1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের শিনচিয়াং প্রদেশ এখনো অশান্ত

৯ জুলাই ২০০৯

রোববারের দাঙ্গার পর আর কোনো প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও উত্তেজনা কমেনি৷ চীনের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শিনচিয়াং প্রদেশের দাঙ্গার পর দুদিন পার হয়ে গেলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হয়নি৷

https://p.dw.com/p/Ik3G
উরুমচির রাস্তায় লাঠি-সোটা নিয়ে হান চাইনিজ গোষ্ঠীর সদস্যদের মহড়াছবি: AP

কড়া নিরপত্তার মধ্যেই লোকজনকে লাঠি, ছুরি ইত্যাদি হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে৷ কোথাও কোথাও হামলার ঘটনাও ঘটেছে৷ এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিন তাও প্রধান শিল্পোন্নত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দিয়েই ইটালি থেকে দেশে ফিরে এসেছেন৷ রোববার শিনচিয়াং প্রদেশের রাজধানী উরুমচিতে হয়ে যাওয়া দাঙ্গায় ১৫৬ জন মারা যায়, আহত হয় ১ হাজারেরও বেশি মানুষ৷ বুধবার এক ঘোষণায় সরকার বলেছে, দাঙ্গায় যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে৷

এদিকে চীনের এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ আরো বাড়ছে৷ তিব্বতের নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা দালাই লামা এত লোকের প্রাণহানির কারণে দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন৷ তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তায়িপ এরদোয়ান চীনের প্রতি পরিস্থিতি শান্ত করার সব ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ঘটনাটি এমনিতেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, সুতরাং আর দেরি না করে থামান৷ পাশাপাশি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটনার জন্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তিও দাবি করেছেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আরেক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও একই দাবি জানান৷ এর আগে রোববারের দাঙ্গার জন্য মুসলিম উইগুর গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে চীন সরকার৷ উল্লেখ্য, তুরস্কের সঙ্গে উইগুরদের নিবিড় সাংস্কৃতিক যোগসূত্র রয়েছে৷

চীনের এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ আগে থেকেই শুরু হয়েছে৷ মঙ্গলবার বার্লিনে দ্বিপাক্ষিক এক বৈঠক শেষে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড চীনকে সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান৷

চীন সরকারের চেষ্টা, বহির্বিশ্বে উদ্বেগ-উৎকন্ঠার পরও কিন্তু চীনে পুরোপুরি শান্তি ফিরে আসার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না৷ উরুমচিতে রাস্তায় সেনাবাহিনী এবং দাঙ্গা পুলিশ আর আকাশে উড়ছে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার৷ তা সত্বেও বিক্ষোভ চলছে, চলছে হাতে লাঠি, ছুরি ইত্যাদি নিয়ে প্রতিপক্ষকে খুঁজে বেড়ানো৷ খুব বড় কিছু অবশ্য ঘটেনি৷ দু এক জায়গায় একা পেয়ে দু একজন উইগুরদের ওপর হামলা চালিয়েছে চীনের সংখ্যাগুরু হান গোষ্ঠীর কিছু লোক৷ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷

প্রতিবেদক: আশীষ চক্রবর্ত্তী, সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার