1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির দরিদ্র মানুষ

২১ অক্টোবর ২০১২

জার্মানির প্রায় ১৩ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করে – অবাক করার মতো বিষয়, তাই নয় কি? তথ্যটা কিন্তু সত্য৷ সম্প্রতি বিশ্ব দারিদ্র্য দিবস উপলক্ষ্যে এমনই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জার্মানির পরিসংখ্যান ব্যুরো৷

https://p.dw.com/p/16Ty4
ছবি: picture-alliance/ZB

ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হলেও, সেখানকার সব মানুষ যে ভালো নেই সেটা এ তথ্য থেকেই বোঝা যায়৷ জার্মানির ভিসবাডেন শহরের এই পরিসংখ্যান ব্যুরোর সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি ছয় জন জার্মানের একজন দারিদ্র্যের মুখোমুখি হচ্ছে প্রতিনিয়ত৷ আর সংখ্যার বিচারে এরা জার্মানির মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ৷ যাদের মধ্যে অধিকাংশই (৬৫ শতাংশ) একক বাবা অথবা মা৷ অর্থাৎ তাদের সন্তান থাকলেও, তারা এক হয় অবিবাহিত অথবা তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে৷

২০০৫ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি নতুন নীতিকে সামনে রেখেই প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি সমীক্ষা চালায় সংস্থাটি৷ এরপর থেকে প্রতি বছরই এটা তারা চালিয়ে আসছে৷ তবে দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করা জার্মান জনগণের এহেন পরিসংখ্যান এর আগে আর দেখা যায় নি৷ সমীক্ষাটি অবশ্য এই সংখ্যা দিয়েই বসে থাকে নি৷ তারা গবেষণা করে দেখিয়েছে যে, দারিদ্র্যের মুখোমুখি হওয়া এ সমস্ত মানুষের বাৎসরিক আয় ১১, ৪২৬-এরও কম৷ মাসিক হারে যা দাঁড়ায় মাত্র ৯৫২ ইউরো, অবশ্যই যাতায়াতের খরচ, স্বাস্থ্য সেবা এবং সামাজিক নিরাপত্তা যাবৎ ব্যয় ধরে৷

এরপরেও প্রশ্ন উঠতে পারে, জার্মানি তথা ইইউ'র দারিদ্র্য সীমা পরিমাপের মাপকাঠি নিয়ে৷ স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসকারী জার্মানির এ বিপুল জনগণকে হয়ত দরিদ্র বলা যায় না৷ কিন্তু এখানকার আয় ও ব্যয়ের মধ্যে যে সম্পর্ক, এখানে থাকা-খাওয়ার যে খরচ – তার সঙ্গে আফ্রিকা বা দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের তুলনা করা কি চলে? এই যেমন, ২০১০ সালের অপর এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২৯.৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে বাস করে৷ অর্থাৎ তারা বিপিএল পরিবারভুক্ত৷

সে যাই হোক, আগামী বছর জার্মানির জাতীয় নির্বাচনের আগে এ রকম একটা পরিসংখ্যান অন্তত চিন্তার বিষয় চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের জন্য৷ জার্মানির ট্রেড ইউনিয়নগুলির বক্তব্য, দেশে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে এই পার্থক্যের কারণ মূলত শ্রম বাজারের অস্থিরতা, মুদ্রাস্ফীতি এবং বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা৷

এছাড়া, খাদ্য উৎপাদন হ্রাস ও খাদ্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিশ্বের অন্তত ১০ কোটি মানুষের জীবনমান দারিদ্র্য সীমার নীচে নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে ভিসবাডেন শহরের এই সংস্থাটি৷

ডিজি/এসবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য