1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেনেভা বাণিজ্য সম্মেলনে অচলাবস্থা

রিয়াজুল ইসলাম২৯ জুলাই ২০০৮

টানা আটদিন পার হয়ে গেলেও জেনেভায় বাণিজ্য বিষয়ক সম্মেলনে এখনও তেমন কোন আশার আলো দেখা যাচ্ছে না৷ বরং বিভিন্ন ইস্যুতে মতপার্থক্য থাকায় আলোচনার সফলতাও এখন অনিশ্চিত৷ এ অবস্থায় বড় দেশগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছে পরষ্পরকে দোষারোপ৷

https://p.dw.com/p/ElrX
জেনেভায় বাণিজ্য বিষয়ক সম্মেলনছবি: AP

বাণিজ্য ইস্যুতে জেনেভায় অনুষ্ঠিত দেশগুলোর বৈঠকে অচলাবস্থার জন্য এখন চলছে একে অপরকে দোষারোপ৷ তারা একে অপরকে বিশ্ব বাণিজ্য উদারীকরণে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগে অভিযুক্ত করছে৷ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে টানা আটদিন আলোচনার পরও তেমন কোন অগ্রগতি না হওয়ায় এখন যুক্তরাষ্ট্র দোষারোপ করছে চীন ও ভারতকে৷ তেমনি এ দুটি দেশের পক্ষ থেকেও পাল্টা দোষ দেয়া হচ্ছে উন্নত দেশগুলোর স্বার্থপর মানসিকতাকে৷

বাণিজ্য উদারীকরণে শুক্রবার বিশ্বের বড় বাণিজ্য শক্তিগুলো একটি ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও ভারত একমত না হওয়াতে সেজন্য দেশটিকে দোষারোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷

দেশটি চীনকে তার পুর্ব প্রতিশ্রুতি না রাখার জন্যও অভিযুক্ত করেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রাজিলের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি সুসান শোয়াব বলেন, গত শুক্রবার দেশগুলো একটি প্যাকেজ চালু করতে প্রায় একই রকম কথা বলতে শুরু করেছিলো৷ কিন্তু এখন সে বিষয়টি ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে৷ এর আগে ১৫৩টি দেশের এক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছিলো যে দেশগুলো একটি চুক্তি করার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছোঁলেও চীন ও ভারতের জন্য তা ভেস্তে যেতে বসেছে৷

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় মার্কিন মিশনের ডেপুটি হেড ডেভিড শার্ক বলেছেন, গত কয়েক বছরে যেসব অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে কিছু গুরুত্বপুর্ণ দেশের জন্য তা হারিয়ে যেতে বসেছে৷

তবে চীনের পক্ষ থেকেও এসব কথার জবাব দেয়া যে হচ্ছে না তা নয়৷ চীনের রাষ্ট্রদূত সান ঝেনিউ বলেছেন, আলোচনা সফল করতে চীন তার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করে যাচ্ছে৷ তবে এটি খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার যে আলোচনার এ পর্যায়ে এসে যুক্তরাষ্ট্র কারো দিকে আঙ্গুল তুলছে৷

তিনি পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে সময় কৃষি খাতে সাড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ভর্তুকি কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলো সেসময় তাদের নিজেদের কৃষি খাতে বার্ষিক খরচের পরিমাণ ছিলো সাত থেকে আট বিলিয়ন ডলার৷ এর অর্থ দাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও ভর্তুকি বাড়ানোর সুযোগ থাকছে৷

উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাজারে যে অবাধ সুযোগ চাচ্ছে তার বিপরীতে চীনা রাষ্ট্রদূত সান প্রশ্ন তুলে বলেন, উন্নত দেশগুলোর বাজারে ঢোকার সুযোগটা কোথায়?

এদিকে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রী কমল নাথ আলোচনায় অচলাবস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, আমরা আলোচনা ঝুলিয়ে রাখিনি৷ বরং উন্নত বড় দেশগুলোই এ আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে৷ তারা দারিদ্র কমানোর চেয়ে নিজেদের উন্নতি বাড়ানো ও বাণিজ্যিক স্বার্থের দিকেই বেশী নজর দিচ্ছে৷