চল্লিশে পা দিলেও এখনো ‘টিনএজার’ ইন্টারনেট!
২৯ অক্টোবর ২০০৯‘ইন্টারনেটের এই পরিবর্তনে আমরা ক্রমাগতই বিস্মিত হয়েছি'- বার্তা সংস্থা এএফপিকে এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন ক্লিনরক৷ ইন্টারনেটের ৪০তম জন্মদিন উপলক্ষে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, লস এঞ্জেলস(ইউসিএলএ)-এ বৃহস্পতিবার পার্টি দিচ্ছেন তিনি এবং তাঁর সতীর্থরা৷
ইন্টারনেটকে ইঙ্গিত করে ক্লিনরক জানান, এটা এখনো টিনএজার৷ এখনো শিখছে এবং একে অনেক দূরে যেতে হবে৷ এর আচরণ বিভ্রান্তের মতো, কিন্তু সে তার বাবামা আর সমাজের প্রত্যাশা পূরণ করছে৷
১৯৬৯ সালের ২৯ অক্টোবর রিসার্চ সেন্টার এর সঙ্গে কথা বলার জন্য ইউসিএলএ একটি কম্পিউটার পেয়েছিল ক্লিনরক এর টিম৷ সেখান থেকে শুরু, তবে ক্লিনরক কখনো ভাবেননি হালের অনলাইন সামাজিক নেটওয়ার্কিং এর মতো ইন্টারনেট মানুষে মানুষে যোগাযোগের এক মাধ্যম হয়ে উঠবে৷ বরং তাঁর ধারণা ছিল ইন্টারনেট সীমাবদ্ধ থাকবে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে৷ ক্লিনরক জানালেন, আমি কখনো আশা করিনি আমরা মা ৯৯ বছর বয়সে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত ইন্টারনেটেই বসে থাকবেন৷
ইন্টারনেটে প্রথম মেসেজ কি ছিল? উত্তরে ক্লিনরক জানান, ইঞ্জিনিয়াররা দূরবর্তী একটি কম্পিউটারে লগ ইন করার জন্য ল্যাটিন হরফ এল ও জি টাইপ করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু এল আর ও টাইপ করার পরই নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে পড়ে৷ আর তাই প্রথম মেসেজ এল ও৷
অবশ্য দ্বিতীয় চেষ্টায় ক্লিনরক এর টিম আর্পানেট নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে ডিজিটাল ডাটা প্রেরণে সক্ষম হয়েছিল৷
সেই ইন্টারনেটের মন্দ ব্যবহার ব্যথিত করে ক্লিনরককে৷ বিশেষত স্প্যাম ই-মেইল পুরোপুরি অপছন্দ তাঁর৷ জানালেন, ১৯৯৪ সালে প্রথম স্প্যাম ই-মেইল সনাক্ত করার পর তাঁরা স্প্যামারদের থামতে বলেছিলেন৷
৭৫ বছর বয়সি ক্লিনরক এখন ইন্টারনেটকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার স্বপ্ন দেখেন৷ তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে ইন্টারনেটকে প্রকৃত বিশ্বে নিয়ে যাওয়া৷ সর্বত্র উপস্থিত থাকতে হবে ইন্টারনেটকে৷ আমি যে রুমে যাবো, সেই রুম বুঝবে আমি সেখানে এবং আমার সাথে কথা বলবে৷ এমনটাই চাই আমি৷
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ দশমিক ৬ বিলিয়নেরও বেশি৷ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরো বাড়াতে ল্যাটিন ছাড়া অন্যান্য ভাষায়ও ইন্টারনেট অ্যাড্রেস চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা আইক্যান৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক