1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনে সহিংসতায় কমপক্ষে ১৪০ জন নিহত

৬ জুলাই ২০০৯

রোববার চীনের শিনচিয়াং প্রদেশে দাঙ্গায় অনেক লোক মারা গেছে৷আহতও হয়েছে অনেক৷তবে এখন সেখানকার পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত৷

https://p.dw.com/p/Ii6d
ছবি: AP

উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শিনচিয়াং প্রদেশের এ দাঙ্গায় কমপক্ষে ১৪০ জন নিহত এবং ৮২৮ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়ে সরকার বলেছে, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে৷ শিনচিয়াং-এর রাজধানী উরুমচিতে রোববারের এ ঘটনায় এ পর্যন্ত শতাধিক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার কাশগারে মুসলিম সম্প্রদায় উইগুর ছোট একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে৷ তবে সারাদেশে কোথাও আর কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি৷

চীনের সরকার সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে দেশের ভয়াবহতম এই দাঙ্গার জন্য উইগুরকেই দায়ী করেছে৷ উইগুর গত কয়েক বছর ধরেই শিনচিয়াং-এ চীনা শাসনের বিরোধীতা করে আসছে৷ সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভির এক বুলেটিনে ঘটনার সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করা হয়৷ সেখানে এক মহিলাকে দুজন পুরুষ মাটিতে ফেলে লাথি মারছে, রক্তাক্ত দুই তরুণী একে অন্যকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে -- এমন কিছু দৃশ্যের পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ঢিল ছোঁড়াছুড়ি, গাড়ি ভাঙ্গচুর, ঘর-বাড়ি, দোকানপাটে আগুন লাগানোও দেখানো হয়৷ প্রতিবেদনের ধারাভাষ্যকার বলেন, এ ঘটনা বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত৷ বিদেশ থেকে লোকজনকে উত্তেজিত করে দেশে নীলনক্সা অনুযায়ী কাজ করানো হয়েছে৷প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এই বিক্ষোভের নীলনক্সা এঁকেছেন রেবিয়া কাদের৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েক বছর জেল খাটার পর যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত রেবিয়া কাদের অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ উইগুরের প্রধান এক ই-মেইল বার্তায় বলেন,উইগুর ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে পুলিশ অহেতুক বাড়াবাড়ি করার ফলে এ ঘটনা ঘটেছে৷

Karte Westchinesische Provinz Xinjiang mit Provinzhauptstadt Urumqi deutsch Karte: DW/ Olof Pock Datum: 06.07.2009
মানচিত্রে শিনচিয়াং-এর রাজধানী উরুমচি

এদিকে দাঙ্গা দমনে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷ উরুমচিসহ তিনটি শহরে জারি করা হয়েছে সান্ধ্য আইন, অন্য কিছু শহরে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ কিছু শহরে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে৷

রোববার উরুমচিতে বিক্ষোভের এক পর্যায়ে উইগুররা প্রতিপক্ষ চীনের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় হানদের ওপর হামলা চালায়, পরে তারা পুলিশের সঙ্গেও ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে৷উইগুর কর্মীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্যান্য জায়গাতেও বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে -- যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি বেতারে এ খবর প্রচারিত হওয়ার পর কিছু এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়৷ পরে কোথাও কোথাও মোবাইল ফোনের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে৷

প্রতিবেদক: আশীষ চক্রবর্ত্তী, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার