1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে লবিয়িস্টদের রমরমা

২২ নভেম্বর ২০১৩

বিভিন্ন ক্ষেত্রের স্বার্থ রক্ষা করতে রাজনীতিকদের কাছে ‘লবি’ বা তদ্বির করা নতুন বিষয় নয়৷ জার্মানিতে আগামী জোট সরকার গড়ার আগেও লবিয়িস্টদের বাড়তি কর্মতৎপরতা দেখা যাচ্ছে৷ এক সাংসদ অবশ্য প্রতিরোধের অভিনব পথ বেছে নিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/1AM0m
A general view of members of the Bundestag, German lower house of parliament, waiting during a constitutional meeting of the Bundestag in Berlin October 22, 2013. REUTERS/Fabrizio Bensch (GERMANY - Tags: POLITICS)
ছবি: Reuters

২২শে সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের পর জার্মানিতে এখনো জোট সরকার গড়ার লক্ষ্যে আলোচনা চলছে৷ দুই বড় দলের সব সাধ-আহ্লাদ মেটাতে যে অর্থের প্রয়োজন, শেষ পর্যন্ত তার সংস্থান হবে কিনা, তাও স্পষ্ট নয়৷ এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের স্বার্থরক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে লবিয়িস্টদের দল৷ ওষুধ শিল্প থেকে শুরু করে জ্বালানি সংস্থা – জোট সরকারের কর্মসূচিতে সবাই নিজেদের পছন্দমতো বিষয় দেখতে চায়৷ কারণ তারা জানে, আগামী চার বছর দেশ শাসন করা হবে কোয়োলিশন চুক্তির ভিত্তিতে৷ যা করার, এখনই সেরে ফেলতে হবে৷

German Chancellor Angela Merkel (C) of the Christian Democratic Union (CDU) has taken seat between the Christian Social Union's (CDU) parliamentary group leader Gerda Hasselfeldt (R) and CDU/CSU parliamentary group leader Volker Kauder to attend the constitutional meeting at the Bundestag (lower house of parliament) on October 22, 2013 in Berlin. AFP PHOTO / ODD ANDERSEN (Photo credit should read ODD ANDERSEN/AFP/Getty Images)
ছবি: Odd Andersen/AFP/Getty Images

বার্লিন ও ব্রাসেলসে লবি গ্রুপগুলির তৎপরতা কম নয়৷ সবাই তাদের প্রভাব খাটাতে ব্যস্ত৷ জনপ্রতিনিধিরা ভোটারদের স্বার্থ দেখবেন, না লবিয়িস্টদের কথা শুনবেন, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ নেই৷ তার উপর লবিয়িস্টরা প্রভাব যে আসলেই কতটা তাও বোঝার উপায় নেই৷ তারা গোপনেই কাজ করতে ভালোবাসে৷ কোন সাংসদের সঙ্গে কতক্ষণ কোন বিষয়ে কথা হলো, সহজে তা বোঝার উপায় নেই৷

প্রচলিত এই লুকোচুরির খেলা বন্ধ করতে অভিনব এক পথ বেছে নিয়েছেন জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দলের সাংসদ মার্কো ব্যুলো৷ কবে, কোথায় কোন লবি সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে কী বিষয়ে কথা হচ্ছে, তিনি তাঁর ওয়েবসাইটে সে সব স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন৷ নিজের দলের জ্বালানি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর কাছে অনেকেই দরবার করতে আসেন, তদ্বির করেন৷ নানা বিষয় তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়৷ যেমন বলা হয়, কোনো নীতি কার্যকর করা হলে অনেক সংস্থা বন্ধ হয়ে যাবে, অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়বেন৷ খোলামেলা সংলাপের মাধ্যমেও তাঁর উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন লবিয়িস্টরা৷ বিশেষ করে কোয়ালিশন সংক্রান্ত আলোচনার আগে এমন প্রচেষ্টা বেড়ে যায়৷ শুধু কথায় নয়, নিজেদের বক্তব্য লিখিতভাবেও পেশ করা হয়, যাতে সাংসদরা সেই বক্তব্য দলের উপর সারিতে পাঠাতে পারেন৷ লবিয়িস্টদের মধ্যে রয়েছেন অনেক প্রাক্তন আমলা ও সরকারি কর্মকর্তা, যাঁরা প্রশাসনের ভেতরের খবর ভালো করেই জানেন৷ কীভাবে কাজকর্ম চলে, তা তাঁদের নখদর্পণে৷ এমনকি প্রাক্তন মন্ত্রীদেরও লবিয়িং করতে দেখা যায়৷

ব্যুলো অবশ্য জানিয়েছেন, যে ওয়েবসাইটে সব তথ্য প্রকাশ করার কাজ শুরু করার পর থেকে কিছু লবিয়িস্ট তাঁকে এড়িয়ে চলছেন৷ অর্থাৎ স্বচ্ছতা আনতে পারলে জনপ্রতিনিধিদের উপর এমন ‘হামলা' কমতে পারে বৈকি৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য