1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন চাপে বিএনপি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৭ মার্চ ২০১৪

নতুন করে চাপে পড়তে যাচ্ছে বিএনপি৷ এরই মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ চারজন শীর্ষ নেতা জামিন না পেয়ে কারাগারে গেছেন৷ আতঙ্কে আছেন মামলার আসামিরা৷ এ পরিস্থিতিতে বিএনপি কী করবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে শীর্ষ পর্যায়ে৷

https://p.dw.com/p/1BQyz
Bengalische Banknoten
ছবি: DW

‘মানি লন্ডারিং' মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয় বৃহস্পবিার রাতে৷ ওদিকে রবিবার আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে জামিন পাননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সালাম৷ তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যে৷ তাঁদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জানান, ঢাকায় বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে নির্বাচনের আগে আন্দোলনের কারণে৷ তিনি এ সব মামলাকে রাজনৈতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন৷

নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হওয়া নেতারা ধীরে ধীরে জামিনে ছাড়া পাচ্ছিলেন৷ কিন্তু এবার শীর্ষ নেতাদের জামিন বাতিল হওয়ায়, বিএনপি আবারো নতুন করে চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছে৷

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ তিনজন নেতা জামিনেই ছিলেন৷ নিম্ন আদালতে তাঁদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর কোনো যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে না৷ আসলে এটা সরকারের প্রভাবে হয়েছে৷''

তিনি দাবি করেন, উপজেলা নির্বাচনের পর বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করার যে কথা বলছে, এটা তার প্রতি হুমকি৷ তিনি বলেন, ‘‘এই সরকার আইন-আদালতকে তার স্বার্থে ব্যবহার করছে৷ সরকারের মন্ত্রী বলেছেন যে, বিএনপি আন্দোলন থেকে দূরে সরে সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় আসলে বিএনপি নেতাদের আর কারাগারে থাকতে হবে না৷ এ থেকেই বোঝা যায় আইন-আদালত কাদের ইঙ্গিতে চলছে৷''' তাঁর কথায়, ‘‘এখন নতুন নতুন মামলাতেও জড়ানো হচ্ছে নেতাদের৷

তবে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু ডয়চে ভেলেক বলেন, ‘‘বিএনপির তিনজন নেতা হরতাল-অবরোধের সময় সহিংসতা এবং হত্যা মামায় হাইকোর্ট থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন নিয়েছিলেন৷ তাঁদের সেই জামিন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে বাতিল করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেয়৷ এরপর তাঁরা নিম্ন আদালতে গেলে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান৷'' তিনি বলেন, ‘এটা আইনি প্রক্রিয়ায় হয়েছে৷ এখানে আদালতের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কোনো প্রশ্নই ওঠে না৷ আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে এবং আইনের চোখে সবাই সমান৷ কে কত বড় নেতা – তা আইন দেখে না৷''

এদিকে হরতাল অবরোধের মামলার বাইরেও বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন৷ এই নেতাদের দুদক কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে প্রকাশ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য