1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ধূম্রজাল

হারুন উর রশীদ স্বপন৬ ডিসেম্বর ২০১৩

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) শেষ অবস্থান কি হবে তা কেউই বলতে পারছে না৷ কারণ ‘সর্বদলীয়’ সরকারে জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের পদত্যাগ নাটকের এখনো অবসান হয়নি৷ তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেননি৷

https://p.dw.com/p/1AUGO
Bangladesch Hussain Muhammad Ershad in Dhaka
ছবি: imago/Xinhua

এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে৷ জাতীয় পার্টির ৭ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপদেষ্টা এরশাদের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন বলা হলেও জমা দিয়েছেন মাত্র ৪ জন৷ রওশন এরশাদ , জিয়াউদ্দিন বাবলু এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এখনো এরশাদের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেননি৷ আর যে ৪ জন এরশাদের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তাদের পদত্যাগ পত্র নাকি এরশাদ রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যাবেন৷ রাষ্ট্রপতি এখন দেশে নেই৷ কিন্তু যার কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠালে সংবিধান অনিুযায়ী পদত্যাগ হবে সেই প্রধানমন্ত্রী দেশে থাকলেও পদত্যাগ পত্র তাঁর কাছে পাঠানো হচ্ছেনা৷ ফলে ধীরে ধীরে আসল ঘটনা বোঝা যাচ্ছে৷ বোঝা যাচ্ছে দর কষাকষির বিষয়টি৷

নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিব রহুল আমীন হাওলাদার তা আরো পরিষ্কার করলেন৷ তিনি এরশাদের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার একদিন পর শুক্রবার বললেন, নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে৷ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, নির্বাচন বর্জন এবং মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের 'চূড়ান্ত' ঘোষণা দেয়ার পরও সরকারের সঙ্গে কি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'সরকার তো সরকারই , সরকারের সঙ্গে আলোচনা হতেই পারে, যোগাযোগ হতেই পারে এতে দোষের কিছু নেই৷ দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়৷ জাতীয় পার্টিও চায়৷ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করাই যায়৷' তিনি আরো বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সঙ্গে দেশ পরিচালনা করেছি তাই পদত্যাগটা যেন সৌজন্যমূলক হয়৷ তবে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না, যা বিবেক বর্জিত এবং দেশের মানুষের স্বার্থ ক্ষুন্ন করে৷'

রুহুল আমীন হাওলাদার প্রকাশ না করলেও জানা গেছে সরকারের দু'জন মন্ত্রী এখন জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ জাতীয় পার্টি এরশাদের বিরুদ্ধে মঞ্জুর হত্যা এবং জনতা টাওয়ার মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনের তারিখ কিছুটা পেছানোর দাবি তুলেছে৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার রওশন এরশাদসহ জাপার ৩ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী দেখা করতে গিয়েও একই কথা বলেন৷ জানা গেছে এখন এইসব বিষয় নিয়েই জাতীয় পার্টি সরকারের সঙ্গে দর কষাকষি করছে৷ নির্বাচনের তারিখ পেছানো না হলেও মামলার ব্যাপারে সরকার এরশাদকে আশ্বস্ত করছে৷ তবে তা মামলা প্রত্যাহার করে না অন্যকোন উপায়ে সে বিষয়টি জানা যায়নি৷ তবে এরশাদ মামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অবস্থান নিয়েছেন৷

এদিকে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, জাতীয় পার্টি না থাকলেও নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে৷ তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি একেক সময় একেক কথা বলে৷ তারা নির্বাচনে ফিরে আসবে কিনা তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷ নির্বাচন পেছানোর কোন সম্ভাবনা নেই৷ আর রাজনৈতিক কর্মসূচি রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা হবে৷ তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠেনা৷ শেখ হানিাকে প্রধানমন্ত্রী রেখেই নির্বাচন হবে৷

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ প্রতিদিনের মত শুক্রবারও অল্প সময়ের জন্য সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ তিনি জানান সংবাদ মাধ্যমে যেভাবে এসেছে বুধবার রাতে তিনি সেভাবে আত্মহত্যার কথা বলেননি৷ তিনি বলেছেন তাকে আটক করে তার কাছ থেকে মিথ্যা বিবৃতিতে সই নেয়া হতে পারে৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি এখনো নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অটল আছেন৷ আবারো বলেছেন সময় মত মন্ত্রীদের পদত্যাপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য