1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জামায়াত নিষিদ্ধ হবে'

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ মার্চ ২০১৪

জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার জাময়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করবে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক৷ তবে এ দল নিষিদ্ধ হবে কিনা, তা নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর, সরকারের ওপর নয়৷

https://p.dw.com/p/1BQ2H
Dhaka Protest gegen Blogger
ছবি: Reuters

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার বলেন, ‘‘ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই৷ তবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে৷''

গত বছরের ১লা আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট৷ অর্থাৎ, এ আদেশের ছয় মাসেরও বেশি সময় পর দলটি নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকারের এ পরিকল্পনার কথা বললেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী৷

তবে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াত নিষিদ্ধ হবে কিনা, তা মন্ত্রী বলতে পারেন না৷ এটা মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিষয়৷ তাদের রায়ের ওপরই আসলে নির্ভর করছে জামায়াত যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিষিদ্ধ হবে কিনা – সেই প্রশ্ন৷ তবে এমনটা হলে তা কখন, কোনো মাসে হবে– তা আদালতই বলতে পারে৷'' তিনি বলেন, ‘‘মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ইতিমধ্যেই সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারের সিদ্ধান্ত হয়েছে ট্রাইব্যুনালে৷ আমরা যতদূর জানি, এর তদন্ত শেষ হয়েছে৷ তাই যে কোনো সময় ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করবেন প্রসিকিউটররা৷ তারপর হবে বিচার৷ এখানে সরকারের কিছু করার নেই, পুরোটাই আদালতের এখতিয়ার৷''

তবে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘‘সরকার চাইলে অবশ্য সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে পারে৷ ট্রাইব্যুনালের একাধিক রায়ে জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলা হয়েছে৷ এছাড়া গত কয়েক বছরে জামায়াত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবেই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে৷ সংবিধনের ৩৮ নং অনুচ্ছেদ, বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং সন্ত্রাস দমন আইন – এর যে কোনোটি ব্যবহার করে সরকার জামায়াতকে নির্বাহী আদেশেই নিষিদ্ধ করতে পারে৷ তার জন্য জুন মাস পর্যন্ত বসে থাকার দরকার নেই৷'' এ জন্য সংসদে আলোচনারও কোনো প্রয়োজন নেই বলে তিনি মনে করেন৷

এদিকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকউটর রানা দাসগুপ্ত গত শনিবার ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘ট্রাইব্যুনাল আইনে সংগঠনের বিচারের কথা বলা হলেও, সুনির্দিষ্টভাবে শাস্তি কী হবে তা বলা হয়নি৷ ব্যক্তি এবং সংগঠনের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও আদালত যা যৌক্তিক মনে করে৷ তবে সংগঠনকে তো আর মৃত্যদণ্ড দেয়া যায় না৷ তাই অপরাধী প্রামাণিত হলে এবং আদালত ইচ্ছে করলে জামায়ত নিষিদ্ধ ও জামায়াতের সব ধরণের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পারে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য