1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাঁদ ২০৬৯

১৯ নভেম্বর ২০১০

শিফট বস্টন৷ যাকিছু অসম্ভব, তার কল্পনাকে স্বাগত জানায় তারা৷ তো, তেমন কল্পনার গপ্পো থেকেই সেরা কল্পনা হল চাঁদে মানুষের কলোনি৷ সময়টা ২০৬৯৷

https://p.dw.com/p/QDEZ
Moon colony, ISRO, NASA, Astronaut,চাঁদ, চাঁদের বুড়ি, চরকা, কল্পনা, আবিষ্কার, বিজ্ঞান
জুলাইয়ের ২০, ১৯৬৯, চাঁদের বুকে প্রথম মানুষের পা পড়েছিলছবি: AP

চাঁদকে ঘিরেই কল্পনার বলগাকে আলগা করে দিয়েছিল এক প্রতিযোগিতা৷ শিফট বস্টনের ডাকে৷ তাদের আসল কাজ হল নির্মাণসংস্থা হিসেবে৷ একদল প্রতিভাবান কিন্তু কল্পনাপ্রবণ যুবক যুবতীকে এই সংস্থা ডেকেছিল, নির্মাণ আর কল্পনার মিশেলে নতুন কিছু করতে৷ তো, সেই নতুন কিছুর শিরোনাম ছিল চাঁদ৷

চাঁদে যে কোন বুড়ি বসে চরকা কাটে না, কিংবা চাঁদ যে কারও মামা নয়, যার কাজ হল কপালে টিপ দেওয়া, তা তো সকলেই অনেকদিন থেকে জেনে গেছি আমরা৷ কিন্তু এই রোম্যান্টিক চাঁদকে আজও মানুষ চাঁদনি রাতে পাগল পাগল করেই ভাবে৷ তাতে কী? নতুন প্রজন্ম বলছে, চাঁদে তারা কলোনি বানাবে৷ আর কী হবে সেই কলোনিতে?

তাহলে শুনুন বিজ্ঞান আর কল্পনার দৌড়টা কেমন৷ যেমন একজন বলছেন, চাঁদে আমি তৈরি করতে চাই একটা বিশাল খেলার মাঠ৷ তৈরি হবে একখানা সুড়ঙ্গ৷ সেই সুড়ঙ্গের ভিতরেই থাকবে খেলাধুলার আয়োজন, আর যাবতীয় খেলা হবে সেখানেই৷ যত প্রতিযোগিতা, স..ব৷ তবে চাঁদের প্রায় নেই মাধ্যাকর্ষণের কথা ভেবে খেলার ইভেন্টগুলোও হবে একটু অন্যরকম৷

আরেকজন আরেক কাঠি এগিয়ে গিয়ে বলেছে, চাঁদে তৈরি হবে একখানা রিফ্লেক্টর৷ সেই রিফ্লেক্টরের কাজ হবে চাঁদ থেকে সূর্যের আলো ধরে নিয়ে তা দিয়ে বিদ্যুৎ বানিয়ে সেটাকে পৃথিবীতে পাঠানো৷ যাতে পৃথিবীর জ্বালানি সমস্যার বিশাল সুরাহা হবে৷

Oberfläche des Mondes
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র ইসরোর তোলা চাঁদের খুব কাছের ছবিছবি: AP

না৷ এসবের কোনটাই কিন্তু গাঁজাখুরি গপ্পো বলে ভাববেন না৷ খবরদার৷ কারণ, ২২ বছরের ব্রায়ান হার্মস বা ২৩ বছরের কেথ ব্র্যাডলির এই যে সব পরিকল্পনা, তার সবকটাই যাবতীয় প্ল্যান প্রোগ্রাম সহকারে, যাকে বলে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতেই তৈরি৷ কিন্তু ‘মুন ক্যাপিটাল ২০১০' নামের এই প্রতিযোগিতার সেরা পুরষ্কার যে জিতে নিয়েছে, সেই ডিজাইনার ব্রায়না অ্যান্ডারসনের কল্পনা আর আবেগের মিশেলটা অসাধারণ৷ ব্রায়না বলছেন, চাঁদে একখানা কলোনি তৈরি করতে হবে৷ যে কলোনিতে থাকবে বিশাল মাপের স্যাটেলাইট ডিশ, যার কাজই হবে এনার্জি অর্থাৎ শক্তি সংগ্রহ করে চাঁদের কলোনির প্রয়োজন মিটিয়ে বুড়ি পৃথিবীকেও সাহায্য করা৷ আর সেই কলোনিতে পার্থিব শ্যাওলা থেকে সব ধরণের জীবের বসবাস হবে৷ মানুষ তো থাকছেই৷ মানে চাঁদকে একখানা মিনি পৃথিবী বানিয়ে তাতে চড়ে বসে পড়তে চায় ব্রায়না৷ আর ব্রায়না যে সময়সীমাটা দিয়েছে তাঁর পরিকল্পনা মাফিক এই কলোনির কাজ শেষ করার, তাতে দেখা যাচ্ছে ২০৬৯ সালে তৈরি হয়ে যাবে এই চন্দ্রকলোনি৷

তো, সেই চন্দ্রকলোনিতে যাওয়ার যদি ইচ্ছে থাকে, তাহলে এবার তার জন্য তোড়জোড় করতে হবে বৈকি! আপনার, আমার, সকলেরই৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার