1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘জংলি’ শাম্মী কাপুর চলে গেলেন

১৪ আগস্ট ২০১১

চলে গেলেন ভারতের এলভিস প্রিসলে৷ শাম্মী কাপুর৷ গত শতকের পাঁচ আর ছয়ের দশকে এই নামটি বলিউডের আঙ্গিনায় উঠে আসে এক বিদ্রোহী তারকা হিসেবেই৷ তারপর বাকিটা ইতিহাস৷ মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৯৷

https://p.dw.com/p/12GH9
ছবি: picture alliance/dpa

‘ইয়াহু.....'৷ এই শব্দটি বললে আজকের দুনিয়ায় মানুষ একটাই অর্থ খুঁজে পাবেন৷ তাহল সার্চ এঞ্জিন, ইমেল ঠিকানা বা যাবতীয় ইন্টারনেট বিধৌত অর্থ৷ এই একই শব্দের আরেক অর্থ যে শাম্মী কাপুর, তাও কিন্তু জানে গোটা ভারতবর্ষ এবং বলিউড প্রেমী মানুষজনেরা৷

কথা হল, শাম্মী কাপুর, মানে কাপুর পরিবারের এই আজীবন অন্যধারার প্রতিভাবান অভিনেতাটির সেই ষাটের দশকে অভিনীত ছবি জংলি, আর সে ছবিতে ‘ইয়াহু.. চাহে কোই মুঝে জংলি কহে.. ' গানটি৷ শাম্মী কাপুরকে সকলেই জানে জংলি হিসেবেই৷

শুধু তো জংলি ছবিটিই নয়৷ শাম্মী কাপুর অভিনয় করেছেন সেই পাঁচ, ছয় আর সত্তরের দশকের অসংখ্য ছবিতে৷ একটু পাগলাটে, কিছুটা নিজের ধাঁচে তৈরি করা অভিনয়শৈলি, অনেকটাই প্রতিভার স্ফুরণ, অসামান্য নিজের কায়দার নাচের স্টেপিং, চুলের কায়দাটা এক্বেবারে এলভিস প্রিসলের মত সেই যৌবনে৷ এসব কারণেই শাম্মী কাপুর ছিলেন একটু বিদ্রোহী, একটু অন্যরকমের অভিনেতা৷ প্রচলিত রোম্যান্টিক নায়কের ছক ভেঙে দেওয়াতেই তাঁর আনন্দ ছিল৷ প্রথাগত পথে হাঁটেননি তিনি৷ নিজেকে স্লিম, ট্রিম, ছিপছিপে করে রাখতেও পারেন নি৷ কাপুর পরিবারের অন্য সকলের মতই একটা বয়সের পর মোটা হতে শুরু করে দেন৷ তারপর থেকে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে দারুণ সব সাফল্য৷ আর হাসি মজার ক্ষেত্রে তো কথাই নেই৷ কমেডি অভিনয়েও দারুণ দড় ছিলেন এই আমুদে, দিলখোলা মানুষটি৷

Shammi Kapoor
ছবি: AP

বেশ অনেকদিন ধরেই ভুগছিলেন কিডনির সমস্যায়৷ শেষের দিকে সপ্তাহে তিনদিন করে নিতে হচ্ছিল ডায়ালিসিস৷ জীবনের শেষ কয়েকটি বছর আধ্যাত্মিক জগতে পা রেখেছিলেন শাম্মী কাপুর৷ অভিনয় থেকে নিজেকে কখনোই ঠিক গুটিয়ে নেননি৷ বলিউডের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন বিভিন্নভাবে৷ বলিউডের সকলেই তাঁকে গুরুজনের মত করেই দেখত৷ রবিবার সকালে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন শাম্মী কাপুর৷ পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে, সোমবার তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে৷

শাম্মী কাপুরের প্রয়াণের আরেকটি দিক হল, বলিউডের সেই সোনালি দিনগুলির ওপর আরেকবার যবনিকা৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: জাহিদুল হক