথম অধিবেশনের পর বিকেলে সফরকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ওয়ান টুওয়ান বৈঠকে বসেন৷ আজ সোমবারও তারা আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন বিদ্যুত্সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, আইনসচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর, বিপিসির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল করিম, পিডিবির চেয়ারম্যান এ এস এম আলমগীর কবির, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, পিডিবির সদস্য (উত্পাদন) মোস্তফা কামাল এবং পরিচালক (সিস্টেম প্লানিং) মিজানুর রহমান৷

বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য মোট ১১টি প্রকল্প রোড শোতে উপস্থাপন করা হয়৷ এগুলোর মধ্যে ছয়টি গ্যাস ও তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র৷ এগুলো হচ্ছে বিবিয়ানায় ৪৫০ মেগাওয়াটের গ্যাসভিত্তিক দ্বিতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র, ভোলায় ১৫০ থেকে ২২৫ মেগাওয়াটের গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেঘনা ঘাট ৪৫০ মেগাওয়াট দ্বৈত জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ আরও কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র৷ এগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৬০০ মেগাওয়াট৷ এছাড়াও আরও বেশ কয়কেটি বায়ু ও সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান করার পরিকল্পনা রয়েছে৷ এ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে চট্টগ্রামে একটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস টার্মিনাল স্থাপন প্রকল্প৷ এই টার্মিনালের মাধ্যমে দৈনিক ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস চট্টগ্রাম অঞ্চলে সরবরাহ সম্ভব হবে৷

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক