1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জবাই না করে প্রাণভিক্ষা দিলেন ওবামা

২৫ নভেম্বর ২০১০

গত নির্বাচনে নিজের ডেমক্র্যাটিক দলের মানরক্ষা করতে না পারলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রক্ষা করলেন দুটি প্রাণীকে৷ প্লেটে নয়, তাদের স্থান হলো জর্জ ওয়াশিংটনের বসতবাড়িতে৷

https://p.dw.com/p/QHcR
গত বছর ‘কারেজ’ নামের টার্কিকে ক্ষমা করেছিলেন ওবামাছবি: AP

একজনের নাম ‘অ্যাপল, অপর জনের নাম ‘সিডার'৷ না মানুষ নয় – টার্কি বা বড় আকারের মোরগ জাতীয় প্রাণী৷ অ্যামেরিকার সমাজে ‘থ্যাঙ্কসগিভিং'এর ছুটিতে যা না থাকলে চলে না৷ এই সময় আনুমানিক প্রায় সাড়ে চার কোটি টার্কি ভক্ষণ করে অ্যামেরিকার মানুষ৷ সপরিবারে বেশ আরাম করে খাওয়া হয় এই বিশাল টার্কির মাংস৷ উৎসবের মরশুমে এমনই কোনো পরিবারের প্লেটে স্থান হত ‘অ্যাপল' ও ‘সিডার'এর৷ বলা যেতে পারে তাদের ভাগ্য ভালো, কারণ নিয়তি তাদের খোদ হোয়াইট হাউসের থ্যাঙ্কসগিভিং ডিনারে পাঠিয়েছিল৷ পেল্লাই প্রায় ২০ কিলো ওজনের এই দুই প্রাণীকে আনাও হয়েছিল হোয়াইট হাউসে৷ কিন্তু তাদের ভাগ্য সত্যিই বড় ভালো৷ খোদ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাদের ‘ক্ষমা' করে দিলেন৷

JAHRESRÜCKBLICK 2003 NOVEMBER IRAK BUSH
২০০৩ সালে ইরাকের এক সামরিক ঘাঁটিতে টার্কি হাতে জর্জ ডাব্লু বুশছবি: AP

রোজ গার্ডেনের ঐতিহ্যবাহী থ্যাঙ্কসগিভিং উৎসবে প্রেসিডেন্ট বেশ খোশমেজাজে ছিলেন৷ সঙ্গে দুই কন্যা সাশা ও মালিয়া৷ দুটি প্রাণীর প্রাণ বাঁচিয়ে রসিকতা করে বললেন, ‘‘এই নভেম্বর মাসে অন্তত একটা কোপ থেকে তো কেউ বাঁচলো!'' কংগ্রেস নির্বাচনে বিশাল ধাক্কা খেয়ে নিজেকেই একটা খোঁচা দিলেন ওবামা৷

প্রায় ২০ বছর আগে এই ‘ক্ষমা' করার রীতি চালু করেছিলেন জর্জ বুশ সিনিয়র৷ টার্কি'র জীবন ভিক্ষা দিয়ে তাদের পাঠিয়ে দিতেন ক্যালিফোর্নিয়ার ডিজনিল্যান্ড বা কোনো খামারে৷ ‘অ্যাপল' ও ‘সিডার'এর ভাগ্য সত্যি ভালো৷ তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে মাউন্ট ভার্নন'এ অ্যামেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের বসতবাড়িতে৷ সত্যি, টার্কি সমাজে ‘অ্যাপল' ও ‘সিডার'এর মান-সম্মান যে বেশ বেড়ে যাবে, তা বলাই বাহুল্য৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়