1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশ সংরক্ষণ

৭ জুন ২০১৩

ইলেকট্রনিক বর্জ্য আলাদা করার ক্ষেত্রে ভারত যথেষ্ট এগিয়ে থাকলেও সেগুলিকে আবার কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে৷ তাই এবার সেই জঞ্জাল থেকে হাই ফ্যাশনের পণ্য তৈরি হচ্ছে ভারতের মধ্যেই৷

https://p.dw.com/p/18lsC
ছবি: AP

পথটা এঁকে বেঁকে যে টিলাটার উপর উঠে গেছে, সেটা আসলে ৪৫ লাখ টন আবর্জনার একটা স্তূপ৷ ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির কোণ কোণ থেকে ট্রাকে করে এখানে ময়লা আসে দিনে আট হাজার টন!

মোট পাঁচশো ময়লা-কুড়ানির এটাই হল জীবনধারণের একমাত্র উপায়৷ সমাজে তাদের কাজের কোনো মূল্য নেই৷ গাজিপুরের এই ময়লার গাদা সম্পর্কে কারোর কিছু জানবার আগ্রহও নেই৷ সমাজসেবী বিমলেন্দু ঝা এই ময়লা-কুড়ানিদের নিয়ে কাজ করেন৷ বিশেষ করে এখানে যে সব শিশুরা কাজ করে, তাদের নিয়েই তাঁর চিন্তা৷ ‘গ্রিন দ্য গ্যাপ' উদ্যোগের পরিবেশ আন্দোলনকারী বিমলেন্দু ঝা এ বিষয়ে বললেন, ‘‘সরকার প্রায় কোনো রিসাইক্লিং করে না৷ যেটুকু রিসাইক্লিং, তা এই ময়লা-কুড়ানিরাই করে৷ ওরাই ময়লা আলাদা করে বাজারে বিক্রি করে৷ বলা চলে, বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের আর কোনো ব্যবস্থাই নেই, পরিবহন ছাড়া৷ এই পুরানো ট্রাকগুলোই সরকারের একমাত্র অবদান৷ ব্যস, ঐটুকুই৷''

Junge Ukrainer machen Kunst aus Müll Alina Kopytsya
বর্জ্য থেকে ‘আপসাইক্লিং’এর একটি দৃষ্টান্তছবি: Alina Kopytsya

শুধুমাত্র দিল্লিতেই প্রায় তিন হাজার মানুষ ইলেকট্রনিক বর্জ্য রিসাইক্লিং'এর কাজ করে৷ আগে এই বাতিল ইলেকট্রনিক পণ্য সারা দুনিয়া থেকে আসতো৷ আজ ভারতের মধ্যবিত্তরাই তা সৃষ্টি করে৷ কাজ চলে পরিবেশ কিংবা কর্মীদের স্বাস্থ্যের কোনো তোয়াক্কা না করে৷

কাজেই জার্মান জিআইজেড বা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার প্রশ্ন হলো, পরিবেশ কিংবা স্বাস্থ্যগত নিয়মকানুন মেনে এই বেসরকারি সেক্টরটির সম্ভাবনার বিকাশ ঘটানো যায় কেমন করে? জার্মানির সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড-এর ঊর্ধ্বতন প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা আশীষ চতুর্বেদী বললেন, ‘‘রিসাইক্লিং প্রণালির নানা পর্যায় আছে৷ তার মধ্যে প্রথম হল প্রি-প্রসেসিং, অর্থাৎ বিভিন্ন পদার্থগুলোকে আলাদা করা৷ এক্ষেত্রে ভারত অবিশ্বাস্যরকম দক্ষ৷ বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি দক্ষ – এমনকি ইইউ এবং জার্মানির তুলনায়ও৷ কিন্তু আলাদা করা মাল থেকে কাঁচামাল বার করা, সেখানেই গোলমালের শুরু৷''

নতুন ধরনের রিসাইক্লিং কারখানায় ঠিক সেই প্রচেষ্টাই চলেছে৷ মানুষ কিংবা পরিবেশের ক্ষতি না করে ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে সোনা, তামা, অন্যান্য ধাতু উদ্ধার করা৷

আশীষ চতুর্বেদী বললেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, এই সব গরীব মানুষেরা এই কাজ করছে৷ কিন্তু এরা না করলে আমাদের পরিবেশের কী দশা হতো? আমার কাছে এই ময়লা-কুড়ানিরা হচ্ছে পরিবেশের মহান যোদ্ধা৷ এরা এদের পরিবেশ সংক্রান্ত কাজের জন্য স্বীকৃতি পায় না৷ অথচ এরা আমাদের পরিবেশ রক্ষায় একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে৷''

তার পরেও যা থাকে, বিমলেন্দু তাকে রিসাইক্লিং না বলে ‘আপসাইক্লিং' বলেন৷ ময়লা থেকে হাই ফ্যাশনের পণ্য তৈরি৷ ‘গ্রিন দ্য গ্যাপের' ধারণাটাই হল তাই৷

এসি/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য