1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানীতে অনলাইন নজরদারী

আরাফাতুল ইসলাম২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮

যে কোন রাষ্ট্র আইন-শৃংখলা রক্ষার স্বার্থে নাগরিকদের অধিকার কতটা সঙ্কুচিত করতে পারে- এই প্রশ্ন প্রায় সব দেশের বার বার উঠে আসে৷ বিশেষ করে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে এক্ষেত্রে তত্ পরতা আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে৷ ঘরবাড়ীতে তল্লাশী চালানোর পাশাপাশি তদন্তকারীর

https://p.dw.com/p/DPfg
তবে ঢালাওভাবে অনলাইন তল্লাশী হবে না
তবে ঢালাওভাবে অনলাইন তল্লাশী হবে নাছবি: AP

�� ইন্টারনেট ব্যবহার ও কম্পিউটারের উপরেও নজরদারী চালাতে চান৷ জার্মানীর সরকারও এধরনের অনলাইন তল্লাসীর অধিকার পাকাপোক্ত করতে চাইছে৷

আর তাই জার্মানীর সর্বোচ্চ আদালত বুধবার রায় দিয়েছে যে সেদেশের সরকার চাইলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের উপর গোয়েন্দা নজরদারী করতে পারবে৷ বিশেষ করে জার্মান নাগরিকদের জীবনের জন্য হুমকি স্বরুপ বা জার্মানের উপর কোন ধরনের হামলার আলামত পাওয়া গেলে গোয়েন্দা নজরদারী করা যাবে৷

তবে এই রায়ের ফলে জার্মানীর গোয়েন্দা সংস্থার ক্ষমতা বেশ খানিকটা কমে গেলো বলা যায়৷ কারন এর আগে জার্মানীর নর্থ রাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যে যে আইনটি ছিলো তাতে স্পষ্টতই ইন্টারনেট ও নাগরিকদের ব্যক্তিগত কম্পিউটারের উপর যে কোন ধরনের নজরদারী করতে পারতো গোয়েন্দারা৷ এই কাজে বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ভাইরাস ব্যবহারেরও সুযোগ ছিলো৷ কিন্তু এখন সেটাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে৷ ফলে আগেরমতো ঢালাওভাবে অনলাইন তল্লাশী আর সম্ভব হবে না৷

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে এই রায় মুলত জার্মানীর রক্ষনশীল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শয়েবলে'র চেষ্টারই বহি:প্রকাশ৷ তিনি একটি সংগঠিত আইন'ই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারী করার দাবি জানিয়েছিলেন৷ আর তাই স্বাভাবিকভাবেই জার্মান সরকার বিষয়টি নিয়ে সন্তুষ্ট৷ ফলে জার্মানীর বিচার মন্ত্রী ব্রিগিটে সিপরিস বলেছেন, এই রায় কার্যকর করতে তিনি প্রস্তুত৷

জার্মানী'র তথ্য সুরক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা পেটার শার্ এটিকে ১৯৮৩ সালের পর সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন রায় বলে মত দিয়েছেন৷ তবে জার্মানীর বাম দল এই রায়টি নীতিগতভাবে নাকচ করে দিয়েছে৷