1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাপানী এনসেফালাইটিসে মারা যাচ্ছে ভারতীয় শিশুরা

১৭ অক্টোবর ২০১১

সম্প্রতি মশা বাহিত এনসেফেলাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে প্রায় ৪০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, প্রাণঘাতী এই রোগটি এবার রাজধানী নতুন দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী চণ্ডিগড়েও ছড়িয়ে পড়ছে বলে আশঙ্কা৷

https://p.dw.com/p/12t0S
ছবি: cc

উত্তর প্রদেশের গোরখপুর অঞ্চলেই এই রোগটির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি বলে জানাচ্ছে ভারতের এনডিটিভি সহ বিভিন্ন সংবাদসংস্থা৷ তারা জানায়, গত বছরের থেকে জাপানী এই এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা এ বছর প্রায় দ্বিগুণ৷ বিবিসি জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই গোরখপুরের সরকারি হাসপাতালে অন্ততপক্ষে ২,৩০০ জন শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে৷ তবে এ বছর সব মিলিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা অন্ততপক্ষে ৪,৪৮০ বলে জানা গেছে৷

অন্যান্যা মশা বাহিত রোগের মতো এনসেফেলাইটিসের প্রকোপও সাধারণত বর্ষাকালেই বেশি৷ তাই অগাস্ট মাস নাগাদ এ রোগের ভ্যাকসিন আক্রান্ত এলাকগুলিতে পাঠানো হলেও, তার আগেই রোগের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে৷ ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায় যে, জুন-জুলাই মাসের মধ্যে শত শত মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয় এ বছর৷ স্বাভাবিকভাবেই, কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক সময়ে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় নি বলে অভিযোগ উঠে আসে বিভিন্ন মহল থেকে৷

উত্তর প্রদেশের বিআরডি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক কে পি কুশওয়াহা বলেন, ‘‘এতো বেশি রোগী আসছে এখানে যে, সবাইকে চিকিৎসা দিতে গেলে আমাদের আরও অর্থ দরকার৷'' তাই কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত আরো অর্থের ব্যবস্থা করা, দাবি ড. কুশওয়াহার৷

এদিকে, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত গোরখপুর থেকে এই জাপানী এনসেফালাইটিস ছড়াচ্ছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামেও৷ এ পর্যন্ত সেখানে প্রায় ২ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে৷ মারা গেছে কমপক্ষে ১১৪ জন৷ ভারতের অন্যতম শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড. সাথি দত্ত সরকারকে অবিলম্বে এ রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক