1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান বিমানবন্দরে সর্বত্রই নিরাপত্তা চেকিং-এর ব্যবস্থা যথাযথ: দে মেজিয়ের

২২ জানুয়ারি ২০১০

জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দরে মধ্যবয়সি এক যাত্রীর সিকিউরিটি চেকের সময় তাঁর ল্যাপটপ বিস্ফোরকের সতর্ক সংকেত দেয়ার পরও তাঁর বেপাত্তা হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রচন্ড হৈচৈ চলেছে এখানে৷

https://p.dw.com/p/LeeP
মিউনিখ বিমানবন্দরছবি: cc-by-sa

ঐ ঘটনার কারণে টার্মিন্যাল-দুই বন্ধ করে দিতে হয় প্রায় তিন ঘন্টার মত৷ প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা চেকিং-এর ক্ষেত্রে গুরুতর ফাঁক নিয়ে৷

জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস দে মেজিয়ের এই ঘটনাকে নিরাপত্তার গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন৷ এর ফলাফল হয়েছে এই যে, জার্মান বিমানবন্দরগুলোতে সিকিউরিটি চেকিং-এর গোটা ব্যবস্থাই পর্যালোচনার মুখে পড়েছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দে মেজিয়ের নিজে এয়ারপোর্টগুলোতে বডি স্ক্যানার বসানোর পক্ষে৷ মিউনিখ বিমানবন্দরের ঘটনার প্রেক্ষাপটে তিনি স্বেচ্ছায় স্ক্যানার ব্যবহারের একটি ধারণা তুলে ধরেছেন৷ বলেছেন, বিকল্প হিসেবে স্ক্যানার ব্যবহার করানো যেতে পারে৷ তাঁর মতে, এয়ারপোর্টগুলোতে সিকিউরিটি চেক-এর দুটো লাইন থাকতে পারে৷ একটা দ্রুত লাইন যা স্ক্যানারের জন্য৷ অন্যটা অপেক্ষাকৃত ধীরগতির লাইন যেখানে যাত্রীদের একেবারে আগা থেকে গোড়া খুব খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হবে৷ তিনি বলেন, তারপর দেখা যেতে পারে গ্রহণের মাত্রা কোনটায় বেশি৷

এয়ারপোর্ট সিকিউরিটির বিষয়টা সারা বিশ্বেই একেবারে সামনে চলে এসেছিল বড়দিনের সময়৷ আমস্টারডাম থেকে ডেট্রয়েটগামী একটি বিমান বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টার পর বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়ে যায়৷ বিশেষ করে অ্যামেরিকা, ইউরোপের বিমানবন্দরে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরও বেশি কড়াকড়ি শুরু হয়ে যায়৷ এবার মিউনিখ বিমানবন্দরের ঘটনা বিষয়টাকে আবার নিয়ে এল আলোচনা ও বিতর্কের কেন্দ্রভাগে৷

Flughafen Sicherheit München
মিউনিখ বিমানবন্দরে এক নিরাপত্তা কর্মীছবি: AP

মিউনিখে সিকিউরিটি চেকিং-এর পদ্ধতি আরো কড়া করা হয়েছে৷ পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পারফিউম বা তেল-এর কোন চিহ্ন নিরাপত্তা যন্ত্রটিকে সক্রিয় করে থাকতে পারে৷ জার্মান পুলিশ ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের সিকিউরিটির উন্নতি ঘটাতে হবে৷ বিমানবন্দরে এই সিকিউরিটি চেকের দায়িত্ব প্রায়শই পালন করে বাইরের চুক্তিবদ্ধ কোন সংস্থার কর্মীরা৷ ফলে সেই সব কর্মী কতটা পেশাদারী যোগ্যতার অধিকারী তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ প্রাইভেট কোম্পানির কম বেতন আর দুর্বল প্রশিক্ষণ পাওয়া নিরাপত্তাকর্মীরা নিরাপত্তার কড়া বিধিনিয়মের চাপের মোকাবিলা করতে পারছেন না, এরকম অভিযোগ অবশ্য নাকচ করে দিয়েছেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তিনি বলেছেন, জার্মানির বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তার চেকিং যথাযথভাবেই হচ্ছে৷ তিনি অবশ্য নিরাপত্তার চলতি ব্যবস্থা নতুন করে খুঁটিয়ে দেখার কথা ঘোষণা করেছেন৷ প্রয়োজনে এই ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো যেতে পারে, বলেন তিনি৷ 

এদিকে মিউনিখের ঘটনায় নিরাপত্তা ঘাটতির একটা মোটামুটি ছবি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন, বাভারিয়ার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা৷ চেকিং-এর সময় সুনির্দিষ্ট বিধিনিয়ম মানা হয় নি৷ নজরদারি যন্ত্রে সম্ভাব্য বিস্ফোরকের সতর্ক সংকেত ধরা পড়ার পরও ল্যাপটপধারী যাত্রীকে সেখান উধাও হতে দেন নিরাপত্তাকর্মীরা৷ অথচ এরকম সংকেত থাকলে পাশের একটি ঘরে সেই ল্যাপটপ আবার ভাল করে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করাটাই রুটিন কাজ৷ বলা হচ্ছে, এমনও হতে পারে যে ঐ যাত্রী হয়ত ঘটনার গুরুত্বই বুঝতে পারেন নি - হয়ত অপেক্ষমান কোন বিমানে চেপে উড়ে গেছেন তাঁর গন্তব্যে৷ তবে আজ হোক কাল হোক তাঁর আসল পরিচয় জানা যাবেই৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার