1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যুদ্ধের অপর নাম ‘এবোলা’

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

এবোলার কারণে লাইবেরিয়ার অস্তিত্বই এখন প্রশ্নবিদ্ধ৷ এ কথাই বলেছেন সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ গিনির প্রেসিডেন্ট এবোলা বিরুদ্ধের সংগ্রামকে বলছেন ‘যুদ্ধ’৷ পশ্চিম আফ্রিকায় চলমান এ যুদ্ধ কেড়ে নিয়েছে অন্তত ২২৯৬ জনের প্রাণ৷

https://p.dw.com/p/1D9qD
Ebola in Liberia 09.09.2014
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Jallanzo

এবোলায় (বানানভেদে ইবোলা) আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)-র প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ২২৯৬ হলেও প্রকৃত সংখ্যা যে অনেক বেশি হবে ডাব্লিউএইচও-র কোনো সন্দেহ নেই৷ গিনি, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া এবং সেনেগাল – পশ্চিম আফ্রিকার এই পাঁচটি দেশেই মূলত এবোলার প্রকোপ দেখা দিয়েছে৷ শুরুটা গিনিতে হলেও এ রোগ মহামারির রূপ নিয়েছে লাইবেরিয়ায়৷ তবে সে দেশের সরকার সংক্রমিত রোগী বা নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নিয়মিত জানাচ্ছে না৷

তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে অসহায় বোধ করছে লাইবেরিয়া সরকার৷ সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাউনি সামুকাই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক অধিবেশনে বলেছেন, এবোলার কারণে তাঁর দেশের অস্তিত্বই আজ হুমকির মুখে৷ সামুকাই বলেন, ‘‘রোগটি লেলিহান শিখার মতো ছড়িয়ে পড়ছে, আগুনের মতোই পথে যা পাচ্ছে সব শেষ করে দিচ্ছে৷'' এমন বিপর্যয় থেকে লাইবেরিয়াকে বাঁচাতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি৷

এর আগে ডাব্লিউএইচও-র মহামারি বিষয়ক বিভাগের প্রধান সিলভি ব্রায়ান্ড পশ্চিম আফ্রিকায় কর্মরত সাহায্য সংস্থাগুলোর প্রতি এবোলা-আক্রান্ত দেশগুলোতে সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, সহায়তার মাত্রা বর্তমানের তুলনায় অন্তত তিন-চার গুণ না বাড়ালে এবোলার হাত থেকে দেশগুলোকে রক্ষা করা যাবেনা৷ যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে এবোলা-বিরোধী এ লড়াইয়ে ৮৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে৷

পশ্চিম আফ্রিকায় এবোলা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে বিশ্বব্যাপীই ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক৷ বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দর সতর্কাবস্থায় রয়েছে৷ ব্রিটেনের বিমান কর্তৃপক্ষ ‘ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ' এবং ফ্রান্সের ‘এয়ার ফ্রান্স' লাইবেরিয়া, গিনি, সিয়েরা লিওন এবং নাইজেরিয়ায় সব ফ্লাইট বাতিল করে দিয়েছে৷

আক্রান্ত রোগীরা দেশে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন না৷ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অনেকে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন৷ গিনিতে এ পর্যন্ত এবোলার কারণে মারা গেছেন ৫৫৫ জন৷ প্রতিবেশী দেশ গাম্বিয়া ইতিমধ্যে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে৷ ফলে গিনি, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া এবং সেনেগাল থেকে কেউ সে দেশে যেতে পারছেন না৷ গাম্বিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এব্রিমা কুরুমা জানিয়েছেন, তাঁর দেশের নাগরিকদের এখন গিনি, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া এবং সেনেগালে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷ সেনেগাল সীমান্তে কর্মরত এ কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, তারপরও কেউ এবোলার প্রকোপ দেখা দিয়েছে এমন কোনো দেশে গেলে তাঁকে আর গাম্বিয়ায় ফিরতে দেয়া হবে না৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য