1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চল্লিশে পা দিলেও এখনো ‘টিনএজার’ ইন্টারনেট!

২৯ অক্টোবর ২০০৯

৪০ বছর আগে লেওনার্ড ক্লিনরক ভাবেননি ফেসবুক, টুইটার বা ইউটিউবের কথা৷ তবে তাঁর টিম কিন্তু জন্ম দিয়েছিল ইন্টারনেট৷ আজ চল্লিশ বছর পর সেই ইন্টারনেটের এমন আধুনিক রূপ দেখে স্বভাবতই অভিভূত ক্লিনরক৷

https://p.dw.com/p/KIHR
লেওনার্ড ক্লিনরকছবি: AP

‘ইন্টারনেটের এই পরিবর্তনে আমরা ক্রমাগতই বিস্মিত হয়েছি'- বার্তা সংস্থা এএফপিকে এভাবেই নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন ক্লিনরক৷ ইন্টারনেটের ৪০তম জন্মদিন উপলক্ষে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, লস এঞ্জেলস(ইউসিএলএ)-এ বৃহস্পতিবার পার্টি দিচ্ছেন তিনি এবং তাঁর সতীর্থরা৷

ইন্টারনেটকে ইঙ্গিত করে ক্লিনরক জানান, এটা এখনো টিনএজার৷ এখনো শিখছে এবং একে অনেক দূরে যেতে হবে৷ এর আচরণ বিভ্রান্তের মতো, কিন্তু সে তার বাবামা আর সমাজের প্রত্যাশা পূরণ করছে৷

১৯৬৯ সালের ২৯ অক্টোবর রিসার্চ সেন্টার এর সঙ্গে কথা বলার জন্য ইউসিএলএ একটি কম্পিউটার পেয়েছিল ক্লিনরক এর টিম৷ সেখান থেকে শুরু, তবে ক্লিনরক কখনো ভাবেননি হালের অনলাইন সামাজিক নেটওয়ার্কিং এর মতো ইন্টারনেট মানুষে মানুষে যোগাযোগের এক মাধ্যম হয়ে উঠবে৷ বরং তাঁর ধারণা ছিল ইন্টারনেট সীমাবদ্ধ থাকবে কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে৷ ক্লিনরক জানালেন, আমি কখনো আশা করিনি আমরা মা ৯৯ বছর বয়সে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত ইন্টারনেটেই বসে থাকবেন৷

ইন্টারনেটে প্রথম মেসেজ কি ছিল? উত্তরে ক্লিনরক জানান, ইঞ্জিনিয়াররা দূরবর্তী একটি কম্পিউটারে লগ ইন করার জন্য ল্যাটিন হরফ এল ও জি টাইপ করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু এল আর ও টাইপ করার পরই নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে পড়ে৷ আর তাই প্রথম মেসেজ এল ও৷

অবশ্য দ্বিতীয় চেষ্টায় ক্লিনরক এর টিম আর্পানেট নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে ডিজিটাল ডাটা প্রেরণে সক্ষম হয়েছিল৷

সেই ইন্টারনেটের মন্দ ব্যবহার ব্যথিত করে ক্লিনরককে৷ বিশেষত স্প্যাম ই-মেইল পুরোপুরি অপছন্দ তাঁর৷ জানালেন, ১৯৯৪ সালে প্রথম স্প্যাম ই-মেইল সনাক্ত করার পর তাঁরা স্প্যামারদের থামতে বলেছিলেন৷

৭৫ বছর বয়সি ক্লিনরক এখন ইন্টারনেটকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার স্বপ্ন দেখেন৷ তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে ইন্টারনেটকে প্রকৃত বিশ্বে নিয়ে যাওয়া৷ সর্বত্র উপস্থিত থাকতে হবে ইন্টারনেটকে৷ আমি যে রুমে যাবো, সেই রুম বুঝবে আমি সেখানে এবং আমার সাথে কথা বলবে৷ এমনটাই চাই আমি৷

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ দশমিক ৬ বিলিয়নেরও বেশি৷ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরো বাড়াতে ল্যাটিন ছাড়া অন্যান্য ভাষায়ও ইন্টারনেট অ্যাড্রেস চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা আইক্যান৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য