বার্তা সংস্থা রয়টার্স ছবিটি ডয়চে ভেলেকে সরবরাহ করেছে৷ এন্ড্রু বিরাজের তোলা ছবিটির ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়, ‘‘প্রেস'' লেখা নিজের মোটরসাইকেল থেকে পেট্রোল বের করছেন জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মী৷ উদ্দেশ্য – রাস্তায় আগুন জ্বালানো৷ ২৬ নভেম্বর ঢাকার রাস্তা থেকে ছবিটি তোলা হয়৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
দু’দলের দ্বন্দ্ব
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নির্দিষ্ট হয়েছে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে৷ তবে মুখ্য বিরোধী দল বিএনপি এখনো নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি নয়৷ তারা চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, শাসক আওয়ামী লীগের কাছে যা সংবিধান লঙ্ঘনের সমান৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
জাতিসংঘ চায় সংলাপ
জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই দুই বিবাদী জোটের মধ্যে সংলাপের উদ্যোগ নিয়েছে৷ মহাসচিব বান কি-মুন গত ২৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কথাবার্তা বলেছেন৷ জাতিসংঘের মহাসচিব উভয় নেতার প্রতি চলতি রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ অবসানের জন্য আলাপ-আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
হাসিনা চান সংসদে আলোচনা
জাতিসংঘ বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মহাসচিবের ফোনালাপের কোনো খুঁটিনাটি প্রকাশ করেনি৷ তবে বাংলাদেশের একাধিক দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী হাসিনা ‘‘জাতিসংঘের প্রধানকে জানিয়েছেন যে, তিনি সংবিধান অনুযায়ী সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা করছেন৷’’ বিরোধীপক্ষ যদি গোটা প্রসঙ্গটি সংসদে আলোচনা করার কোনো প্রস্তাব দেয়, তবে তিনি তাকে স্বাগত জানাবেন, এমন আভাসও দিয়েছেন হাসিনা৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনে বিএনপির ‘না’
বান কি-মুনের সঙ্গে ফোনালাপে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াও সংকট সমাধানে সংলাপের সপক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন, কিন্তু এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ‘‘বিরোধীপক্ষ আওয়ামী লীগ সরকারের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না৷’’
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি ও কেন?
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মূল কাজ হলো মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা৷ ১৯৯১ সালে এই পদ্ধতি চালু করা হয় কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সেই পদ্ধতি বাতিল করে৷ বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী পক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছে৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
জার্মানি সংলাপ সমর্থন করে
সংলাপকে বাংলাদেশের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক জোটের মধ্যে অচলাবস্থা নিরসনের একমাত্র পন্থা বলে মনে করে জার্মানি৷ ‘ঢাকা কুরিয়ার’ নামক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. আলব্রেশট কনৎসে বলেছেন, ‘‘দু’টি মুখ্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংলাপ হলো বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা সমাধানের একমাত্র পথ৷’’
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
ইউনূস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ডাক দিলেন
বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস একটি ‘‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ (নির্বাচনকালীন) সরকার’’ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য সমর্থন ব্যক্ত করেছেন৷ গত ২২ আগস্ট ইউনূস একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘নির্বাচন অতি অবশ্য হওয়া উচিত এবং তা একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হওয়া উচিত৷’’
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)
হাসিনা সরকারের সৃষ্ট আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বা আইসিটি-র উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার৷ কিন্তু তা শাসকদল এবং বিরোধীপক্ষের মধ্যে একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ আইসিটি এখন পর্যন্ত ছ’জন অভিযুক্তকে শাস্তি দিয়েছে৷ বিরোধীপক্ষ এই বিচার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়েছে৷ তাদের মতে এই প্রক্রিয়ার বাস্তবিক উদ্দেশ্য ন্যায়বিচার নয়, পুরাতন শত্রুতার প্রতিশোধ৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
আন্তর্জাতিক সমালোচনা
হিউম্যান রাইটস ওয়াচও আইসিটি-র সমালোচনা করেছে৷ এইচআরডাব্লিউ বিবৃতিতে বলেছে, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক প্রধান গোলাম আযমের বিচার প্রক্রিয়া ‘‘গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ’’ ছিল৷ প্রতিক্রিয়া হিসেব সরকারি কৌঁসুলির তরফ থেকে এইচআরডাব্লিউ-এর বিরুদ্ধে আদালতের অবমাননার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ ইতিমধ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনা বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এইচআরডাব্লিউ-এর ‘‘একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’’ রয়েছে৷
-
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট থামছে না
ট্র্যাক রেকর্ড
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে৷ বিদ্যুৎ উৎপাদন কিংবা কৃষি খাতে সরকারের সাফল্যের খতিয়ান যাই হোক না কেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর হাসিনা সরকারের অন্য সব সাফল্য ঐ একটি কেলেঙ্কারির আড়ালে ধামাচাপা পড়ে গেছে৷ আগামী নির্বাচনেও পদ্মা সেতু প্রকল্প প্রসঙ্গটি প্রভাব ফেলতে পারে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম / এসি
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় সোমবার ছবিটি প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া জাগে৷ কেউ কেউ ছবিটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ আবার অনেকে এটিকে মনে করছেন, অবরোধে সময় সৃষ্ট নাশকতার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ৷ মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় শুধু ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতা থেকেই ছবিটি শেয়ার হয়েছে ২৩২ বার৷ আর মন্তব্য জমা পড়েছে ১৪১টি, লাইক ৮১৯টি৷
আহমেদ জর্জিস নামক এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর করা মন্তব্য ছবিটির মন্তব্যের ঘরে সবচেয়ে বেশি লাইক পেয়েছে৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ঠিক আছে এটা পেট্রোল বোমা, তো এই বোমাগুলি যাত্রী ভর্তি কোনো বাসে নিক্ষেপ করা হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ কি ডিডাব্লিউ'র হাতে আছে৷ যাত্রীসহ গাড়িতে যত পেট্রোল বোমা মারা হয়েছে এর সাথে ১৮ দলের কোনো সম্পর্ক নেই বলে ১৮ দল স্পষ্ট করেছে৷ আর এই জঘন্য কাজটা করছে আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র বিরোধী জোটের জনপ্রিয়তাকে কমানোর জন্য৷ কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র আজ জাতির কাছে স্পষ্ট৷''
জর্জিসের এই মন্তব্যের উত্তর এসেছে ২৩টি৷ ডয়চে ভেলের তরফ থেকে ছবিটির ইংরেজি ক্যাপশন তুলে দেওয়া হয়েছে সেখানে৷ জিয়াউর রহমান নামক এক ফেসবুক ব্যবহারকারী জর্জিসের মন্তব্যের উত্তরে লিখেছেন, ‘‘আপনাদের কি মনে হয় ১৮ দল দুধ খাওয়া শিশু যে তারা বাসে আগুন ধরাতে পারে না? আপনি ১৮ দল সাপোর্ট করতেই পারেন তাতে কারো কিছু যায় আসে না, কিন্তু অন্ধ হইয়েন না, আল্লাহ মাথা দিসে ভালো মন্দ বুঝার চেষ্টা করেন, রাজনীতির নামে ফাইজলামি করার দরকার নাই, যেদিন নিজে আগুনে জ্বলবেন সেদিন বুঝবেন৷ আর কি বলবো অন্ধকে হাতি দেখানোর মানে হয় না৷''
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
হামলার শিকার সাংবাদিক
বাংলাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন এবং হত্যার ঘটনা আগেও ঘটেছে৷ এখনো সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি৷ তবে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে সাংবাদিকের আহত হওয়ার ঘটনা চলমান আন্দোলনেই প্রথম ঘটছে৷ এ বছর হেফাজত-এ-ইসলামের সমাবেশে প্রহৃত হন সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন৷ গত দুই সপ্তাহে হরতাল এবং অবরোধের সময় ককটেল হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক৷ ছবিতে নাদিয়া শারমিনের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতেচ্ছেন নারী সংগঠন কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
যানবাহনে আগুন, রেললাইন উপড়ানো
হরতাল-অবরোধ মানেই রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ৷ কর্মসূচির এ লক্ষ্য পূরণের পথে বাধা হলে গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন লাগানো বাংলাদেশে অনেক দিন ধরেই স্বাভাবিক ঘটনা৷ তবে গত এক বছরে জ্বালাও-পোড়াওয়ের এই ধ্বংসলীলা অন্য মাত্রা পেয়েছে৷ হরতালের আগের রাতেই শুরু হয়ে যায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ৷ তাই বিরোধী দল ঘোষণা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন শুরুর আগেই জনমনে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক৷ ছবিতে মোটর সাইকেলে পেট্রোল ঢালছেন জামায়াত কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
শিশুরাও অসহায়, নিরাপত্তাহীন
যানবাহনে ঘুমন্ত চালক, হেল্পার বা চালকের সন্তানের আগুনে ঝলসে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে৷ ঢাকা শহর দেখতে এসে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছে কাভার্ডভ্যান চালকের সন্তান মুনির৷ এমন হতভাগ্যদের তালিকায় আরো নাম যোগ হয়েছে৷ স্কুলে, রাস্তায়, এমনকি বাড়িতেও শিশুদের জীবন সংকটাপন্ন দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ৷ছবিতে সর্বশেষ অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে স্লোগানরত জামায়াত কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
নিরাপত্তা কর্মীদেরও নিরাপত্তার অভাব
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের কারণে রায় ঘোষণার পর নেতাদের শাস্তির আদেশ প্রত্যাহার এবং মুক্তির দাবিতে জামায়াত-ই-ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে৷ হামলায় নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী৷ রাজশাহীতে দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যের মাথা ইটের আঘাতে থেতলে দেয়া হয়৷ বিরোধী দলের সর্বশেষ অবরোধ কর্মসূচিতেও কর্মরত পুলিশ ও বিজিবি সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন দায়িত্বরত অবস্থায়৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
সংখ্যালঘুদের বাড়ি-মন্দিরে আগুন
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে অনেক সময়৷ তবে শীর্ষ নেতাদের শাস্তি ঘোষণার পর জামায়াত ও শিবিরের কর্মীরা সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর-মন্দির-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা চালায়৷ ছবিতে নিজের শিশুসন্তান কোলে সাতক্ষিরার অমিয় দাশ৷ ঘরবাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের সময় শিশুটিকে আগুনে ছুড়ে মারতে চেয়েছিল শিবির কর্মীরা৷
-
প্রতিহিংসা আর ধ্বংসের নির্মম রাজনীতি আর কতকাল
কবে হবে অবসান!
প্রধান বিরোধীদল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে অগ্রাহ্য করে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি ও মহাজোটের শরিক কয়েকটি দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেছে৷ ফলে রাজনীতির মাঠে উত্তেজনা বেড়েছে৷ ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ তারপর থেকে বিরোধী দলের হরতাল, অবরোধ চলছে প্রায় বিরামহীনভাবে৷
লেখক: আশীষ চক্রবর্ত্তী
নাজমুল হুসাইন নামক একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন নিজের কষ্টের কথা৷ ছবিটির নিচে করা মন্তব্যে তিনি লিখেছেন, ‘‘...এই জামায়াতে ইসলামী বা বিএনপি টানা এভাবে ছয় দিন অবরোধ দিলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ এর যে কি পরিমাণ ক্ষতি হয় তা তারা কি বুঝে না৷ আমি যদিও আওয়ামী লীগকে ভাল বলছি না৷ কিন্তু এই বাসে আগুন বা রাস্তায় আগুন দিয়ে কি তারা দুই মুখী সাপের পরিচয় দিচ্ছে না৷''
তিনি লিখেছেন, ‘‘যে জামায়াতে ইসলামী মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসে(???) তারা আবার পরক্ষণেই সেই ব্যক্তির বা তাদের মতো লোকের ছোট ছোট গাড়িতে আগুন দেয় কি করে?????? আমি মনে করি এই ছবিটি একটি প্রমাণ মাত্র...৷''
জামায়াতে ইসলামীর অবরোধ সংক্রান্ত ব্যানারের সামনে রাখা মোটর সাইকেলটিতে অন্য সমস্যা থাকতে পারে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ৷ মুহাম্মদ মুরশেদুল হক লিখেছেন, ‘‘ছবি দেখে তো মনে হচ্ছে গাড়িতে টেকনিক্যাল প্রবলেম আছে৷ আর তিনি যে জামায়াতের কর্মী তাও তো গায়ে লেখা নেই৷ শিবিরের মিছিলের সামনে দিয়ে বুঝি কোনো কাকপক্ষীও যায় না?''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক