1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জিএসপির জন্য কাজ চায় যুক্তরাষ্ট্র

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৬ মার্চ ২০১৪

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক জিএসপি ফিরে পাওয়ার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে৷ যুক্তরাষ্ট্র এজন্য কিছু শর্ত দিয়েছে৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, আসন্ন শুনানি থেকে বাংলাদেশের জন্য সুখবর আসার সম্ভাবনা কম৷

https://p.dw.com/p/1BKlm
Bangladesch Industriepark Ashulia Frauen Arbeiterin
ছবি: JEWEL SAMAD/AFP/Getty Images

যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপির এ শুনানি হবে আগামী মে মাসে৷ বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েকটি পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা বলেন, ‘‘অ্যামেরিকার বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি ফিরে পাওয়ার পথে আরো কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷ এর মধ্যে অন্যতম হলো ইপিজেডগুলোতে শ্রম আইন বাস্তবায়ন করা৷''

বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, শ্রম সচিব মিকাইল শিপারের সঙ্গে বৈঠকে মোজেনা ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত উইলিয়াম হানা এবং নেদারল্যান্ডস, ক্যানাডা ও স্পেনের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন৷

২০১২ সালের ২৪শে নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনে ১১২ জন এবং গত বছরের ২৪শে এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১,১৩২ জনের প্রাণহানির ঘটনায় বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ এরপর গত বছর জুনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি স্থগিত করে দেশটি৷ এই সুবিধা ফিরে পেতে বাংলাদেশের জন্য বেশ কিছু শর্তসহ একটি কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করে ওবামা সরকার৷ ওই কর্মপরিকল্পনার অধিকাংশই বাস্তবায়ন হয়ে গেছে এবং বাকিগুলো 'নির্ধারিত' সময়ের আগেই বাস্তবায়িত হবে বলে গত মাসে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ জানান৷

গত ১১ই ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে এক শুনানিতে দেশটির ব্যুরো অফ ইন্টারন্যাশনাল লেবার অ্যাফেয়ার্সে ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারির দায়িত্বে থাকা এরিক বিয়েল বলেন, জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে বাংলাদেশকে আরো কাজ করতে হবে৷ জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে যে কর্মপরিকল্পনা দেয়া হয়েছিল, সে অনুযায়ী যথেষ্ট অগ্রগতি বাংলাদেশ দেখাতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি পুনর্বহাল হবে কিনা সে বিষয়ে শুনানি হবে আগামী মে মাসে৷

এনিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পোশাক কারাখানার কাজের পরিবেশ, শ্রমিক নিরাপত্তা, শ্রমিকদের মজুরি এবং ট্রেড ইউনিয়নের সুযোগ দেয়া এই চারটি হলো মূল শর্ত৷ স্বল্প মেয়াদে কিছু শর্ত পূরণ করা গেলেও কাজের পরিবেশ ও শ্রমিক নিরাপত্তার বিষয়টি দ্রুত নিশ্চিত করা সম্ভব হবেনা, কারণ, পোশাক কারখানার ভবনগুলো মানসম্মত করতে অনেক সময় লাগবে৷ তাছাড়া ট্রেড ইউনিয়নও একটি জটিল বিষয়৷ পোশাক কারখানা পরিদর্শন এবং নিরাপত্তার মান উন্নয়নেও আরো সময় লাগবে৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘এসব পূরণ করে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে আরো সময় লাগবে৷ সেটা আগামী মে মাসে সম্ভব না-ও হতে পারে৷'যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধায় বাংলাদেশ যে পণ্য বিক্রি করত, তা দেশের ৫০০ কোটি ডলারের রপ্তানির ১ শতাংশের মতো৷ ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশকে বড় ধরনের অসুবিধায় পড়তে না হলেও এর প্রভাব ইউরোপের ক্ষেত্রে পড়লে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করেন ড. হেলাল উদ্দিন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য