1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের ফার্স্ট লেডি

অ্যানি বক/এসি৩১ মার্চ ২০১৩

চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং-এর প্রথম বিদেশ সফরে আরো একজন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন৷ তিনি হলেন পেং লিইউয়ান, শি-র স্ত্রী, চীনের ফার্স্ট লেডি, যিনি চীনের সফ্ট পাওয়ারের প্রতীক হয়ে ওঠার পথে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা৷

https://p.dw.com/p/187Cr
ছবি: Reuters

বহির্বিশ্ব চীনের ফার্স্ট লেডিকে তাঁর নতুন ভূমিকায় প্রথম দেখে মস্কোয়, গাঢ় রঙের ট্রেঞ্চকোট আর হাল্কা নীল মাফলার পরে, হাতে একটা সহজ-সরল হাতব্যাগ৷ এভাবেই শি চিনপিং-এর পাশে দেখা যায় পেং লিইউয়ানকে৷

পেং-কে নিয়ে ইন্টারনেটে আলোড়ন চলেছে৷ চীনের মানুষ তাঁর সৌন্দর্য, তাঁর সৌজন্য, তাঁর মিষ্টতায় মুগ্ধ৷ ফ্যানরা তাঁকে মিশেল ওবামা কি কার্লা ব্রুনি-সার্কোজির সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছে৷

পেং-এর পোশাক-আশাক নিয়েও কৌতূহলের সীমা নেই৷ তিনি কোন ধরণের জামাকাপড় পরেন, সে খবর – এবং ছবি – এই ইন্টারনেটের যুগে স্বভাবতই কাকের মুখে ছড়ায়৷ তার ওপর পেং আবার সকলকে চমকে দিয়েছেন এই কারণে যে, তিনি অন্য চীনা নেতা এবং হর্তাকর্তাদের সহধর্মিণীদের মতো পশ্চিমি ডিজাইনারদের তৈরি ড্রেস না পরে, চীনের ফ্যাশন ডিজাইনারদের ড্রেস পরাই পছন্দ করেন৷

China Präsidentenfrau Peng Liyuan in Uniform
চীনা সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল বর্তমান ফার্স্ট লেডি পেং লিইউয়ানছবি: Reuters

উপস্থিতি

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠা যাবৎ পেং লিইউয়ান-ই প্রথম ফার্স্ট লেডি, যিনি জনসমক্ষে – এবং সেই সঙ্গে মিডিয়ায় – এত বেশি এবং এত বিশদ করে দৃষ্টিগোচর হয়েছেন৷ এর আগে চীনের ফার্স্ট লেডিরা কিছুটা রাজনৈতিক ঘেরাটোপের মধ্যে থাকতেন, বলা চলে৷ তারও একটা ইতিহাস আছে: চেয়ারম্যান মাও-এর চতুর্থ স্ত্রী জাং চিং কুখ্যাত ‘চারের গোষ্ঠীর' নেত্রী হিসেবে চীনের তথাকথিত সাংস্কৃতিক বিপ্লবের জন্য বহুলাংশে দায়ী ছিলেন৷ তাই তখন থেকেই ফার্স্ট লেডিদের সম্পর্কে চীনের মানুষেরা কিছুটা সতর্ক৷

‘সফ্ট পাওয়ার'

কিন্তু গ্ল্যামারাস পেং লিইউয়ান সম্বন্ধে নয়৷ তিনি নাকি বিশ্বে চীনের ‘সফ্ট পাওয়ার' ছড়াতে সাহায্য করবেন, বলে কিছু ভাষ্যকারের বিশ্বাস৷ আবার চীনা নেতৃত্বের ‘নরম দিকটা' তুলে ধরাও তাঁর কাজ হবে৷ একমাত্র সমস্যা: পেং ১৮ বছর বয়সে চীনা ‘গণমুক্তিফৌজে' যোগদান করেন এবং আজও তিনি সেনাবাহিনীর একজন মেজর জেনারেল৷ ইন্টারনেটে পেং-কে সেনাবাহিনীর এমন একটি গোষ্ঠীর মনোরঞ্জনের জন্য গান গাইতে দেখা যাবে, যারা ১৯৮৯ সালে বেইজিং-এর স্বর্গীয় শান্তির চত্বরে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনে নিযুক্ত ছিল৷

China Präsidentenfrau Peng Liyuan als Sängerin
গায়িকা হিসেবে ফার্স্ট লেডির আত্মপ্রকাশ ১৯৮২ সালেছবি: picture-alliance/dpa

গান এবং চ্যারিটি

গায়িকা হিসেবে পেং-এর আত্মপ্রকাশ ১৯৮২ সালে, টেলিভিশনে একটি নববর্ষের অনুষ্ঠানে৷ সে সময় থেকেই লোকগীতি এবং দেশপ্রেমের গান গেয়ে তিনি চীনের মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন৷ কিন্তু তাঁর স্বামীর রাষ্ট্রপ্রধান হবার সম্ভাবনা দেখা দেবার পর, পাদপ্রদীপের আলো থেকে মোটামুটি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন পেং লিইউয়ান৷

অন্যান্য ফার্স্ট লেডির মতো পেং-কেও চ্যারিটির ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে৷ যেমন তিনি এইডস প্রতিরোধে বিশেষভাবে সক্রিয়৷ ২০১১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন ডাব্লিউএইচও পেং-কে এইচআইভি ও যক্ষ্মার বিরুদ্ধে সংগ্রামে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ করে৷ তার আগে অবশ্য পার্টির অনুমতি নিতে হয়েছিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য