1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চাঁদ নিয়ে গবেষণা

২৬ মে ২০১৩

অর্থাভাবের কারণে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার পক্ষে চাঁদে অভিযান চালানো সম্ভব না হলেও বেসরকারি কোম্পানিগুলি সেখানে গবেষণায় আগ্রহ দেখিয়েছে৷ নাসা আপাতত কোনো গ্রহাণু ও মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর চেষ্টা করছে৷

https://p.dw.com/p/18dod
ছবি: picture-alliance/AP

চাঁদের দিনকাল বহুকাল ভালো যাচ্ছিল না৷ মানে ঠিক চাঁদ নয়, চাঁদের প্রতি মানুষের আগ্রহের কথা হচ্ছে৷ সেই ১৯৬৯ সালে চাঁদে পা রাখার আগে-পরে অ্যামেরিকার কয়েকটি অভিযানের পর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের মহাজাগতিক বস্তুটি তেমন গুরুত্ব পায় নি৷ এবার সেই চিত্র বদলাতে চলেছে৷ তবে অ্যামেরিকার পক্ষে বিশাল ব্যয়বহুল অভিযান আর সম্ভব হচ্ছে না৷ ফলে আসরে নামছে বেসরকারি কোম্পানিগুলি৷ তারাই চাঁদে পাকাপাকি বসবাসের দিশা খুলে দিতে চলেছে৷

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা-র নির্দেশে বিগেলো এয়ারোস্পেস নামের এক সংস্থা মহাকাশ সম্পর্কে বেসরকারি কোম্পানির আগ্রহ যাচাই করে দেখেছে৷ অ্যামেরিকায় প্রায় ২০টি কোম্পানি ছাড়াও বিদেশের কিছু মহাকাশ ও গবেষণা সংস্থাকেও এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ তাদের আগ্রহের সবকটি প্রকল্পই যে কল্পবিজ্ঞান ছবির মতো রোমাঞ্চকর – তা নয়৷ যেমন পৃথিবীর কক্ষপথে কোনো যানের মধ্যে অথবা চাঁদের বুকে ওষুধপত্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চায় অনেকে৷ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতার বাইরে এমন পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কোম্পানি হিসেবে বিগেলো পৃথিবীর কক্ষপথ অথবা চাঁদের বুকে অস্থায়ী তাঁবু তৈরি করতে, লিজ দিতে ও চালাতে চায়৷ বেলুনের মতো এই তাঁবু প্রয়োজনে অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে৷

Bild vom Planeten Mars
মঙ্গলগ্রহ নিয়ে গবেষণা করছে নাসাছবি: Reuters

অর্থাভাবের কারণে নাসা অবশ্য পুরোপুরি হাত-পা গুটিয়ে বসে নেই৷ মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝে অসংখ্য গ্রহাণুর যে বলয় রয়েছে, ২০২৫ সালে তারই একটিতে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷ এর এক দশক পর খোদ মঙ্গলগ্রহে মানুষ পা রাখবে৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আগামী অর্থবছরে নাসার জন্য প্রায় সাড়ে ১০ কোটি ডলার বাজেটের প্রস্তাব রেখেছেন, যা দিয়ে এই কাজ শুরু হতে পারে৷

নাসা বেশ কিছুকাল ধরেই বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতার পথে চলেছে৷ তবে এখনো পর্যন্ত সাধারণত কোনো অভিযানের পরিকল্পনা শেষ করে তারপরই বেসরকারি অংশগ্রহণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হয়েছে৷ নাসার ‘স্পেস অপারেশনস' বিভাগের প্রধান উইলিয়াম গ্যার্স্টেনমায়ার এখন ঠিক বিপরীত পথে এগোনোর কথা ভাবছেন৷ অর্থাৎ আগে কোম্পানিদের আগ্রহ খতিয়ে দেখে তারপর সেই অনুযায়ী অভিযানের পরিকল্পনা করতে চাইছে নাসা৷

এসবি / জেডএইচ (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য