1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জঙ্গিবাদে অর্থায়নের বড় উৎস সৌদি আরব: উইকিলিক্স

৬ ডিসেম্বর ২০১০

একের পর এক তথ্য বোমা ফাটিয়ে চলেছে উইকিলিক্স৷ আল কায়েদা ও তালেবানের মত গোষ্ঠীগুলোর অর্থ আসে মূলত সৌদি আরব থেকে এমনটি জানা গেছে উইকিলিক্স এর ফাঁস করা তথ্য থেকে৷ এদিকে কূটনৈতিক মিশনগুলোতে ব্যাপক রদবদল করতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন৷

https://p.dw.com/p/QQJx
যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, উইকিলিক্স, তালেবান, আল কায়েদা, জঙ্গি, কাতার, কুয়েত, মধ্যপ্রাচ্য, আসাঞ্জ, assange, usa, saudi arabia, wikileaks, taliban, al qaeda, qatar, kuwait, clinton, obama
ছবি: dpa

অর্থের উৎস মধ্যপ্রাচ্য

জানা গেছে, আল কায়েদা সহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর জন্য যে অর্থ আসে তার বেশিরভাগ উৎস সৌদি আরব থেকে৷ এবং এটি স্বয়ং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের কথা৷ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর একটি গোপন পর্যালোচনায় তিনি লিখেছেন যে, সৌদি আরবের দাতারা বিশ্বব্যাপী সুন্নি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সবেচেয়ে বেশি অর্থ দিয়ে আসছে৷ উইকিলিক্স মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এই দলিল ফাঁস করে দিয়েছে৷ এতে আরও বলা হয়েছে যে, মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে কাতার ও কুয়েত থেকেও বিপুল পরিমাণে অর্থ আসছে আল কায়েদার জন্য৷ এবং এসব দেশগুলো এই অর্থায়ন ঠেকাতে তেমন কোন জোরালো উদ্যোগ নিতে পারছে না৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রিয়াদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে একটি বার্তা পাঠানো হয়৷ সেটিতে বলা হয়েছিল যে, সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রমে সৌদি আরব পুরোপুরি মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র দেওয়া তথ্যের ওপর নির্ভর করে থাকে৷

Inspire Al Qaeda Al Qaida Kaida Zeitung Magazin
আল কায়েদা পরিচালিত ম্যাগাজিন

ক্ষুব্ধ সৌদি রাজপরিবার

এর আগে ইরানের পরমাণু স্থাপনার ওপর হামলা চালানোর জন্য সৌদি বাদশাহ যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছিলেন, এমন গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিল উইকিলিক্স৷ এখন তার সঙ্গে যোগ হলো জঙ্গিবাদে অর্থায়ন৷ এসব ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর স্বভাবতই ভীষণ অসন্তুষ্ট সৌদি রাজপরিবার৷ রোববার সৌদি রাজপরিবারের যুবরাজ তুর্কি আল ফয়সাল দাবি করেছেন, দূতাবাসের যেসব কর্মকর্তা এসব গোপন বার্তা ফাঁস করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে৷ তিনি বলেছেন, যদি কূটনীতিকরা তাঁদের মতামত স্বাধীনভাবে বিনিময় করতে না পারে তাহলে আমাদের সকলকেই বিপদে পড়তে হবে৷

বেকায়দায় মার্কিন কূটনীতিকরা

তবে আন্তর্জাতিক মহলে মার্কিন কূটনীতিকদের বিশ্বস্ততা ইতিমধ্যে যে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সেটি বলতে হয়৷ তাই আগামী মাসগুলোতে মার্কিন দূতাবাসগুলোতে রদবদল আনতে যাচ্ছে ওবামা প্রশাসন৷ কেবল কূটনৈতিক মহল নয় সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার অনেক পদেও পরিবর্তন আনবে ওয়াশিংটন এমন খবর জানা গেছে৷ এই বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেসলি ফিলিপ শুধু এতটুকু বলেছেন, যদি রদবদলের প্রয়োজন হয় তবে আমরা তা করবো৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান