1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্তুষ্ট বিশ্বজিতের পরিবার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ ডিসেম্বর ২০১৩

গত বছর ডিসেম্বরে বিরোধী দলের অবরোধের সময় ঢাকায় নিহত দোকান-কর্মচারী বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ৮ কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত৷ এছাড়া ১৩ জনকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড৷

https://p.dw.com/p/1Abso
Bangladesh Ausschreitungen Streik
ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন৷

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ চলাকালে ছাত্রলীগের কর্মীরা পুরনো ঢাকার বাহাদূর শাহ পার্ক এলাকায় বিশ্বজিৎ দাসকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে৷ একটি দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ সকালে পায়ে হেঁটে কাজে যাচ্ছিলেন৷ তখন বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে জগন্নাথ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁকে সেখানেই নির্মমভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে৷ সে প্রাণ বাঁচাতে পাশের একটি ক্লিনিক ভবনে আশ্রয় নিয়েও বাঁচতে পারেনি৷ সেখানে তাকে ঘেরাও করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়৷ পুলিশ এবং সাংবাদিকদের সামনেই এই নির্মম ঘটনাটি ঘটে৷

এই ঘটনার পর সারাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়৷ চলতি বছরের ৫ মার্চ তদন্ত শেষে পুলিশ ছাত্রলীগের ২১ কর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়৷ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক রায় দেন৷ রায়ে ৮ জনকে ফাঁসি এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে৷ কারাদণ্ড প্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে৷

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৮ জনের মধ্যে ৬ জন কারাগারে আছেন৷ তারা হলেন, রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, জি এম রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন, কাইয়ুম মিয়া ও ইমদাদুল হক ওরফে এমদাদ৷ আর পলাতক আছেন রাজন তালুকদার ও নুরে আলম৷ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৩ জনের মধ্যে এস এম গোলাম কিবরিয়া এবং গোলাম মোস্তফা কারাগারে আছেন৷ বাকি ১১ জন এখনো পলাতক৷

বিশ্বজিৎ হত্যার ঘটনায় পুলিশ স্বেচ্ছায় আসামিদের আটক করেনি৷ হাইকোর্ট সংবাদপত্রে প্রকাশিত ছবি এবং এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে স্বপ্রণোদিত হয়ে অপরাধীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিলে পুলিশ তৎপর হয়৷

রায় ঘোষণার পর বিশ্বজিতের ভাই উত্তম কুমার দাস ডয়চে ভেলেকে জানান, এই রায়ে তাঁরা মোটামুটি সন্তুষ্ট৷ এখন তাদের দাবি, পলাতক আসামিদের গ্রেফতার এবং দ্রুত রায় কার্যকর করা৷ তিনি জানান বিশ্বজিৎ হত্যার পর তাঁদের পরিবার আর্থিক বিপর্যের মুখে পড়েছে৷ তাদের পরিবার এখন সংকটের মুখে আছে৷

এদিকে, পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জানান, আদালত ন্যায়বিচার করেছেন৷ এতে প্রমাণিত হলো, কেউ অপরাধ করলে সে যতই ক্ষমতাধর হোক না কেন পার পায় না৷ আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য