জার্মানিতে ‘ফেসবুক নিমন্ত্রণ’ বিড়ম্বনা
২৭ জুন ২০১১সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ এই মহা উৎসবের দিন ঘোষণা করেছে একদল ফেসবুকার৷ এই দিন ট্রেনে উৎসব হবে, মদ্যপান হবে৷ হামবুর্গের প্রশাসন এই নিয়ে যথেষ্টই চিন্তিত৷ কেননা, ইদানিং জার্মানির বিভিন্ন শহরে শুরু হয়েছে ‘ফেসবুক নিমন্ত্রণ' বিড়ম্বনা৷
এই মাসের শুরুর কথাই ধরুন৷ হামবুর্গে এক কিশোরির জন্মদিনে হাজির দেড় হাজার অনাকাঙ্খিত অতিথি! সেই তরুণী নাকি ফেসবুকে জন্মদিনের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেই নিমন্ত্রণ ভুলে ‘‘প্রাইভেট'' থেকে ‘‘পাবলিক'' হয়ে যায়৷ মনের সুখে তাই, তরুণরা হাজির মেয়েটির বাড়ির সামনে৷ বুঝুন অবস্থা!
জুন মাসের ১৭ তারিখ জার্মানির ভুপাটাল শহরেও একই ঘটনা ঘটেছে৷ এক অজ্ঞাত ফেসবুক ব্যবহারকারীর নিমন্ত্রণে সেশহরে জড়ো হয় ৮০০ মানুষ৷ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গোল মরিচের গুড়া ব্যবহার করেছে৷ অন্যদিকে, পুলিশকে লক্ষ্য করে আতশবাজি, বিয়ারের ক্যান ছুড়েঁছে অনাকাঙ্খিত ফেসবুক অতিথিরা৷ ফলাফল: ৪১ জন আটক, ১৬ জন আহত, আর জার্মান করদাতাদের ১২০,০০০ ইউরো গচ্চা৷ কারণ, ওই পয়সা খরচ করে পরদিন শহর পরিষ্কার করতে হয়েছে৷
ভুপাটাল কর্তৃপক্ষ এবার আরেক ফেসবুক পার্টি আগেভাগেই নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিয়েছে৷ ১ জুলাই এক তরুণের জন্মদিনে সেশহরে হাজির হওয়ার ঘোষণা করেছে ১,৬০০ ফেসবুকার৷
যাহোক, বলছিলাম হামবুর্গের কথা৷ সেখানকার শহর পরিবহন সংস্থা ‘হামবুর্গার হকবান' জানিয়েছে, তারা ফেসবুক ট্রেন পার্টির বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গেও আলোচনা চলছে৷
ইতিমধ্যে অবশ্য ১৯,০০০ ফেসবুকার ট্রেন পার্টিতে যোগ দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছে৷ তবে, জার্মানির বিল্ড পত্রিকা জানাচ্ছে, এই পার্টির নিমন্ত্রণপত্র ফেসবুকে আর দেখা যাচ্ছে না৷ যদিও তাতে তরুণদের আগ্রহে মোটেই ভাটা পড়েনি৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই